অহংকারী মেয়ে (লেখক:-মো. নীল চৌধুরী)


পর্ব - ০১

-এই ছোট লোকের বাচ্চা, ছ্যাচরা তুই আমার রুমে ডুকার সাহস কিভাবে পেলি?(এনি)
-তোমাকে চাচি আম্মা ডাকে(শান্ত)
-আমার রুমে ডুকলি কেনো?
-স্যরি
-এই ছোট লোক তোর কি কখনো আক্কেল জ্ঞান হবে না? কারো রুমে প্রবেশ করতে হলে অনুমতি লাগে। তুই কি অনুমতি নিছিস?
-না
-তাহলে প্রবেশ করলি কেনো?
-আর এমন হবে না
-আমার সামনে থেকে যাহহ।
এই হচ্ছে এনি। মা-বাবার একমাত্র মেয়ে। এনি মেয়ে হিসাবে বদমেজাজি। বাকিটা কেমন সেটা আপনারা গল্পে গল্পে দেখতে পারবেন।
আর শান্ত তার নামানুযায়ী খুবই শান্ত। শান্ত এতিমখানা তে বড় হয়। এতিমখানা থেকে এনির বাবা শান্তকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে।
এনি আর শান্ত একই বয়সের। দুজন একই ক্লাসে পড়ালেখা করে।এনি শান্তকে সহ্য করতে পারে না। শান্ত যেনো এনির চোখের কাটা।
-মা আমাকে ডাকছো?(এনি)
-হ্যা(এনির মা)
-তুমি ডাকলে শান্তকে কেনো আমার রুমে পাঠাতে হবে?
-কি হয়ছে?
-কি না হয়ছে বলো?
-কি হয়ছে সেটা তো বলবি
-জানো যে ওরে দেখলেই আমার গা জ্বলে তা ও কেনো এই ছোট লোকের বাচ্চাকে পাঠাও
-এই চুপ কর।তুই কি সারাজীবন এমন ই থাকবি?
-হ্যা আমি এমন ই থাকবো।ওরে আমার সামনে আসতে না করবা বলে দিলাম।
-আচ্ছা শোন যেটার জন্য ডাকলাম
-হুম বলো
-আজকে আমরা সবাই তোর বাবার বন্ধুর মেয়ের বিয়েতে যেতে হবে
-আমরা সবাই মানে?
-হুমম সবাই
-কে কে?
-তোর বাবা আমি তুই আর শান্ত
-তাহলে আমি যাবো না
-কেনো?
-শান্ত গেলে আমি যেতে পারবোনা
-গাড়ির ড্রাইভার আজকে আসবেনা
-গাড়ির ড্রাইভার হিসাবে যাবে?
-হুম, গোসল করে রেডি হ
-ওকে।
বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পরে শান্ত মনে মনে ভাবতে থাকে এখানকার সবাই কত দামি দামি পোশাক পরে আছে আর আমি? আমাদের মতো মানুষকে এই পৃথিবীতে পাঠানো হয়ছে মনে হয় এনিদের মতো মানুষের গোলামি করার জন্য।
এসব ভাবতে ভাবতে মন খারাপ করে ক্রিস্টিয়ানা পেরির সেড সং লাগিয়ে গাড়িতে বসে থাকে।
কতক্ষণ পরে এনির বাবা গাড়ির কাছে এসে শান্তকে ডাক দেয়।
-জি আংকেল কিছু বলবেন?
-তুমি গাড়িতে বসে আছো কেনো?
-এমনি
-চলো
-কোথায়?
-বিয়ের অনুষ্টানে
-না আমি যাবো না
-কেনো?
-এমনি
-এনির ভয়ে?
-না আংকেল
-তোমার আন্টি আমাকে সবকিছু বলছে।বাবা সবকিছুতে একটু কষ্ট করতে হয়। তোমার কষ্ট না হয় একটু বেশি হলো,আর আমি আর তোমার আন্টি কিন্তু তোমাকে আমাদের সন্তানের মতো দেখি।
-জানি আংকেল
-তাহলে চলো
তখন শান্ত এনির বাবার সাথে ভিতরে যায়।
শান্ত সেখানে তার ক্লাসমেট কে দেখে কথা বলতাছে তখন এনি তাকে দেখে ফেলে।
এনি দোখার সাথে সাথে রাগে তার নাক মুখ লাল হয়ে যায়।এনি তখন মনে মনে ভাবে তাকে সবার সামনে লজ্জা দিতে হবে এই বলে শান্তর সামনে যায়।
শান্ত এনিকে দেখে তার ভিতর তখন হালকা ভয় কাজ করে।
-শান্ত এদিকে আসো(এনি)
-কিছু বলবা?(শান্ত)
-হুমম এই বলে তাকে আড়ালে নিয়ে যায়। কতক্ষণ পরে সেখান থেকে বের হয়ে আসে।
এনি শান্তকে সবার সামনে এনে ঠাস ঠাস করে গালে কয়েকটা থাপ্পর বসিয়ে দেয়।
সবাই তখন সব কিছু বাদ দিয়ে তাদের দিকে চেয়ে থাকে।
বাংলাদেশের শাস্ত্র মতো একটি মেয়ের কিছু হলে তার পক্ষ ধরে যেমন ছেলেরা ছুটে আসে ঠিক তেমনি তার সময় ও এমন হলো।
কয়েকটা ছেলে শান্তকে ধাক্কা দিতে দিতে বাহির করে দেয়।
শান্ত তখন একটু শব্দ করে কান্না করে দেয়। শান্ত সে নিজকে নিজে প্রশ্ন করতে থাকে, আমি কি কোনো দোষ করেছিলাম? আমি তো দোষ করিনি তাহলে কেনো আমাকে সবার সামনে এমন করলো।
আমি কি এনির কোনো রকম ক্ষতি করছি?
ওরে দেখলে তো আমার ভয় হয় । তাও ও কেনো আমার সাথে এমনটা করলো। মা-বাবা নাই বলে হয়তো আজ এমন টা করলো।
এসব ভাবতে ভাবতে গাড়ির ব
ভিতর ডুকে গ্লাসগুলো আটকিয়ে কান্না করতে থাকে।
প্রায় ৩০-৩৫ মিনিট পরে এনির বাবা শান্তর কাছে ছুটে আসে।
শান্ত কি হয়ছে(এনির বাবা)
-চোখ মুখ হাত দিয়ে মুছে, কিছু না আংকেল
-এনি নাকি তোমাকে থাপ্পর দিছে?
-তা কিছু না আংকেল। আমাদের জন্মই তো মার খাওয়ার জন্য , কারন আমরা তো এতিম
-বাবা এভাবে বলিস না , বাড়িতে যাওয়ার এর শেষটুকু দেখবো।
সন্ধ্যার দিকে সবাইকে নিয়ে শান্ত গাড়ির ড্রাইভিং করে বাসায় ফিরে।
বাসায় আসার পরে শান্ত কান্না করতে করতে শান্তর রুমে চলে যায়।
শান্ত রুমে গিয়ে দরজা আটকিয়ে কান্না করতে থাকে।
কতক্ষণ পরে এনির রুম থেকে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। এমন আওয়াজ শুনে শান্ত রুম থেকে বের হয়ে যেটা দেখলো তাতে সে বিশ্বাস করতে পারলো না..........................



