বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৯৪ এর উপ-ধারা (২) – কক্ষটি শিশুদের পরিচর্যার জন্য অভিজ্ঞ বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলার তত্বাবধানে থাকিবে।
এখানে অভিজ্ঞ বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলার কথা বলা হয়েছে, এখন অভিজ্ঞ কে, যিনি নিজের সন্তান সন্ততি কোলেপিঠে করে বড় করেছেন তিনিই আমার কাছে সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞ বলে মনে হয় কিন্তু অনেক অডিটররা এই অভিজ্ঞ শব্দ বাদ দিয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শব্দ নিয়ে তর্কবিতর্ক করে থাকেন। এইতো বেশ কিছুদিন আগে একজন অডিটর প্রশ্ন করলেন “ এই কারখানার চাইল্ড কেয়ার এটেনডেন্ট বা তত্বাবধায়ক এর প্রশিক্ষণ এর সার্টিফিকেট আছে?”, উত্তরে বললাম “ওনার চারটি ছেলেমেয়ে, এরমধ্যে সবচেয়ে ছোটটির বয়স ১০ বছর, সে এতগুলো ছেলেমেয়েকে বড় করলো কোনো প্রশিক্ষণ লাগলোনা আর এখানে ৬ বছরের কম বয়সী ৩ টি ছেলেমেয়ের জন্য তার প্রশিক্ষণ লাগবে (তখন ঐ শিশুকক্ষে তিনটি শিশু ছিলো)?
এপ্রসঙ্গে ধারা ২ এর উপ-ধারা (৩৫ক) “প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত” এই সংজ্ঞাটির উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, ২০১৩ সালে সন্নিবেশিত এই উপ-ধারাটি ২০১৮ সালে পরিবর্তন করে “ন্যূনতম ছয় মাসের প্রশিক্ষণ প্রাপ্তের স্থলে রেজিষ্ট্রার্ড ডাক্তার কর্তৃক প্রশিক্ষণ প্রাপ্তের কথা বলা হয়েছে”, যেটিই যুক্তিযুক্ত এবং সঙ্গত।
তাই পরবর্তী সংশোধনীতে ধারা ৯৪ এর এই উপ-ধারা (২) টিও একইভাবে সংশোধন করা হবে বলে আশা রাখছি এবং অডিটরদের কাছে অনুরোধ থাকবে এখানে দুটি শব্দ এক “অভিজ্ঞ” দুই “প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত” যেটি “বা” দ্বারা সংযোজিত, এরফলে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হলেই চলবে এটি মেনে নেয়ার জন্য, কেননা কারখানায় সার্বক্ষনিক ডাক্তার/নার্স রয়েছেন।
ধন্যবাদ।।
0 Comments