শিল্প কল কারখানার জন্য C-TPAT নিরাপত্তা অনুযায়ী নিরাপত্তা প্রহরীদের কর্মস্থলে রিপোর্টিং নীতিমালা

১। সকল নিরাপত্তা প্রহরীকে প্রতিদিন ডিউটি শুরুর অন্ততঃ ১০ মিনিট পূর্বে নিরাপত্তা পরিদর্শকের নিকট রিপোর্ট করতে হবে।

২। নিরাপত্তা প্রহরীগণ নিজেদের নির্ধারিত পোষ্টে কর্তব্য পালন করবেন।

৩। প্রত্যেক নিরাপত্তা প্রহরী ও নিরাপত্তা কর্মচারীকে ইউনিফর্ম পড়তে হবে এবং ডিউটির সময় বাঁশি বা অন্যান্য নিরাপত্তা সামগ্রী সাথে রাখতে হবে।

৪। নিরাপত্তা কর্মীগণ তার শিফট আরম্ভ হওয়ার ০৫ (পাঁচ) মিনিট পূর্বে ডিউটি পোস্টে বা পয়েন্টে অবস্থান গ্রহন করে পূববর্তী শিফটের প্রহরী থেকে কাজ কর্ম বুঝে নিবেন।

৫। প্রতি শিফটে অন্ততঃ ০২ ঘন্টা পর পর সমস্ত কারখানার নিরাপত্তা বেষ্টনী ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা পরিদর্শক রাউন্ড দিবেন। কোন রকম অনভিপ্রেত কিছু চোখে পড়া মাত্র প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক ও প্রশাসন বিভাগকে তৎক্ষনাৎ তা রিপোর্ট করতে হবে।

৬। রিপোটিং কার্যক্রম যথাযথভাবে পালনের উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা পরিদর্শক প্রাত্যহিক রিপোর্টিং এর মন্তব্য রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।

৭। কারখানার সকল নিরাপত্তা বাতি (সিকিউরিটি লাইট) ঠিকভাবে জ্বলে কিনা তা রোজ সকালে ও বিকালে কর্তব্যরত নিরাপত্তা পরিদর্শক কর্তৃক চেক করতে হবে ও সমস্যা থাকলে তৎক্ষনাৎ ইলেক্ট্রিশিয়ানকে দিয়ে মেরামত করিয়ে নিতে হবে।

৮। যদি কোন নিরাপত্তা প্রহরী কর্মস্থলে কোন কারনে অনুপস্থিত থাকেন তাহলে প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শককে অনুপস্থিত প্রহরীর ডিউটি স্থলে বিকল্প নিরাপত্তা প্রহরীর ব্যবস্থা করতে হবে।

৯। প্রতিদিন সন্ধ্যার পূর্বে দায়িত্বরত নিরাপত্তা পরিদর্শক কারখানার নিরাপত্তা বাতিগুলো জ্বালিয়ে দিবেন। এবং পরবর্তী দিনের আলো দেখা দেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বাতিগুলো জ্বালানো থাকতে হবে।

১০। সকল শিফটের নিরাপত্তা প্রহরীদের প্যারেড প্রতি মাসে একবার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক প্যারেড পরিচালনা করবেন এবং নিরাপত্তা পরিদর্শককে তা নথিভূক্ত করতে হবে।

১১। কারখানায় কোন ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা বা দূঘর্টনা সংগঠিত হলে নিরাপত্তা পরিদর্শককে তা ওহপরফবহঃ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

১২। কারখানার নিরাপত্তা কক্ষে সংযোজিত টেলিফোন লাইনটি সরাসরি। জরুরী প্রয়োজনে অর্থাৎ কোন দূঘর্টনা বা অনাকাক্ষীত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে নিকটস্থ থানায় ফোন করতে হবে।

১৩। জরুরী টেলিফোন নাম্বার গুলো নিরাপত্তা কক্ষে টেলিফোনের পাশে লেখা থাকতে হবে।

১৪। রাত্রিকালীন ডিউটির সময় চারিদিকে প্রতি ঘন্টা অন্তর রাউন্ড দিতে হবে। তাকে ডিউটি স্থল ত্যাগের পূর্বে তারপর কোন নিরাপত্তা কর্মীকে উক্ত ডিউটি পয়েন্টে সাময়িক দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে।

১৫। রাত্রিকালীন ডিউটির সময় কারখানার বারান্দা, সিঁড়ির বাতি জ্বালিয়ে রাখতে হবে।

১৬। রাত্রিকালীন দূর্ঘটনার সময় কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে অর্থাৎ প্রয়োজনীয় টেলিফোন নাম্বারগুলো সামনে রাখতে হবে।

১৭। ডিউটিকালীন সময়ে কোন নিরাপত্তা কর্মী যদি টয়লেটে যেতে চাহেন তাহলে অবশ্যই তাকে ডিউটি স্থল ত্যাগের পূর্বে অপর কোন নিরাপত্তা কর্মীকে উক্ত ডিউটি পয়েন্টে সাময়িক দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে।

Post a Comment

0 Comments