পর্ব - ০২

শান্ত রুমে ডুকে দরজা আটকিয়ে কান্না করতে থাকে।
কতক্ষণ পরে এনির রুম থেকে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। এমন আওয়াজ শুনে শান্ত রুম থেকে বের হয়ে দেখে আংকেল এনির সাথে চড়া কন্ঠে কথা বলতাছে। তর্ক হতে হতে এক সময় এনিকে থাপ্পর মারে।
এনিকে থাপ্পর দেওয়ার পর এনি হঠাৎ চুপ হয়ে যায়।
-আংকেল ওকে মারছেন কেনো?(শান্ত)
-ও আস্তে আস্তে বেয়াদব হয়ে যাচ্ছে।ও যে আমার মেয়ে সেটা ভাবলে আমার কষ্ট হয়, আল্লাহ জানে কোন পাপের কারনে এমন মেয়ে আমাদের ঘরে জন্ম নিছে।
-থাক আপনি এসে পড়ুন বলে এনির বাবাকে শান্ত অন্য রুমে নিয়ে যায়।
কয়েকদিন পরে শপিং করার জন্য এনির বাবা এনির সাথে শান্তকে পাঠায়।
শান্ত যখন গাড়ি স্টার্ট করলো তখন........
-ঐদিকে পার্কের কাছে নিয়া যা(এনি)
-কেনো?(শান্ত)
-এই কুত্তারবাচ্চা এটা কি তোকে বলা লাগবে? তোকে আমার সাথে পাঠায়ছে আমি যা বলি তা করবি
-আমাকে বকলেও আমার মা-বাবাকে বকা দিবানা
-ওরে মাহহ রে,তুই কোন হাজী সাহেবের পোলা?
-আমার বাবার কথা মনে নাই কিন্তু আমার স্পষ্ট মনে আছে আমার মা আমাকে অনেক আদর করতো, ছোট বলের মধ্যে পানি নিয়ে আমাকে গোসল করিয়ে দিতো।
-হয়ছে তোর বকবকানি বন্ধ করে পার্কের কাছে নিয়া যা।
পার্কে নিয়া যাওয়ার পরে একটা ছেলে এসে এনিকে হালকা ভাবে জড়িয়ে ধরে।
শান্ত ভাবে হয়তো এটা ওর বয়ফ্রেন্ড।
-তোমার কাজিন নাকি?(ছেলেটা)
-না, এটা আমার সার্ভেন্ট(চাকর)(এনি)
-ওহহহ
-হুম চলো বলে হাত ধরে একটা দোলনাতে বসে।
কতক্ষণ কথা বলার পরে আসার সময় আরেকবার হাগ দিয়ে গাড়িতে উঠে পরে।
-তোমার বয়ফ্রেন্ড?
-এটা তোর না জানলেও চলবে
-ওহহ তা ও কথা
-শপিংমলে যা
-ওকে।
শপিং করে ফেরার পরে দুজন রেস্টুরেন্টে ডুকে।
এনি টেবিলে বসার পরে শান্ত যখন বসে।
-এখানে বসলি কেনো?(এনি)
-তুমি বসছো তাই
-জানোছ না তোর ফেইস দেখলে আমার গাঁয়ে জ্বর উঠে
-ওহহ স্যরি বলে শান্ত অন্য টেবিলে গিয়ে বসে।
শান্ত সব দিক দিয়েই স্মার্ট। শান্ত এনির সাথে এক ভার্সিটিতে কেমেস্ট্রি সাবজেক্টে অনার্স ৪র্থ বর্ষে পড়ালেখা করে।
শান্ত এত অবহেলার মাঝেও সে তার পড়ালেখা ঠিকভাবে চালিয়ে নেয়।
ভার্সিটিতে ক্লাস করে কম। আর কি কারনে কম করে সেটা তাদের ভিসি ও জানে। সবসময় ভালো রেজাল্ট করার কারনে ভিসি ও শান্তর সবকিছু ভেবে সেক্রিফাইস করে।
সামনে তাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা তাই পড়ালেখার একটু বেশিই চাপ।
শান্ত ৭-৮ দিন পরে ভার্সিটিতে আসে।ক্যাম্পাসে এসে দেখে এনি একটা গাছের নিচে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
শান্ত সিড়িতে বসে বসে একটা বই হাতাহাতি করছে এমন সময় একটা মেয়ে এসে শান্তর পাশে বসে।
-হাই শান্ত
-হাই
-কেমন আছো?(মেয়েটি শান্তর ক্লাসমেট, নাম নিধি)
-আলহামদুলিল্লাহ, তুমি কেমন আছো?
-হুমম ভালো, তোমার উপস্থিতি কম কেনো?
-পার্সোনাল প্রবলেম
-ডোন্ট মাইন্ড একটা কথা বলি?
-হুম শিওর
-টাকার প্রবলেম নাকি?
-আরে না
-তাহলে?
-বললাম না পার্সোনাল প্রবলেম
-ওহ
-হুম
-ওকে, ক্লাসে যাবানা?
-হুমম চলো
ক্লাসে গিয়ে দুজন এক টেবিলে বসে।
শান্ত খেয়াল করে দেখে এনি তাদের দিকে চেয়ে আছে।
ক্লাস শেষ হওয়ার পরে বাসায় যায়।
বিকালের দিকে শান্ত ছাদের এক কোনে দাড়িয়ে থাকে তখন এনি পিছন দিয়ে এসে.......
-ভালোই তো প্রেম করছিস(এনি)
-প্রেম না
-কি?
-যাস্ট হাই হ্যালো
-হাই হ্যালো করতে কারো ২ঘন্টা লাগে জানা ছিলো না
-ফ্রেন্ড হিসাবে কথা তো বলতেই পারে
-হুম তা অবশ্য ঠিক। আর তোর মতো ছোটলোকের সাথে কে প্রেম করবে?
-এই কথা শুনে শান্ত তখন মুচকি হাসে
-তোর এই হাসিটা দেখলে আমার গায়ে ১০৫ ডিগ্রির জ্বর উঠে
-বায়
-এই শোন
-কি
-কাল আমার বান্ধবীর হলুদ সন্ধ্যা, সেখানে আমার সাথে যেতে হবে
-অপমান করার জন্য নিবা?
-নাহ
-তো
-এত প্রশ্ন করিস কেনো?
-হুম ছোট লোকদের প্রশ্ন করতে নেয়
-হুম এইতো ভালো বুঝতে পারছিস
-বায়
বলে শান্ত ছাদ থেকে নেমে যায়।
পরের দিন এনি শান্তকে সাথে করে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে দেখে একেকবার একেকজন নাচানাচি করছে।
-দোস্ত আসতে এত দেরি করলি কেনো?(এনির বান্ববী ফারিহা)
-রাস্তায় জ্যাম ছিলো রে
-ওহহহ, শান্ত সেখানে গিয়ে বসো(ফারিহা)
-ওকে(শান্ত)
শান্তর আশে পাশের চেয়ারে এনি আর এনির কিছু বন্ধু বসে আছে।
হঠাৎ একটা মেয়ে এসে শান্তর সাথে বসে।
পর্ব – ০৩
-হাই(মেয়েটি)
-হাই
-কেমন আছো?
-ভালো
-চলো
-কোথায়
-নিরিবিলি জায়গায়।
-কেনো?
-কথা বলবো
-না আমি যাবো না
-ভয় পাও নাকি?
-আমার ভালো লাগে না তাই যাবোনা,এখানে ভয়ের কি হলো?
তখন মেয়েটি শান্তর কাধে হাত রাখে
-ছাড়ুন বলছি
-না ছাড়লে কি করবা?
শান্ত তখন পিছনের দিকে চেয়ে দেখে এনির বন্ধুরা এসব দেখে হাসাহাসি করছে, শান্তর তখন বুঝার বাকি থাকলো না যে মেয়েটা কিসের জন্য তার সাথে এমন করছে।
-আমাকে এসব করে কি মজা পাও? একটু হাসাহাসি করো তাই না? আমার জায়গায় যদি তুমি থাকতে তাহলে কি করতা? আমি গরিব বলে এসব করো তাই তো?
-আসলে.....
-হয়ছে আর বলতে হবে না, এনি আমাকে সহ্য করতে পারে না।কিন্তু আমাকে সাথে করে নিয়ে আবার এখানেও আসছে।আমি আগেই জানতাম এনি আমাকে নিশ্চয় অপমান করার জন্য নিয়ে আসছে।
বলো তোমার সাথে কোথায় যেতে? আড়ালে নিয়া কিছু মার খাওয়াবা তাই তো? আড়ালে দরকার নেই আমার মতো ছ্যাচরা, ছোটলোক কে সবার সামনেই থাপ্পর মারা যায়। যেমন টা প্রায় সব ধনি লোকরা ই করে। আমাকে এখানেই থাপ্পর মারো, কিচ্ছু বলবো না বলে শান্ত চোখের পানি ছেরে দেয়।
মেয়েটি এসব শুনে তার হাসি মুখটা যেনো নিমিষেই খারাপ হয়ে যায়।
-স্যরি
-ছোট লোককে স্যরি বলা দরকার হয় না বলে শান্ত চেয়ার ছেরে উঠে গাড়িতে গিয়ে বসে থাকে।
রাত ৩বাজে তখন এনির মা শান্তর মোবাইলে ফোন করে।
-হ্যা আন্টি বলেন
-বাবা অনুষ্টান কি এখনো শেষ হয় নাই?
-প্রায় শেষ
-ওকে, তারাতারি এসে পর
-ওকে
শান্ত ফোন রেখে বাহিরে গিয়ে দেখে এনি সহ তার বন্ধু বান্ধবীরা নাচানাচি করছে।
শান্ত তখন নিজে নিজেই একটা হাসি দেয় আর বলে এটা-ই বুঝি বড়লোকদের নাচ।
শান্ত এনিকে ডাক দিয়ে মোবাইল দেখিয়ে ইশারা করে তখন এনি মোবাইল বের করে। দেখে তার মা তাকে অনেকগুলো কল দিয়ে রাখছে।এনি তখন সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এসে পরে।
গাড়িতে উঠার পরে.....
-এই তারাতারি চালা(এনি)
-মদ পান করছো?
-বিয়ার খাইছি
-ওহহহ
-হ্যা
শান্ত বুঝতে পারে এটা হয়তো তাদের নিত্যদিনের অভ্যাস। না হলে একটু হলেও মাতাল হতো কিন্তু তাকে দেখে মনে হয় না সে মাতাল।
কয়েকদিন পরে শান্ত ভার্সিটিতে যায়।
ভার্সিটিতে যাওয়ার পরে
নিধির সাথে দেখা হয়।
নিধির সাথে একই টেবিলে ক্লাস করে বাসায় ফিরে।
শান্ত প্রায় সময় ই বিকালে সময় টা কাটায় ছাদে।
শান্ত ছাদে বসে বসে আর ভাবে আজ যদি আমার মা-বাবা থাকতো কতো ভালো হতো।
ক্লাস করে ডিরেক্ট মায়ের বুকে ফিরতে পারতাম।মা তুমি কেনো আমাকে ছেড়ে চলে গেলা? আমার কিছু ভালো লাগে না রে মা।মা তুমি যাওয়ার সাথে আমাকে কেনো নিয়ে গেলা না?
আমার সামনে যখন বন্ধুদের মেবাইলে মা নামে সেইভ করা নাম্বারে ফোন আসে তখন অনেক খারাপ লাগে রে মা।
সবার মোবাইলে মায়ের কল আসলেও আমার মোবাইলে আসে না।হ্যা আল্লাহ্‌ আমার মা-বাবাকে নিয়ে আমাকে কেনো একা রেখে তাদের নিয়ে গেছো?
এসব বলতে বলতে শান্ত একটু শব্দ করে কান্না করে দেয়।
কতক্ষণ পরে এনি আসে।
-ভালোই প্রেম করছিস(এনি)
-কে?
-তুই
-কার সাথে
-ওমাহহহহহ এত ভাব নিচ্ছিস কেনো?
-কে ভাব নিচ্ছে
-নিধির সাথে যেভাবে কথা বলিস, মনে হয় অনেক আপন কেউ
- আমার ভালো লাগছেনা প্লিইজজ আমাকে এখন কোনো পেইন দিও না
-কিহহহ আমি তোরে পেইন দেই?
-মাফ চাই এখন যাও
-এটা আমার বাসা, আমার যেখানে মন চায় আমি সেখানেই থাকবো, আমাকে তুই নামার কথা বলার সাহস পেলি কোথায়?
-স্যরি বলে নিচে নেমে যায়।
রাতের খাবার খাওয়ার সময়............

