মালিকের ইচ্ছা হলো আর শ্রমিক কে, চাকরী থেকে তাড়িয়ে দিলেন, কোন কারণ
ছাড়া ই, এটা যেন মালিকের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার মতই একটা ব্যাপার, যখন
ইচ্ছা তখন ই তিনি এই অস্ত্র চালিয়ে দিতে পারবেন শ্রমিকের উপর, আর বেচারা
শ্রমিক তার ও কিছুই করার নেই, "গ্রাচ্যুইটি" এবং মালিক কতৃক প্রদেয়
অন্যান্য সকল ক্ষতিপূরণ নিয়ে, চলে যেতে হবে চাকুরী ছেড়ে, খুজতে হবে
নতুন চাকুরী, আর এখনকার দিনে যেটা সোনার হরিণ,
আসুন এবার দেখি, মালিক কোন আইনের দ্বারা এই কাজ টি করে থাকেন,
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬
ধারা - ২৬ - অনুযায়ী মালিক চাইলেই, ১২০ দিনের মজুরী স্থায়ী শ্রমিকের ক্ষেত্রে,
১৪ দিনের মজুরী অস্থায়ী শ্রমিকের ক্ষেত্রে, নোটিশ প্রদান ব্যতিরকে, এবং এই আইনে প্রদেয় অন্যান্য সকল ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে যে কোন শ্রমিক কে অপসারণ করতে পারেন,
আর এজন্য তাকে কোন কারণ ই দেখানোর প্রয়োজন নেই, মালিকের ইচ্ছা হলো আর শ্রমিক কে, চাকুরী হতে বের করে দিলেন, শ্রমিক ও চাকুরী হারালেন, কোন কারণ ছাড়া ই,
এটা কি সত্যি ই মালিকের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া নয়????
যেখানে, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর,
ধারা - ১৬ (৭) অনুযায়ী, লে-অফের জন্য, ধারা ২০ অনুযায়ী শ্রমিক কে ছাটাই করা যাবে,
ধারা - ২২- অনুযায়ী শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতার জন্য অপসারণ করা যাবে,
ধারা -২৩- অনুযায়ী অসদাচরণ এবং দন্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নোটিশ ছাড়া বা মজুরী ছাড়া ও অপসারণ করা যাবে,
ধারা-২৭- অনুযায়ী শ্রমিক নিজে ই অবসর নিতে পারবেন, মালিক কে ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে,
ধারা-২৮- অনুযায়ী শ্রমিকের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হলে তিনি চাকুরী থেকে স্বাভাবিক অবসর গ্রহণ করবেন,
এত্ত গুলো গ্রাউন্ড থাকা সত্বে ও, কেন ধারা ২৬ এর দরকার, মালিক কে, এই ক্ষমতা দেওয়া কি সত্যি ই আমাদের শ্রমিকের জন্য ভয়ংকর নয়???
কেন, মালিকের হাতে এই অস্ত্র থাকবে, আর শ্রমিক সেই অস্ত্রের ভয়ে থাকবে!!
শ্রম দিবসে এই কালো আইন থেকে আমাদের শ্রমিকের মুক্তি খুব বেশি প্রয়োজন,
যাদের ঘামে দেশ গঠিত, তাদের ই যখন চাকুরীর নিশ্চয়তা নেই,
শ্রম দিবসের শুভেচ্ছা তাদের জানিয়ে কি লাভ??
এই ২৬ ধারা সংশোধন এর মাধ্যমে আমাদের শ্রমিক কে, মুক্তি দেওয়া ই হবে তাদের জন্য শ্রম দিবসের সেরা উপহার,
তখন ই আমরা পারবো, আমাদের সংবিধানের,
অনুচ্ছেদ ১৪ এর বাস্তবায়ন ঘটাতে,
ভালো থাকুক সকল শ্রমিক; ভোগ করুক তাদের সকল অধিকার, জয় হোক মেহনতি মানুষের
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬
ধারা - ২৬ - অনুযায়ী মালিক চাইলেই, ১২০ দিনের মজুরী স্থায়ী শ্রমিকের ক্ষেত্রে,
১৪ দিনের মজুরী অস্থায়ী শ্রমিকের ক্ষেত্রে, নোটিশ প্রদান ব্যতিরকে, এবং এই আইনে প্রদেয় অন্যান্য সকল ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে যে কোন শ্রমিক কে অপসারণ করতে পারেন,
আর এজন্য তাকে কোন কারণ ই দেখানোর প্রয়োজন নেই, মালিকের ইচ্ছা হলো আর শ্রমিক কে, চাকুরী হতে বের করে দিলেন, শ্রমিক ও চাকুরী হারালেন, কোন কারণ ছাড়া ই,
এটা কি সত্যি ই মালিকের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া নয়????
যেখানে, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর,
ধারা - ১৬ (৭) অনুযায়ী, লে-অফের জন্য, ধারা ২০ অনুযায়ী শ্রমিক কে ছাটাই করা যাবে,
ধারা - ২২- অনুযায়ী শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতার জন্য অপসারণ করা যাবে,
ধারা -২৩- অনুযায়ী অসদাচরণ এবং দন্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নোটিশ ছাড়া বা মজুরী ছাড়া ও অপসারণ করা যাবে,
ধারা-২৭- অনুযায়ী শ্রমিক নিজে ই অবসর নিতে পারবেন, মালিক কে ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে,
ধারা-২৮- অনুযায়ী শ্রমিকের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হলে তিনি চাকুরী থেকে স্বাভাবিক অবসর গ্রহণ করবেন,
এত্ত গুলো গ্রাউন্ড থাকা সত্বে ও, কেন ধারা ২৬ এর দরকার, মালিক কে, এই ক্ষমতা দেওয়া কি সত্যি ই আমাদের শ্রমিকের জন্য ভয়ংকর নয়???
কেন, মালিকের হাতে এই অস্ত্র থাকবে, আর শ্রমিক সেই অস্ত্রের ভয়ে থাকবে!!
শ্রম দিবসে এই কালো আইন থেকে আমাদের শ্রমিকের মুক্তি খুব বেশি প্রয়োজন,
যাদের ঘামে দেশ গঠিত, তাদের ই যখন চাকুরীর নিশ্চয়তা নেই,
শ্রম দিবসের শুভেচ্ছা তাদের জানিয়ে কি লাভ??
এই ২৬ ধারা সংশোধন এর মাধ্যমে আমাদের শ্রমিক কে, মুক্তি দেওয়া ই হবে তাদের জন্য শ্রম দিবসের সেরা উপহার,
তখন ই আমরা পারবো, আমাদের সংবিধানের,
অনুচ্ছেদ ১৪ এর বাস্তবায়ন ঘটাতে,
ভালো থাকুক সকল শ্রমিক; ভোগ করুক তাদের সকল অধিকার, জয় হোক মেহনতি মানুষের
0 Comments