১১৭(৭) ধারা মূলত মালিকে শ্রমিকের বাৎসরিক মজুরীসহ ছুটি ভোগ করতে বাধা দান থেকে বিরত রাখার জন্য কারা হয়েছে।
এবার একটা ছোট গল্প দিয়ে ধারা ১১৭(৭) সম্পর্কে পরিস্কার হওয়া যাক। রাফি মামা লুঙ্গি নামক একটি কারখানায় চাকরি করেন।সে এই প্রতিষ্ঠানে ৩ বছর কাজ করে এবং ধারা ১১৭(৫) অনুযায়ী তার ৪০ দিন ছুটি বকেয়া পাওনা আছে,রাফির বন্ধুরা সবাই ঠিক করল সবাই ঈদের পরে কুয়াকাটা ঘুরতে যাবে।
যেই কথা সেই কাজ,রাফি মালিকের কাছে ১০ দিনের বাৎসরিক ছুটির জন্য আবেদন করল,মালিক তাকে জানালেন ঈদের পরে আমেরিকাতে লুঙ্গির শিপমেন্ট আছে।তাই ঈদের পারে তাকে কোন ছুটি দেয়া যাবে না।
অতএব, মালিকের ব্যবসায়িক প্রয়োজনে রাফির ছুটির আবেদন না মঞ্জুর করা হল।
এবার আসেন দেখি মালিকে ১১৭(৭) ধারায় কি শাস্তি দেয়া হবে। সকলের সুবিধার জন্য আমি ধারাটি উল্লেখ করে দিয়ে পরে বিশ্লেষণ করলে সকলের জন্য বুঝতে সুবিধা হবে।
"১১৭(৭) কোন শ্রমিক অর্জিত ছুটির জন্য দরখাস্ত করিলে যদি মালিক কোন কারনে উহা না-মঞ্জুর করেন,তাহা হইলে উক্ত না- মঞ্জুরকৃত ছুটি সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের হিসাবে উপধারা (৫) অথবা (৬) এ উল্লেখিত সীমার অতিরিক্ত পাওনা হিসাবে যুক্ত হইবে।"
* প্রথম বিষয়ে হল, মালিক রাফির যে ১০ দিন ছুটি না মঞ্জুর করেছেন তা তার মোট বকেয়া সীমার ৫০ দিন ছুটির সাথে যোগ হবে।এটাই হল মালিকের শাস্তি ১১৭(৭) ধারা অনুযায়ী।
অথাৎ রাফি এখন মোট ৫০ টি ছুটি জমা রাখতে পারবে।
* এখন কথা হল বছরে কতবার মালিককৃত না-মঞ্জুরীকৃত বাৎসরিক ছুটি শ্রমিকের ছুটি হিসাবের সাথে যোগ হবে?
উত্তরটা হল মালিক যতবার বাৎসরিক ছুটি না-মঞ্জুর করবেন ততবার ধারা ১১৭(৫)অথবা(৬) ধারাতে বকেয়া ছুটি হিসাবে যোগ হবে।
* এই ছুটি নগদায়ন করা যাবে কি না?
নগদায়ন করতে কোন বাধা নেই কারন শ্রম আইনের ধারা ১১ ও বিধি-১০৭ তে বলা আছে।
0 Comments