পর্ব – ০৪
-তুই এখানে বসলি কেনো?(এনি)
-তো কোথায় বসবো?
-কুকুর যেমন মাটি থেকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে খায় তুই ও তেমনি খাবি কারন তুই তো আমাদের বাসার কুকুর
-ওহহ আচ্ছা তুমি খাও আমি গেলাম
-যাহহহ
আজকে এনির বাবা ও এনির মা দুজনে বেড়াতে গেছে।এনির মা-বাবা সামনে থাকলে হয়তো এসব বলতে পারতো না।
শান্ত খেতে বসেও না খেয়ে চলো আসছে এনির কথার জন্য।
রাত শেষ হয়ে সকাল হয়।

এনি সকাল সকাল উঠে বের হয়ে যায়।
কতক্ষণ পরে শান্তর মোবাইলে একটা ফোন আসে।
-শান্ত কোথায় তুমি? (নিধি)
-এইতো বাসায়
-বাইরে বের হবা?
-হুমম কেনো কোনো কাজ আছে?
-পার্কের দিকে আসো
-ওকে
শান্ত বের হয় নিধির সাথে দেখা করার উদ্দ্যেশে। নিধি ই শান্তর রিয়েল ফ্রেন্ড কারন সবসময় শান্তর খবর নেয় শান্তর সাথে ক্লাস করে।
পার্কে যাওয়ার পরে নিধির সাথে আড্ডা দিয়ে রেস্টুরেন্টে ডুকলো তখন খেয়াল করে দেখে পাশের টেবিলে এনি আর ঐ ছেলেটা বসে বসে কথা বলছে আর হাসাহাসি করতাছে।
একসময় তারা বের হয়ে যায়।
৩০-৩৫ মিনিট পরে শান্ত ও নিধি ও বের হয়ে যার যার বাসার উদ্দ্যেশে চলে যায়।
শান্ত বাসায় যাওয়ার ৫-১০ মিনিট পরে এনির মোবাইল থেকে ফোন আসে।
-শান্ত ২৭ নাম্বার রোডের ৫নম্বর বাসায় তারাতারি আয় প্লিইজ
-কি হয়ছে
-তারাতারি আয় বলে ফোন কেটে দেয়।
শান্ত তখন গাড়ি নিজে ড্রাইভ করে জায়গা মতো গিয়ে দেখে ভিতর দিয়ে দরজা বন্ধ।
শান্ত কয়েকটা ধাক্কা দেওয়ার পরে দরজা খুলে।
দরজা খোলার সাথে সাথে ২টা মেয়ে এসে শান্তকে জড়িয়ে ধরে বলে কাকে পছন্দ হয়? নাকি দুজনের সাথেই করবা?
শান্ত মোটেও এসবের জন্য প্রস্তুত ছিলো না । শান্ত জোর করে তাদের হাত থেকে ছুটে এসে পরে।
বাসায় যাওয়ার পরে শান্ত এগুলো ভাবছে আর বলছে এনি আামকে এসব জায়গার ঠিকানা কেনো দিলো।
ওর ফোনের সময় তো মনে হয়ছিলো বড় কোনো বিপদে পরছে।
এনি বাসায় আসার পরে দেখে শান্ত তার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।
-কিছু বলবি?
-আমার সাথে এসব করার মানে কি?
-কি করছি
-ফোন করে কোন জায়গার ঠিকানা দিছো?
-ওহ সেই ব্যাপার
-এসব করলা কেনো?
-হি হি হি
-এখানে হাসার কি আছে?
-আমি তো মনে করছিলাম তুই যাবি না,কিন্তু তুই তো গেলি
-মানুষের বিপদে মানুষ এগিয়ে যেতে হয় আর হ্যা এসব নিয়ে মজা করলে যেদিন সত্যিই বিপদে পরবা তখন কেউ যাবে না
-আমাকে তোর জ্ঞান দিতে হবে না
বলে এনি তার রুমে চলে গেলো।


-দোস্ত(এনির বান্ধবী জুই)
-হুম বল(এনি)
-শান্ত কি তোদের বাসায় থাকে?
-এটা কি তুই নতুন জানিস?
-তোদের বাসায় থেকে ও কিভাবে ক্লাসের টপ ছাত্র হয়?
-জানিনা, এত্তো প্যারা দেয় তা ও পড়ালেখা ঠিকঠাক চালিয়ে যায়।
-ওরে আর এভাবে জ্বালা দিস না
-কেনো?
-ভাগ্যের কথা তো বলা যায় না, একদিন তোর ভাগ্যে ও জুটতে পারে
-জুইইই (রাগি সুরে)
-দেখতে কিন্তু সেই লেভেলের কিউট
-তোর ফকিন্নি মার্কা নজরে এমন ই লাগবে বলে এনি জুইকে ছেড়ে ক্লাসে চলে যায়।
ক্লাস শেষে এনি সামনে চেয়ে দেখে শান্ত আর নিধি একসাথে হেসে হেসে কথা বলছে আর হাটছে।
এটা দেখে এনির রাগ আরো বেড়ে যায়।
এনি বাসায় গিয়ে দেখে শান্ত তখন ও বাসায় যায় নাই।
এনি বাসায় যাওয়ার ৩০-৩৫ মিনিট পরে শান্ত বাসায় যায়।
-এতক্ষণ কোথায় ছিলি?(এনি)
-তোমার কাছে বলতে হবে?
-এই ছোটলোকের বাচ্ছা , তোরে বলছি না আমাকে কখনো প্রশ্ন করবি না
-ওহহ
-বল কোথায় গেছিলি?
-নিধির সাথে তাদের বাসায় গেছি
-ওখানে গেলি কেনো? তাদের বাসায় কুকুর নাই? কুকুরের অভাব হয়ছে?
-তুমি তো ভালোই পড়ালেখা করো।
মানুষকে কুকুরের সাথে তুলনা করো।
-তুই মানুষ? আমার মনে নাই তো
-এনি একটা কথা মন দিয়ে শুনো,এখন আমি যেই পজিশনে আল্লাহ্‌ এর রহমতে একবছরের মধ্যে পজিশন টা চেইন্জ হয়ে যাবে।
-তখন কি আমাকে মারবি?
-আমি কি এসব বলছি?
-তোর কথায় বুঝা যায় তুই আমাকে ভয় দেখাচ্ছিস
-তোমার মাইন্ড ঠিক করো বলে..................

