ভাল কোম্পানী বা ভাল এমপ্লয়ার কী করে চিনবেন: ওয়ালিদ স্যার...

ভাল কোম্পানী হবার যোগ্যতা নিয়ে কথা বলছি না। 

আপনি যখন চাকরী খুঁজছেন এবং কোনো দাতা কোম্পানী কতটা ভাল সেটা বুঝে নিতে চাইছেন তখন আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে এসব টিপস। 

বলতে পারেন, চাকরীই জোটে না, তায় আবার চাকরীদাতার গুনাগুন খোঁজা। হ্যা, সেটা সত্যি। যেনতেনভাবে চাকরী পাওয়াটাই যেখানে সোনার হরিণ, সেখানে এমপ্লয়ারের ভাল/মন্দ আবার কী? 

ওয়েল, 
চাকরী চান না ক্যারিয়ার, বেতন চান নাকি চাকরী, 
কাজ করতে চান নাকি চাকরী, 
থাকতে চান নাকি ভাগতে-সেটা না ভেবেই চাকরী নেবেন? 

হ্যা, যারা অলরেডি চাকরীতে আছেন, তাদের জন্য এটা বেশি জরুরী বিষয় যতটা ফ্রেশারদের ক্ষেত্রে না: 

১.ইন্টারভিউ কল যখন পান তখনকার কলারের কথা বলার স্ট্যান্ডার্ড হতেই আন্দাজ পেয়ে যাবেন যদি আপনি স্মার্ট হন। 

২.জব সার্কুলার কতটা স্ট্যান্ডার্ড সেটা হতেও আপনি ভাল.মন্দ আন্দাজ পেয়ে যাবেন। 

৩.কোন কোম্পানীর ওয়েবসাইট ও লিকডইন পেজ ভেরিফাই করুন। যত ভাল কোম্পানী তত রিচ পেজ পাবেন। 

৪.চাকরীর বিজ্ঞাপনে সবকিছু আছে, শুধু স্যালারির স্থানে লেখা ‘আলোচনা সাপেক্ষ”। পয়েন্ট মাইনাস 

৫.ইন্টারভিউয়ারতো আপনাকে যাঁচাই করবেনই। একই সময়ে ইন্টারভিউয়ের স্টান্ডার্ড হতে আপনিও বুঝে নিতে পারেন, কোম্পানী কতটা কাবেল। 

৬.এপয়েন্টমেন্ট লেটারে সার্ভিস কন্ডিশনের সবচেয়ে ভাইটাল বিষয়-বেতন, পজিশন, প্রবেশন, কনফার্মেশন, ইনক্রিমেন্ট, প্রমোশন, ডিসিপ্লিন, টার্মিনেশন, কমপেনসেশন, বেনিফিট-ওগুলো কতটা সুস্পষ্ট ও টু দি পয়েন্ট ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেটাও দেখুন। 

৭.সম্ভব হলে ওই কোম্পানীতে থাকা অভিজ্ঞ কোনো কর্মীর কাছ থেকে কোম্পানীর গুড উইল যাঁচাই করুন। 

৮.ওই কোম্পানীর এইচআর বিভাগ কতটা কোয়ালিফাইড সেটা যাঁচাই করুন। 

৯.ইন্টারভিউ দিতে গেলেন। কতক্ষণ পরে এইচআরের কেউ আপনাকে প্রথম এটেন্ড করেন সেটা লক্ষ্য করুন। আন্দাজ পাবেন। 

১০.ইন্টারভিউয়ের পরে কিভাবে আপনাকে বিদায় করা হয়, কিভাবে আপনাকে কনফার্ম বা পরে কিভাবে রিজেক্ট করা হয়-সেটাও স্ট্যান্ডার্ডের সাক্ষ্য দেয়। 

১১.বেআইনী জব কন্ডিশন কতগুলো বা কত সিভিয়ার ধরনের দেয়া হল-সেটাকেও বিবেচনা করুন। Dawn shows the day। 

১২.অফিস আওয়ার কতক্ষণ সেটাও ফ্যাক্টর। যত বেশিই হোক সেটা যদি নির্দিষ্ট হয় তবু ভাল। যদি বলে, কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, তবে বুঝবেন, সমস্যা আছে। 

১৩.কোম্পানীর বয়স কতদিন, কোম্পানীর কয়টা স্ট্যান্ডারডাইজেশন সার্টিফিকেট আছে, টার্নওভার কত, কতজন পার্টনার, স্যালারী কত তারিখে দেয়, নির্দিষ্ট জব ডেসক্রিপশন আছে কিনা, সুযোগ সুবিধা কী কী-সেগুলোও ভাল করে জেনে নেবেন। 

তবে মনে রাখবেন, পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার, বিশ্লেষন করা মানেই এই না যে, কোনো একটাতে ফেল মনে হলেই কোম্পানীতে জব নেবেন না। এর কোনো একটাতে খারাপ হলেই কোম্পানী খারাপ-সেটা ভাবা চরম ভুল। 

সবসময়ই তুলনামূলক পছন্দে যাবেন। 

ভাল মন্দ মিলিয়েই সবাই। আপনার দেখার বিষয় হল, যতগুলো অপশন বললাম তা যাঁচাই করে তারপর সার্বিক বিচারে সিদ্ধান্ত নেয়া। 

বাংলাদেশে বাস করে গুগলের মতো কোম্পানী আশা করবেন না। সবসময় সার্বিকতাকে মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবেন। collected

Post a Comment

0 Comments