বাংলাদেশ শ্রম আইন – ২০১৮ এর উল্লেখযোগ্য সংশোধনী ---
ধারা ২৭ এর উপ-ধারা (৩ক) – ধারা ২৭ এর উপ-ধারা (৩ক) এ উল্লিখিত “ চাকুরী হইতে অব্যাহতি গ্রহণ করিয়াছেন” শব্দগুলির পরিবর্তে “চাকুরীতে ইস্তফা দিয়াছেন” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় – একজন শ্রমিক যদি বিনা নোটিশে অনুপস্থিত থাকেন এবং যদি ১০ দিনের অধিক অতিক্রান্ত হয় মালিক উক্ত শ্রমিককে ১০ দিনের সময় দিয়ে ব্যাখ্যা এবং কাজে যোগদানের জন্য নোটিশ প্রদান করিবেন,এরমধ্যে ব্যাখ্যা বা চাকুরীতে যোগদান না করিলে আরো ৭ দিন সময় দিয়ে আবারো নোটিশ বা চিঠি প্রদান করিবেন, এরমধ্যেও যদি যোগদান বা আত্মপক্ষ সমর্থন না করেন তবে উক্ত শ্রমিক অনুপস্থিতির দিন হইতে “চাকুরীতে ইস্তফা দিয়াছেন” বলিয়া গণ্য হইবেন।
কয়েকদিন আগে একজন প্রশ্ন করেছিলেন “একজন শ্রমিক ৫ বছর নয় দিন চাকুরী করেছেন, এরপরে সে না বলে চলে যায়, এখন তার চূড়ান্ত হিসাব কি হবে”?
তাকে যা বলেছি হুবহু তুলে ধরছি –
তার ফাইনাল সেটেলমেন্ট বা চূড়ান্ত হিসাব এভাবে হবে - তাকে সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে যেহেতু সে ৫ বছরের উপরে চাকুরী করেছেন এবং অর্জিত ছুটির পাওনা সহ আরো যতো পাওনা আছে সব দিতে হবে, শুধু সেটাই নয় যদি সে না আসে তার নমিনীকে দিতে হবে, যদি তাও না পাওয়া যায় তাহলে ১ বছর পরে “শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে” সমুদয় অর্থ জমা দিতে হবে (ধারা ১৩১ সংশোধন ২০১৮)। যেহেতু সে না বলে চলে গিয়েছেন সেক্ষেত্রে ২৭ (৩) অনুযায়ী বিনা নোটিশে চাকুরী হইতে ইস্তফা দিয়াছেন মর্মে মালিক তার নোটিশ মেয়াদ অর্থাৎ ষাট দিনের মজুরীর সমপরিমাণ অর্থ আরো সংক্ষেপে দুটি বেসিকের সমপরিমাণ অর্থ দাবী করতে পারবেন।
0 Comments