পর্ব – ০৫
-তোমার মাইন্ড ঠিক করো বলে শান্ত রুমে চলে যায়।
সন্ধ্যার দিকে এনির বন্ধু বান্ধবী ১০-১২জন তাদের বাসায় আসে।
কখনো এতগুলো বন্ধু একসাথে আসে নাই, আজকে আন্টি আর আংকেল নাই তাই হয়তো তাদের নিয়ে আসছে।
বন্ধুরা আসার পরে এনি শান্তকে ডাক দেয়।
-কেমন আছো সবাই(শান্ত সবাইকে উদ্দেশ্য করে)
-ভালো তুমি কেমন আছো?(সবার আগে জুই)
-হ্যা ভালো
-তোকে ডাক দিছি ওদের সাথে কথা বলতে না
-ওহহ স্যরি , কিসের জন্য ডাকছো?
-ঐ রুমটা পরিষ্কার কর
-অন্য সব রুম ই তো খালি আছে,ঐ রুম কেনো?
-বারবিকিউ পার্টি হবে, সেখানে হালকা নাচানাচি হবে, তাই পরিষ্কার করতে হবে
-ওহহ
-হ্যা, যা কাজে লাগ
শান্ত তখন সবার দিকে চেয়ে একটা মুচকি হেসে রুমে ডুকে কাজে লেগে যায়।
শান্ত কাজ করার সময় লজ্জা পায় না কিন্তু আজকে কেমন জানি আনইজি লাগছে।তখন জুই রুমে ডুকে
-কিছু লাগবে?(শান্ত)
-এনি কি তোমাকে সারাক্ষণ এভাবে জ্বালা দেয়?
-না তো
-হয়ছে আমার কাছে লোকাতে হবে না,ঝাড়ু টা আমার কাছে দাও
-আরে এসব কি বলছো?
-হ্যা দাও
-না না তুমি ওখানে গিয়ে বসো আর ৫-৬ মিনিট লাগবে সবকিছু গুছিয়ে ঠিক করে নিবো
-ঝাড়ু টা দিতে বলছি
-তুমি কি আমাকে বকা আর থাপ্পর খাওয়াতে চাও?
-মানে?
-হুমম
-ও কি তোমাকে মারে ও?
-ওসব কিছু না
-তুমি কি প্রতিবাদ করতে পারো না?
-গরীব তো তাই কেউ শুনবে না
-কে বলছে শুনবে না
-এই যে তুমি এসব বলছো না? এটা যদি এনি জানে তাহলে তোমার ও খবর করে ছেড়ে দিবে
-তোমাকে গ্রাম বাংলার একটা প্রবাদ বলি সেটা হলো, "মেয়েরা রাগলে হয় বেশ্যা আর ছেলেরা রাগলে হয় বাদশা"
এই কথাটা তুমি চারদিকে মিলিয়ে নিও
তুমি নিজের মন মানুষিকতা কাজে লাগাও
-এটা বাংলাদেশ, বলা সহজ, করে দেখিয়ে দেওয়া অনেক কঠিন
-হুম জানি, তাও ট্রাই করো
-করতাছি তো, অনার্স টা শেষ হউক তারপর কিছু একটা হবে
-হুমম বেস্ট অফ লাক।বলে চলে যাবে এমন সময় এনি রুমে ডুকে....
-ভালোই আড্ডা দিচ্ছিস(এনি)
-দেখতে আসলাম কি কাজ করছে(জুই)
-ওহহ তুই হেল্প করছিস নাকি?
-চাইছিলাম কিন্তু দেয় নাই
-যা বাহিরে যাহ
জুই বাহিরে যাওয়ার পরে এনি শান্তর দিকে অগ্নি চোখে চেয়ে বাহিরে চলে যায়।
রুম পরিষ্কার শেষে ৪টা সাউন্ড বক্স রুমে নিয়ে যায়।
সবকিছু ঠিকঠাক করে ওরা ওদের কাজ শুরু করে।
বাসায় কোনো রান্না না হওয়ায় শান্ত ফ্রিজ খুলে দেখে কতোগুলো বিয়ার আর মদের বোতল। এসব দেখে শান্তর চোখ কপালে উঠে যায়।
শান্ত ফ্রিজটা তারাতারি আটকিয়ে ছাদে চলে যায়।
ছাদে গিয়ে মোবাইলে লো বলিউমে গান লাগিয়ে আনমনে আকাশের দিকে চেয়ে আছে,এমন সময় জুই পিছন দিয়ে এসে
-যেভাবে চেয়ে আছ যেনো তারা গুনছো
-আজ আকাশটা অনেক সুন্দর লাগতাছে
-সুন্দর তো লাগবেই কারন সুন্দর মনের মানুষ আকাশের দিকে চেয়ে আছে(জুই)
-মানে?
-হুমম তোমার মন মানুষিকতা আসলেই অনেক ভালো
-তুমি যে এখানে আসছো এটা কি এনি জানে?
-না, ওরা নাচানাচি করছে
-ওহহ
-হ্যা
-তোমার নাম্বার টা কি দেওয়া যাবে?
-ছোটলোকের নাম্বার নিয়ে কি করবা?
-কথায় কথায় এটা বলো কেনো?
-কি করবো, আমি তো ছোট লোকই
-তোমার হাত পা সবই তো ঠিক আছে, সো হাত পা থাকতে কেউ ছোট লোক হতে পারে না।
-আচ্ছা এসব বাদ দাও
-কিছু খায়ছো?
-নাহ আজ রান্না হয় নাই
-নাও এটা খেয়ে নাও(জুই হাত বাড়িয়ে)
-আমার জন্য এসব করতে গেলা কেনো?
-কি করছি?
-এই যে এটা সবার চোখ ফাকি দিয়ে আনছো
-এটা আমার ভাগের খাবার, খেয়ে নাও
-তুমি ও খাও
তখন দুজন ভাগ করে খেয়ে নেয়।
খাওয়া শেষে...
-একটা কথা বলি?(শান্ত)
-লেডিসদের মতো কথা বলো কেনো? কি বলবা বলে ফেলো(জুই)
-পার্সোনাল তো তাই
-ওকে বলো
-তুমি কি ড্রিংকস করো?
-তাল মিলিয়ে চলতে হয়
-এসব না খাওয়া ই ব্যাটার
-জানি
-তাহলে খাও কেনো
-ওকে আর খাবো না বলে দুজনে ছাদের দোলনায় বসে গল্প করতে থাকে।
একসময় জুই শান্তকে প্রশ্ন করে....
-কাউকে পছন্দ করো? (জুই)
-এনির মা-বাবাকে(শান্ত)
জুই এই কথা শুনে ফিক করে হেসে দেয়।
-হাসো কেনো?
-তোমার কথা শুনে
-কি এমন বলছি যে হাসতে হবে?
-আমি বলছি কাউকে ঐভাবে পছন্দ করো কি না?
-না, গরীবের আবার পছন্দ
-আবার(রাগি মুখে)
-স্যরি
-আর বলবানা এসব বলে দিলাম
-ওকে
-তোমার ফেবারিট কোন কালার?
-নীল
-শুধু নীল?
-হুমম নীল রংটা আমাকে অনেক আকর্ষণ করে
-ওহহ
-হ্যা, তোমরা কি এসব জিন্স ছাড়া শাড়ি পরতে পারো না?
-পারি না
-তোমার মা তো মনে হয় পারে
-হুমম পারে
-তাহলে শাড়ি পইরো
-ওকে
-তোমাকে শাড়িতে অনেক মানাবে
-তাই নাকি?
-হুমম
-তোমার কি শাড়ি ভাল্লাগে?
-হুমম
-ওকে কালকে কলেজে শাড়ি যাবো
-ওকে
- এই তোনার ইচ্ছা হয় না কারো হাত ধরে হাটতে?
-এসবের ইচ্ছা হলে কল্পনায় ডুব দেয় তখন সব ইচ্ছা মিটে যায়।
-হি হি হি
-কি?
-কল্পনায় কার হাত ধরো?ইমমমমমম
-ফেইস টা নিয়ে ভাবিনায়
-হুমম ইচ্ছা হলে ভাবতে পারো
-মানে?
-বলতাছি ইচ্ছা হলে এই হাত ধরে হাটতে পারো(জুই হাতটা বাড়িয়ে)
ভালোই তো রোমান্স হচ্ছে(পিছন থেকে এনি)
-ত ত ত তুই?(জুই)


পর্ব – ০৬
-ডিস্টার্ব করলাম নাকি?
-কে বলল?(জুই)
-তাহলে এত অবাক হচ্ছিস যে
-কিসের জন্য আসছিস বল
-তুই আমার বান্ধবী সেটা আমার ভাবতেও কেমন জানি লাগছে
-কেনো?
-তুই এমন সস্তা মনের জানা ছিলো না
-আরে আমি কি করলাম?
-তুই আমার বাড়ির কাজের ছেলের সাথে প্রেম করতে চাচ্ছিস সেটা দেখে বমি বমি ভাব হচ্ছে
-কেনো রে? ও কিভাবে কাজের লোক?
-হি হি হি ও কাজের লোক না?
ঐ ছ্যাচরা যা তো নিচ থেকে কিছু খাবার নিয়ে আয়।
শান্ত তখন দাড়িয়ে থাকে।
-ঐ তোরে কি বলছি?
তারাতারি যা বলছি না হলে খারাপ হবে
-যাচ্ছি
শান্ত তখন নিচে যায়।
-জুই তুই এসব করবি আমি ভাবতেই পারছিনা
-ও কি দেখতে সুন্দর না?
-হ্যা সুন্দর বাট তার চেয়েও সুন্দর ছেলে আছে
-তার চেয়ে সুন্দর কয়টা ছেলে আছে? আমাদের ফ্রেন্ডসিপের মধ্যে ও তারমতো একটা ছেলে নেয়
-ছি তোর নজর এমন নিচ জানতাম না বলে এনি নিচে নেমে যায়।
তারকতক্ষন পরে জুই ও নিচে নেমে যায়।
জুই নিচে গিয়ে দেখে এনি সোফায় বসে আছে আর বাকি সবাই নাচানাচি করছে।
এমন সময় শান্ত নিচ থেকে এনির কথা মতো সবকিছু নিয়ে তাদের রুমে প্রবেশ করে।
রুমে প্রবেশ করার সাথে সাথে..
কয়েকটা থাপ্পর দিয়ে
-তুই এই রুমে আসার সাহস পেলি কিভাবে?(এনি)
-স্যরি
-এই ছোটলোকের বাচ্চা এখানে যাদের দেখতে পাচ্ছিস তাদের জুতোটার মতো ও হতে পারোস নাই
-হুমম জানি বলে শান্ত চোখ দিয়ে দু ফোটা পানি ফেলে তার রুমে চলে যায়।
-জুই এটা দেখেও কোনো প্রতিবাদ করতে পারে নাই, জুই জানে এনি বদমেজাজি।  কোন সময় কি করে বলা যায় না।
পার্টি শেষ হওয়ার পরে রুম থেকে শান্তকে ডেকে এনে সবকিছু গুছাতে বলে,শান্ত ও তখন সবকিছু ঠিকঠাক করে শান্ত নিজের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে থাকে।
২দিন পরে ভার্সিটিতে যাওয়ার পরে জুই শান্তকে দেখে শান্তর কাছে আসে।
-কেমন আছো?(জুই)
-আলহামদুলিল্লাহ, তুমি?
-আমিও ভালো,এনি আর কিছু বলছে?
-ও প্রতিদিন ই আমার সাথে এমন করে
-আর তুমি সব সহ্য করে নাও
-এছাড়া আর কি করা যাবে?
আমার মতো লোক তো আর কারোর অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারবে না
-আমি স্যরি
-কেনো?
-আমার জন্যই তো ঐদিনের ঘটনা টা হলো
-আরে এটা কি বলছো? আল্লাহ কপালে রাখছে তাই হয়ছে
-নাহহহ
-একটা প্রবাদ আছে"যদি থাকে নসিবে আপনাআপনি আসিবে "
-এই প্রবাদটা কি পুরোপুরি সত্যি?
-হ্যা(শান্ত)
-নাহ একদম পুরো সত্যি না
-কিভাবে?
-মনে করো একটা চোর কোনো বাসায় চুরি করতে গেলো।বাসা থেকে সবকিছু বের করে যদি চোর টা বাড়ির কাছে বসে থাকে,সকালে কিন্তু চোরকে ধরে ফেলবে এবং মারবে। চোর যদি তখন বলে এটা আমার ভাগ্যে ছিলো তখন কি সেটা ঠিক হবে? আল্লাহতালা বলছে তুমি চেষ্টা করো,তুমি যদি একটা জিনিসের জন্য মন দিয়ে চেষ্টা করো তাহলে ইনশাল্লাহ কাজটা সাক্সেস হবেই। হ্যা আমি আবার পুরোপুরি কাজের কথা ও বলবো না।সব কিছুর ক্ষেত্রে কর্ম আর ভাগ্য দুইটা দুইটার উপর নির্ভরশীল।
আল্লাহ বলছে তুমি চেষ্টা করো আমি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
-হ্যা তোমার কথায় যুক্তি আছে
-তুমি চেষ্টা করো, ইনশাল্লাহ পারবেই
-ওকে, এখন ক্লাসে যাবা না?
-হুমম যাবো, তুমি আলাদা যাও না হলে এনি আবার উল্টাপাল্টা ভাববে
-ওকে
শান্ত ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরে।
-ক্লাস কেমন চলছে?(এনির বাবা)
-জি আংকেল ভালো
-রেজাল্ট টা ভালো কইরো বাবা
-আংকেল দোয়া করবেন
-বাবা তোদের জন্য দোয়া না করলে কার জন্য করবো রে?
সামনে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা, পূর্বের মতো আবারো সবাইকে পিছনে ফেলে তুই এগিয়ে যাবি
-জি আংকেল
-ফ্রেশ হয়ে খেতে আয়।
শান্ত সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পরে ছাদে বসে আছে এমন সময় জুই ফোন দেয়।
-কি করো?(জুই)
-এইতো ছাদে বসো আছি,তুমি?
-রুমে বসে আছি
-ওহহ
-হ্যা,এনি কোথায়?
-বাসায় ই
-ওহহ
-হ্যা
-কালকে ফ্রি আছো?(জুই)
-হ্যা, কেনো?
-আমার সাথে একজায়গায় যেতে পারবে?
-কোথায়?
-নদীর পাড়ে হাটবো
-কোন সময়?
-বিকালে
-ওকে
পরেরদিন বিকালে জুই এর সাথে ঘুরতে বের হয়।
নদীর পারে দুজন একসাথে হাটছে আর কথা বলছে এমন সময় জুই হঠাৎ শান্তকে প্রশ্ন করে
-আমাকে তোমার কেমন লাগে?
-ভালো-ই লাগে
-ই হিসাবে কেমন লাগে
-কি হিসাবে?
-বুঝনায়?
-বুঝলে কি আবার প্রশ্ন করতাম?
-আমাকে বউ হিসাবে কেমন লাগবে?
-লাল শাড়িতে হেব্বি মানাবে
-ওহহহ শিট
-কি?
-ভালোবাসি
-কাকে?

পর্ব – ০৭
-কাকে
-
আমি তোমাকে ভালোবাসি
-
তেমার মাথা ঠিক আছে?
-
হ্যা আমি ঠিক আছি
-
ঠিক থাকলে এই কথা কিভাবে বলতে পারলা?
-
শান্ত(রাগি চাহনি তে)
-
হ্যা বলো
-
সত্যিইইই অনেক ভালোবাসি
-
এসব আবোলতাবোল না বলে বাসায় গিয়ে রেস্ট নাও
-
তোমার সাথে ঘুরতে বের হয়ছি, আরো রাত হউক তারপর যাবো বলে শান্তর হাত ধরে ফেলে
-
শান্ত তখন জুই এর দিকে চেয়ে দেখে জুই শান্তর দিকে চেয়ে আছে আর মুচকি হাসছে
-
বলো নাহহহহহ
-
কি বলবো?
-
বলো জুই আমিও তোমাকে ভালোবাসি
-
বললে কি হবে?
-
আমাদের ছেলে মেয়ে হবে
-
ভালোবাসি বললে ছেলে মেয়ে হয় এটা আজ প্রথম শুনলাম
-
বলো না
-
ভালোবাসি
তখন জুই হাটার মাঝে একটু উকি মেরে ঠোটে একটা কিছ করে লজ্জা পাওয়ার মতো করে নিচে চেয়ে থাকে
-
এই এটা কি করলা?
-
কি করছি?
-
কিছ করার কথা আমি আর কিছ করছো তুমি
-
তোমাকে করতে না করছে কে
-
থাক এখন করবো না
-
কেনো?
-
এমনিতে
-
না না এখন করতে হবে।
এভাবে সেদিনের মতো কথা বলে তারা তাদের বাসায় যায়।
বাসায় যাওয়ার পরে.......
-
আজ এতক্ষণ কোথায় ছিলি?(এনি)
-
বন্ধুর বাসায়(শান্ত)
-
কোন বন্ধু?
-
আমার যে কোনো বন্ধুই থাকতে পারে
-
এটা- তো, সেটা ছেলে না মেয়ে
-
অবশ্যই ছেলে
-
ওকে যাহ
শান্ত রুমে গিয়ে ভাবতে থাকে.... জুইকে লাল শাড়ি পরলে আসলেই মানাবে। মেয়েটা অনেক ভালো,ওর চেহারায় মায়া আছে ঠিক তখনি জুই এর ফোন আসে।
-
কি করো(জুই)
-
শুয়ে শুয়ে কারো কথা ভাবছি(শান্ত)
-
এই এই কার কথা
-
কার আবার, এখন আমার সাথে যে কথা বলছে তার কথা ভাবছি
-
সত্যিইইইই
-
হুমম
-
এই এই কি ভাবছো বলো না
-
ভাবছি তোমাকে বিয়ে করবো
-
কুত্তা না করলে তোর খবর আছে।
এভাবে আরো অনেক্ষন কথা বলে।
পরেরদিন শান্ত নীল পান্জাবি পরে ভার্সিটিতে যায়।
জুই ক্যাম্পাসে অনেকক্ষন হয় অপেক্ষা করছে।
শান্ত যাওয়ার সাথে হাসি দিয়ে চোখ টিপ মারে।
শান্ত তখন জুই এর দিকে চেয়ে শান্ত চোখ টিপ মারে
-ক্লাস শেষে আজকে একজায়গায় যাবো(জুই)
-
কোথায়?
-
পাশের এলাকায় একটা লেক আছে অনেক সুন্দর
-
ওকে
ক্লাস শেষে দুজনে ওখানে গিয়ে বসে।
শান্ত বসার পর জুই শান্তর কাধে মাথা রেখে বসে পরে।
-
তোমার সাথে কিছু কথা আছে(শান্ত)
-
এখানে তো কথা বলার জন্যই আসছি, বলো(জুই)
-
আমাকে কি তুমি সত্যি ভালোবাসো নাকি আমার সাথে খেলা করছো?
-
শান্ত তুমি আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসা,আমি তোমাকেই ভালোবাসি
-
আমার জীবন সমন্ধে তুমি মনে হয় সব কিছুই জানো
-
হ্যা না জেনে কি ভালোবাসছি নাকি?
-
সব জেনে শুনেও ভালোবাসবা?
-
হ্যা, সারাজীবন ভালোবাসতে চাই বলে জুই শান্তকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা রাখে
-
কেউ দেখবে তো
-
দেখলে আরো ভালো হবে
-
কেউ দেখলে ইচ্ছামতো মারবে
-
মারলেও ভালো, মারার পরে দুজনের বিয়ে দিয়ে দিবে
-
ওমাহহহ, এত বুদ্ধি?
-
তখন জুই হেসে দেয়
-
এই একটা দাও(জুই)
-
কি?
-
কিছ করো
-
এই জায়গায়?
-
হ্যা,ভয় পাও নাকি?
-
কেউ দেখবে তো
-
দেখবেনা
-
দেখলে প্রবলেম হবে।
জুই তখন শান্তর মুখটা কাছে এনে কয়েক সেকেন্ডে কয়েকটা কিছ করে দেয়
শান্ত আর জুই এভাবে কতক্ষণ থাকার পর বাসার উদ্দেশ্যে যায়।
শান্ত বাসায় যাওয়ার পরে......
-
ক্লাস কখন শেষ হয়ছে?(এনি)
-
সেটা তো তুমি জানো
-
ক্লাস শেষ হয়ছে ৩ঘন্টা আগে, এতক্ষণ কোথায় ছিলি?
-
যেখানেই যায় সেটা তোমার জানতে হবে না
-
এই বাড়িতে তুই কি হিসাবে থাকিস?
-
আংকেল আন্টির ছেলের মতো হয়ে
-
হি হি হি
-
হাসার কি আছে?
-
এটা না বলে বল বিশ্বস্ত চাকর
-
তুমি যেটা মনে করো সেটাই বলে শান্ত তার রুমে চলে যায়।
তার ১০-১৫ মিনিট পরে এনি শান্তর রুমে যায় কিছু বাজার আনানোর জন্য।
এনি রুমে যাওয়ার পরে শান্তর মোবাইল থেকে একসাথে দুইটা মেসেন্জারের নটিফিকেশনের সাউন্ড আসে।
এনি তখন শান্তর মোবাইল টা হাতে নিয়ে যা দেখলো তা দেখে তার মাথা নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো।
এনি দেখে জুই এর আইডি থেকে.........
পর্ব – ০৮

এনি শান্তর মোবাইলটা হাতে নিয়ে যা দেখলো তা দেখে তার মাথা নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো।
এনি দেখে জুই এর আইডি থেকে কয়েকটা মেসেজ আসছে এরকরম,বাবু বাসায় গেছো? খেয়ে নিও কেমন।
আর হ্যা শুনো কালকে আমার ফেবারিট জায়গায় যাবো তোমাকে সাথে করে নিয়ে।
এসব দেখে এনির মাথায় রক্ত উঠে যায়।
তখন শান্ত ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে আসে।
-আজকে কোথায় গেছিলি?
-ফ্রেন্ডের বাসায়
-জুই তোর ফ্রেন্ড?
-মানে?
-কিছু বুঝিস না?
-কি বলছো?
-জুই এর সাথে কোথায় গেছিলি?
-কেনো?
-এই কুত্তার বাচ্চা তোরে না বলছি আমাকে প্রশ্ন করবি না
তা ও প্রশ্ন করিস কেন এই বলে শান্তর গলায় খামচি মারে।
শান্ত তখন ব্যাথায় কান্না করে দেয়।
-এই তোর নাটক কান্না বন্ধ কর,বল কোথায় গেছিলি?
-পার্কে
-কেনো?
-জুই নিয়ে গেছে
-নিয়ে কি বলছে?
-অনেক কিছু
-বল কি বলছে?
-শান্ত তখন চুপ হয়ে থাকে
-প্রেম হয়ে গেছে তাই না?
ভালোই ধান্দা বাইর করছিস।
-কি সব যা তা বলছো? আমি কেনো ধান্ধা করবো?
-বড় লোকের মেয়ের সাথে প্রেম করছিস, তারপর বিয়ে করতে পারলে লাইফ সেটেল তাই না?
-হ্যা বলে শান্ত বারান্দার দিকে চলে যায়।
হ্যা বলছে কারন শান্ত জানে ওর কাছে যতক্ষন না মাথা নত না করবে ততক্ষণ সে খোচাবে।
পরেরদিন শান্ত বের হয়ে
জুই যেখানে বলছে শান্ত সেখানে যায়।
জুই এর সাথে দেখা হওয়ার সাথে সাথে জুই শান্তর হাত ধরে...
-এই এত দেরি হলো কেনো?
-ঠিক সময় ই তো আসছি
-আমি অনেক্ষন হয় এসে বসে আছি বলে শান্তর হাতে জড়িয়ে ধরে কাধে মাথা রাখে।
কাধে মাথা রাখার পরে গলার দিকে নজর যায়।
-এইটা কিসের দাগ(জুই)
-কোথায়?
-গলায়
-এমনিতে ওগুলো কিছু না
-কিভাবে হয়ছে বলো
-আরে কিছু না
-মিথ্যা ও বলতে পারো
-আরে তা না
-কিভাবে হয়ছে বলো
-বাদ দাও না
-এটা খামচির দাগ,এনি তোমাকে খামচি দিছে
-হুম
-কেনো?
-কালকে যে তুমি টেক্সট করছো ওগুলো ও দেখে ফেলছে
-কিভাবে দেখছে?
-আমি মোবাইল চার্জে লাগিয়ে ওয়াশ রুমে গেছিলাম ঠিক তখন ই তোমার মেসেজ আসছিলো
-তুমি কি প্রতিবাদ করতে পারো না?
-সবাই প্রতিবাদ করতে পারে না
-কেনো পারবেনা?
-তোমাকে আগেই বলছিলাম যে যেই পজিশনে থাকে সে বুঝে তার জায়গাটা কেমন
-আমি ওকে দেখে নিবো
-এসব বলতে হবে না
-কেনো?
-আমাকে এমনিতেই সহ্য করতে পারে না এর মধ্যে এমন হলে তো আরো সহ্য করতে পারবে না।
শান্ত আর জুই আরো কতক্ষণ সময় কাটিয়ে ক্লাসের সময়ে ভার্সিটিতে গিয়ে উপস্থিত হয়।
শান্ত ভার্সিটিতে গিয়ে ফ্রেন্ডদের সাথে চলে যায়।
জুই ও তাদের বন্দুর সাথে মিশে যায়।
-কোথায় গেছিলি?(এনি)
-বয় ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে(জুই)
-বয় ফ্রেন্ড বানিয়ে নিছিস? কে রে সে (অন্যান্য বন্দু)
-আছে, আমাদের ক্লাসমেট ই
-নাম কি বল না রে(বন্দু)
-দোস্ত ট্রিট দে(আরেকজন)
-তোর মোবাইল টা দে একটু(এনি)
-দিচ্ছি বলে শান্ত আর জুইয়ের লিপ কিছের একটা ছবি ওয়াল পেপার দেয়।
-নে বলে জুই মোবাইল টা হাত বাড়িয়ে দেয়।
-এনি মোবাইলের ওয়ালপেপারে এসব ছবি দেখে রাগে নাক মুখ লাল হয়ে যায়। এনি সাথে ওয়ালপেপার টা দেখার সাথে সাথে মোবাইল টা আবার জুইকে ফিরিয়ে দেয়।
-কি রে নাম বলবিনা?(রাফি নামে একটা ছেলে)
-জুই তখন সবার সামনেই শান্তকে ফোন দিয়ে আসতে বলে।
শান্ত তাদের কাছাকাছি এসে দেখে এনি ও সেখানে উপস্থিত।
শান্ত এনিকে দেখে একটু একটু ভয় ও পাচ্ছে।
শান্ত আসার পরে জুই সবার সামনে হাত ধরে বলে...
-এই ভার্সিটির টপ স্টুডেন্ট আমার অনেক দিনের ক্রাশ। সেমিস্টার শেষের দিকে তাই আর দেরি না করে ওকে সব কথা বলে দিলাম। শান্ত ই আমার স্বপ্ন বলে সবার সামনেই তার কাধে মাথা ফেলে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
তাদের মধ্যে সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছে শুধু এনি ছাড়া।
-কি এনি কথা বলছিস না যে?(জুই)
-এনি মনে হয় তোর জামাইরে পছন্দ করতো বলে সবাই হেসে দেয়।
-মালিক কখনো চাকরেরর কাছে বিয়ে বসে?
-মানে?(সবাই অবাক হয়ে)
-মিস শান্ত ওপপপস স্যরি মি.শান্ত আমাদের বাড়ির বিশ্বস্ত চাকর।  সে ১২ বছরের উপরে হয় আমাদের বাড়ির চাকরের মতো করে কাজ করে যাচ্ছে।
জুই তখন..........

পর্ব – ০৯
-এই এই ওয়েট ওয়েট তুই আমার বয় ফ্রেন্ডকে এমন সবার সামনে ছোট করছিস কেনো?(জুই)
-ওরে ছোট করার কি আছে? ও যেমন ঠিক তেমন ই বললাম
-তোর কি যোগ্যতা আছে যে তুই শান্তর বদনাম গাচ্ছিস?
-এটা ওরে বল
-শান্ত এই ভার্সিটির সবচেয়ে ভালো স্টুডেন্ট, সবচেয়ে ভদ্র ছেলে,ওরে নিয়া অনেকে স্বপ্ন দেখে।
-হি হি হি স্বপ্ন দেখে?
-হ্যা
-কই আমি তো দেখি না
-তুই কাকে নিয়া স্বপ্ন দেখবি? তোর এসব আবেগ ভালোবাসা নাই, আমার ভাবতেও কেমন জানি লাগে যে তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।
-জুই শুধু শুধু একটা ছেলের জন্য বাজে বকিস না
-বাজে কি বলছি? তোর মনে কখনো এসব আসছে? প্রত্যেকটা মেয়ের ইচ্ছা থাকে তার স্বামি যেনো তাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। আমার শান্ত কে আগেও ভালো লাগতো আর এখন তো বয়ফ্রেন্ড কয়দিন পরে স্বামী হবে।  আমার মনে হয় তোর লাইফে এখনো টাকা ওয়ালা ছেলে আসে নাই।  এমন ছেলে আসলে যেইভাবে হউক নিজের করে নিস বলে শান্তর হাত ধরে অন্য কোনো জায়গায় যায়।
-ওরে এভাবে বলা ঠিক হয় নাই(শান্ত)
-তো কিভাবে বলবো?
-ও মনে হয় অনেক রাগ করছে
-করলে করবে, কত্তো বড় সাহস আমার শান্তকে ছোট করতে আসছে বলে জুই শান্তর কাধে মাথা রেখে নিশ্বাস ফেলে।
শান্ত তখন মাথায় হাত রেখে কপালে একটা চুমু খেয়ে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে।
এনি বাসায় গিয়ে জুই এর কথাগুলো ভাবছে।
আসলেই তো আমি কখনো প্রেমে পরিনি।  আমি এমন কেনো? কত ছেলেই তো প্রপোজ করছে কিন্তু কারোর প্রেমে সারা দেয় নাই।
শান্তরে দেখতে তো ভালোই লাগে কিন্তু আমি কেনো ওর সাথে এমন করি?
আর জুই আমাকে এমন ভাবলো?
ভাবলে ভাবুক, আমিও দেখবো তাদের প্রেম কতটুকু যায়। শান্ত তখন বাসায় আসে।
আজকে এনির সামনে পরার পরেও কোনো কিছু বলে নাই। এই প্রথম এনি তাকে সামনে পেয়েও কিছু না বলে ছেড়ে দিলো।  শান্ত রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে জুই এর সাথে কথা বলা শুরু করে।
পরেরদিন এনি ভার্সিটিতে গিয়ে দেখে শান্ত আর জুই একসাথে বসে আছে আর হাসাহাসি করছে।  জুই এনিকে দেখে শান্তকে হালকা করে কিছ করে।
-এই সবার সামনে এসব কি করছো(শান্ত)
-তো কি হয়ছে? বলে শান্তর ঠোটে আরেকটা দেয়।
এনি এসব দেখে রাগি মুখে সামনে থেকে চলে যায়।  ক্লাস শেষে শান্ত আর জুই একসাথে হাত ধরে হেটে হেটে বাহিরের দিকে যাচ্ছে আর এনি তাদের দিকে চেয়ে আছে আর ভাবছে জুই কতো চেইন্জ হয়ে গেছে।  এতদিনের বন্ধুত্ব শেষ করে দিয়ে ও একটা ছেলের হাত ধরে হাটছে।  এসব ভাবতে এনি বাসায় যায়।
শান্ত বাসায় যাওয়ার পরে এনির বাবা তাকে খোজ করে তখন সে এনির বাবার সামনে যায়।
-আংকেল কিছু বলবেন?
-আজকে আমরা সবাই একটা অনুষ্টানে যাবো সাথে তুমিও যাবে
-আংকেল না গেলে হয় না?
-আমাদের সাথে যেতে পারলে ভালো হতো
-ওকে
সন্ধ্যার দিকে গাড়ি নিয়ে বের হয়।  এনির সামনের সিটে আর এনির মা-বাবা পিছনে বসে আছে।
এনির বাবার বন্ধুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যায়।  আজ নাকি তাদের ওখানে কিসের অনুষ্টান যেনো আছে তাই এখানে সবার আসা।
গাড়ি পার্কিং করে বাসায় আসার পরে এনির বাবার বন্ধুর ছোট মেয়ে এনির কাছে আসে
-আপু কেমন আছো?(নিশি,পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে)
-হুম ভালো, তুমি কেমন আছো?(এনি)
-হুম ভালো,আপু এই ছোলেটা কে?
-এমনি কেউ না
-বুঝছি
-কি বুঝছো?
-এটা কি তোমার বয় ফ্রেন্ড? তোমার সাথে অনেক ভালো মানাবে বলে হাসি মারে
-এই কি বলছো এসব?
-তোমার বর নাকি?
-নিশিইইই চুপ করো
-আচ্ছা বলে চলে যায়।
নিশি যাওয়ার পরে এনি শান্তর দিকে খেয়াল করে দেখে শান্ত নিচের দিকে চেয়ে চেয়ে মোবাইল টিপছে আর নিজে নিজে হাসতাছে ।  এনি তখন ভাবে হয়তো জুই এর সাথে চ্যাটিং করতাছে।
এভাবে অনুষ্টান শেষ হওয়ার পরে সবাই আবার গাড়ি করে বাসায় চলে আসে।
দুইদিন পরে ভার্সিটিতে গিয়ে দেখে শান্ত আর জুই হাত ধরে ধরে কথা বলছে আর হাসাহাসি করতাছে এনি তখন তাদের চোখে ধরা না দিয়ে বাসায় চলে আসে।
এনি তার মা-বাবাকে সামনে রেখে......
-বাবা
-কি হয়ছে বল
-তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো
-কি বলবি বল
-কথাটা একটু ডিফারেন্ট
-আরে বল
-আমি শান্তকে বিয়ে করবো
-কিহহহহ (এনির বাবা অবাক হয়ে)
-হ্যা বাবা
-কিন্তু তুইতো ওরে একদম সহ্য করতে পারিস না, সারাক্ষণ ঝগড়া লেগে থাকিস, হঠাৎ এমন পরিবর্তন হলি কিভাবে?
-বাবা আমি এসব কিছু জানিনা, তারাতারি বিয়ের ব্যাবস্থা করো
-সামনে তোদের পরীক্ষা
-পরীক্ষা আরো ৫ মাস আছে
-তোর কি হয়ছে বল তো
- কিছু না, শান্ত তো তোমাদের পছন্দের ছেলেই, শান্তর সাথে বিয়ে দিতে কোনো আপত্তি আছে নাকি?
-নাহ
-তাহলে তারাতারি শান্তকে বলে বিয়ের ব্যাবস্থা করো বলে এনি রুমে চলে যায়।
এনির বাবা শান্তকে ডেকে এসব বলার পরে..........

পর্ব – ১০
এনির বাবা শান্তকে ডেকে.....
-বাবা একটা কথা ছিলো (এনির বাবা)
-জি আংকেল বলেন
-কথা টা কিন্তু পার্সোনাল
-আগে বলুন
-আমাদের এনি তোমাকে বিয়ে করতে চায়
-কিহহহ
-হ্যা
-আংকেল আমি পারবো না
-কেনো বাবা
-কিছু সমস্যা আছে, আর আমি এখন বিয়ের জন্য প্রস্তুত নয়
-কি হয়ছে? আর কি সমস্যা?
-আংকেল আমি একটু রুমে যায় প্লিজ, বলে শান্ত রুমে আসার সাথে সাথে জুইকে ফোন দিয়ে সব কিছু বলে।
-এই শান্ত এসব কি বলছো?(জুই)
-হ্যা
-না না না এটা হতে পারে না, আমি তোমাকে সত্যিকারের ভালোবাসি
-আমিও রে জুই, আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না বলে কান্না করে দেয়।
-জুই ও কান্নায় ভেঙ্গে পরে।
-এই কান্না করছো কার সাথে(এনি)
-তুমি?
-ওহহহ ডিস্টার্ব করলাম নাকি?
-মানে?
-জুই এর সাথে আর কথা বলবানা
-আমি জুইকে ভালোবাসি
-ঐ চুপ, এই মুখে জুইয়ের নাম নিবি তাহলে খুব খারাপ হবে বলে দিলাম।
-এনি আমি এটা বিশ্বাস করি যে তোমাদের ফেমিলির জন্য আমি পড়ালেখা করতে পারছি, এতে আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
প্লিজ এনি আমার সাথে এসব টা কইরো না, আমি জুইকে বড্ড বেশি ভালোবাসি, আমি জুইকে ছাড়া বাচতে পারবো না
-নাটক বন্ধ কর
শান্ত তখম এনির পায়ে ধরে ফেলে,
-এই এই কি করছিস?
-প্লিজ আমাকে জুইয়ের কাছ থেকে আলাদা কইরো না।  জুই আমার সব
-এখন কি তোর সিনেমা বন্ধ করবি নাকি অন্যকিছু করবো?
-অন্য যা কিছু করো কিন্তু জুইয়ের কাছ থেকে আমাকে সরিয়ে নিও না
-চুপ ছোট লোকের বাচ্চা বলে এনি চলে যায়।  শান্ত তখন কান্না করতে থাকে।
-এনি(এনির বাবা)
-হ্যা বাবা বলো(এনি)
-বিয়েতে মনে হয় শান্ত রাজি না
-কেনো?
-জানিনা
-বাবা আমি এসব কিছু জানিনা, আগামী দুই দিনের মধ্যে ওর সাথে বিয়ে হতে হবে
-ও তো রাজি না,তাহলে কি করবো?
-দরকার হলে জোর করো
-সবকিছু জোর করে হয় না
-আপোষে কেউ না দিলে জোর করে আদায় করে নিতে হয় আর যদি না পারো তাহলে তুমি তোমার একমাত্র মেয়েকে হারাবা
-এসব বাজে বকছিস কেনো?
-বাজে বকছি না, সত্যি সত্যি খারাপ কিছু করে ফেলবো।
-তুই রুমে যা আমি দেখতাছি।
বলে এনির বাবা শান্তর রুমে প্রবেশ করে।
-বাবা আমি একটা কথা বলি?
-জি আংকেল বলেন
-আমাকে কি তোমার বাবার মতো মনে হয় না?
-হ্যা
-যদি বাবা ভাবো তাহলে এই অনুরোধটা রাখো প্লিজ
-আরে আংকেল এসব কি করছেন,আপনি রুমে যান, যা ভালো হয় তা করেন
-এনির বাবা তখন খুশি মনে রুম ত্যাগ করে।
শান্ত তখন জুইকে ফোন করে বলে তার সাথে দেখা করতে।
দুজনে দেখা করার পরে দুজন দুজনের চোখে চোখ রেখে কান্না করে দেয়।
জুই তখন শান্তকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করে দেয়।
শান্ত ও নিশ্চুপ থেকে কান্না করে দেয়।
-শান্ত আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না (জুই)
-জুই আমি ও, তোমাকে ছাড়া থাকা কোনো ভাবেই সম্ভব না
-এটা কি ফিরানো যায় না?(জুই)
-যে আমাকে ১২ বছর হয় লালন পালন করতাছে তার বিপরীতে একটা কথা বলবো কি জ্ঞান নিয়ে?
-তাহলে কি আমাদের মিলন হবে না?
-আমি তোমাকে বিয়ে করবোই
-শান্ত আমি তোমাকে ছাড়া একটা মুহূর্ত ও ভাবতে পারিনা
- আর ভাবতে হবে না (পিছন থেকে এনি)
-জুই তখন দৌড়ে উঠে এনিকে জড়িয়ে ধরে বলে, এনি বইন আমার আমাদের সাথে এসব করিস না
-আমাদের বিয়েতে আসিস
-এনি সেই ক্লাস ওয়ান থেকে আমি তোর বেস্টফ্রেন্ড, তুই আমার সাথে এসব করতে পারবি?
-স্বামীর ভাগ আপন বোনকেও কেউ দেয় না আর সেই জায়গায় তো তুই বান্ধবী
-প্লিজ এনি, আমি শান্তকে ছাড়া বাচতে পারবো না।
এনি তখন শান্তর হাত ধরে টেনে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়।
-এনি প্লিজ আমাদের সাথে এই কাজটা কইরো না (শান্ত)
-এখন কি আপনাআপনি চুপ করবি নাকি খারাপ কিছু করতে হবে?
-শান্ত তখন চুপচাপ চোখের পানি ছেড়ে দেয়।
দুইদিন পরে এনি আর শান্ত এর বিয়ে হয়ে যায়।
আজকে দুজনের বাসর রাত,শান্ত ছাদের উপরে গিয়ে জুইকে একটা মেসেজ দেয়।
জুই আমি তোমাকে ভালোবাসি,আমার সবকিছু তোমার, আমাকে এনি কখনোই মন থেকে পাবে না, আমাকে বিশ্বাস করো আগামী ৬ মাসের মধ্যে আমি তোমাকে বিয়ে করবো , প্লিজ বিলিভ মি।
এটা লিখে মেসেজ সেন্ট করে দেয়।
-এখানে কি করছো?(এনি)
-এমনি তে বসে আছি(শান্ত)
-রুমে আসো
-কেনো?
-আসো বলছি
-শান্ত তখন এনির পিছনে পিছনে রুমে যায়।
শান্ত রুমে প্রবেশ করার পরে এনি দরজা লাগিয়ে শান্তর দিকে এগুচ্ছে আর শাড়ির কুচি গুলো এক এক করে খুলছে, এনি যখন শান্তর খুব কাছে চলে আসে শান্ত তখন এনিকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ফ্লোরে................

পর্ব – ১১
শান্ত রুমে প্রবেশ করার পরে এনি দরজা লাগিয়ে শান্তর দিকে এগুচ্ছে আর শাড়ির কুচিগুলো এক এক করে খুলছে,এনি যখন শান্ত এর খুব কাছাকাছি চলে আসে শান্ত তখন এনিকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ফ্লোরে ফেলে দেয়।
এনিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার পরে এনি অবাক হয়ে শান্তর দিকে তাকিয়ে....
-কি হয়ছে(এনি)
-তুমি আমার কাছে আসো কেনো?
-এখন তুমি আমার স্বামী হও, আমার যা মন চাই তা করবো
-আমি কিছু করতে পারবো না
-কেনো?
-আমার এই শরীর শুধু জুই এর জন্য
-এখন কিন্তু খুব খারাপ হবে
-কি খারাপ করবা তুমি? মারবা? মারো
-এত কথা না বলে আসো ঘুম আসছে বলে শান্তর হাত ধরে
-শান্ত হাত ঝাড়া দিয়ে, এই হাতে ধরার শুধু জুই এর অধিকার আছে তোমার না
-জোর করে আদায় করতে হবে?
-কি জোর করবা?
-বলছি ভালোই ভালোই চলো একসাথে শুয়ে ঘুমায়
-শান্ত তখন পাতলা একটা কাথা নিয়ে সোফার উপরে গিয়ে শুয়ে পরে।
এনি শান্তর দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।
শান্ত সোফায় শুয়ে নাকে মুখে কাথা দিয়ে জুই এর কথা ভাবতে চোখ দিয়ে পানি চলে আসে।
আর এনি খাটের উপর বসে বসে শান্তর দিকে তাকিয়ে আছে।
সকাল হওয়ার পরে সবাই একসাথে নাস্তা করার পরে শান্ত বাহিরে যাবে এমন সময়...
-কোথায় যাও?(এনি)
-মন যেখানে চায় সেখানে যাবো
-এভাবে কথা বলো কেনো?
-আমি এভাবেই কথা বলি
-বললেই তো পারো জুই এর সাথে দেখা করতে যাচ্ছো
-ভালোই আন্দাজ করতে পারো
-জুই এর সাথে যাতে কখনোই না দেখি
-জুইকে বিয়ে করবো
-ঐ চুপ করবি নাকি এখন লাঠি পেটা করবো
-বড় গলা করে লাভ নাই, বায়
বলে শান্ত বাহিরে চলে যায়।
জুই এর সাথে দেখা হওয়ার পরে জুই অন্যদিকে চেয়ে আছে আর কতক্ষণ পর পর নাক টানছে তাতে শান্ত বুঝতে পারে ও কান্না করছে।
-জুই আমি এখন কি করবো বলো? আমি কিচ্ছু বুঝতাছি না
-ওর সাথে বাসর করছো, এখন হানিমুনে যাবা
-জুই এসব কি বলছো?
-মিথ্যা বলছি নাকি?
-আরে বাবা আমাকে তুমি না বুঝলে কে বুঝবে? বলছি তো আমি পরিস্থিতির স্বীকার।
-শান্ত আমি পারতাছি না বলে একটু আওয়াজ করে কান্না করে দেয়।
-শান্ত ও জুইকে বুকে নিয়ে কান্না করে দেয়
-শান্ত আমি কি তোমাকে হাড়িয়ে ফেলবো?
-শান্ত তখন দু হাতে মাথার দুপাশে রেখে চোখে চোখ রেখে,আমাকে বিশ্বাস করো?
-হ্যা
-তাহলে আবারো শুনো,এই শান্তর সবকিছু জুই এর জন্য
-জুই তখন শান্তকে জড়িয়ে ধরে ফেলে
তখন শান্তর ফোনে কল আসে।
শান্ত পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখে এনি ফোন করছে,ফোনটা ধরার পরে...
-কোথায় তুমি?(এনি)
-বউয়ের কাছে(শান্ত)
-কিহহ
-হ্যা
-মজা করতাছো?
-ভিডও কল দেও, তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছা করতাছে বলে ফোন টা কেটে দেয়।
-এই তোমার মাথায় কি ভূত চাপছে?
-না তো
-তাহলে যে বললা ভিডিপ কল করতা
-হুমম
-কিন্তু কেনো?
-ওয়েট বলে শান্ত এনিকে ভিডিও কল করে।
এনি হাসি মনে রিসিভ করে, এনি শান্তকে দেখতে পেয়ে খুশি হয়ে যায়। এমন সময় শান্ত জুইকে কাছে টেনে কিছ করে আর এনিকে দেখাচ্ছে
-শান্ত এসব কি করছো? খুব খারাপ হবে কিন্তু
-হি হি হি বেশি খারাপ হবে?
-হ্যা
-তাহলে আরো দেখো বলে জুইকে আরো কাছে টেনে লিপ কিছ করে।
কিছ করে চেয়ে দেখে ভিডিও কল কেটে দিছে।  শান্ত তখন বুঝতে পারে হয়তো সহ্য করতে পারছে না তাই ফোন কেটে দিছে।
-এসব করার কি দরকার ছিলো?(জুই)
-মন চাইছে তাই করছি এখন এসব বাদ দাও বলে জুই এর সাথে আরো কতক্ষণ সময় কাটিয়ে বাসার দিকে রওনা দেয়।
বাসায় যাওয়ার পরে শান্ত রুমে গিয়ে শুয়ে আছে এমন সময়.....
-এসব কি?(এনি)
-কোন সব?
-জুই এর সাথে এসব কি করছো?
-বউয়ের সাতে স্বামী এসব করেই
-আমি তোমার বউ, আমার সাথে করো
-হি হি হি
-হাসো কেনো?
-নতুন বছরের সেরা জোকস টা শোনলাম তাই হাসি আসতেই পারে
-এটা কি জোকস?
-কেনো নয়? তুমি কোনো মেয়ে না, তুমি কিছু মানুষের জীবনে বড় একটা বাধা
-রাগ উঠাবানা বলে দিলাম
-রাগ উঠিয়ে দিলে কি করবা
-থাপ্পর দিবো
-থাপ্পর দিবা?
-হ্যা
শান্ত তখন ঠাস ঠাস করে....

পর্ব – ১২


Post a Comment

3 Comments

  1. অনুপ্রেরণা ও সফলতার গল্প, শিক্ষামূলক ছোট গল্প, ইসলামিক ঘটনা, মোটিভেশনাল উক্তি, রহস্য গল্প এবং অবাক করা সব ঘটনা পড়তে ভিজিট করুন অনুপ্রেরণা ডটকম।

    ReplyDelete
  2. বাকি পর্বগুলো কই??

    ReplyDelete