বাংলাদেশ শ্রম আইন – ২০১৮ এর উল্লেখযোগ্য সংশোধনী ---
ক্রমিক নং – ৩। ধারা ২ এর দফা (২) এর পর নতুন দফা (২ক) সন্নিবেশিত –
“(২ক) “উৎসব ভাতা” অর্থ কোনো কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদেরকে তাহাদের স্ব স্ব ধর্মীয় উৎসবের প্রাক্কালে প্রদেয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত উৎসব ভাতা;”
খেয়াল করুন বিধি দ্বারা নির্ধারিত – বিধি ১১১এর উপ-বিধি ৫ অনুযায়ী – প্রতিটি কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকদের মধ্যে যাহারা নিরবচ্ছিন্নভাবে (এক) বৎসর চাকরি পূর্ণ করিয়াছেন তাহাদেরকে বৎসরে দুইটি উৎসব ভাতা প্রদান করিতে হইবে।
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিটি উৎসব ভাতা মাসিক মূল মজুরির অধিক হইবে না, উহা মজুরীর অতিরিক্ত হিসাবে বিবেচিত হইবে।
নতুন বিষয় – এর আগে উৎসব ভাতার কথা আইনে বলা ছিলোনা শুধু বিধিমালাতে বলা ছিলো, ২০১৮ সালের আইনের সংশোধনীতে দফা হিসেবে সন্নিবেশিত করা হয়েছে ।
লক্ষণীয় বিষয় –
১) ২০১৮ সালে সন্নিবেশিত দফায় বলা হয়েছে স্ব স্ব ধর্মীয় উৎসবের প্রাক্কালে আর বিধিমালায় বলা হয়েছে দুইটি উৎসব ভাতার কথা।
২) এখন কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন স্ব স্ব ধর্মীয় মানে মুসলমানদের দুই ঈদে আর অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের তাদের উৎসবে যেমন পূজা বা বড়দিনে?
৩) বিষয়টি এমন নয়, যেহেতু বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থার কথা বলা হয়েছে এবং বিধিতে বৎসরে দুইটি উৎসব ভাতার কথা বলা হয়েছে, সেহেতু যেকোন দুটি উৎসবে প্রদান করলেই হবে অর্থাৎ সকল ধর্মের শ্রমিকদের যদি একত্রে দুই ঈদে দুটি উৎসব ভাতা প্রদান করা হয় কোন অসুবিধা নেই।
৪) পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে এভাবেই উৎসব ভাতা প্রদান করা হয়।
0 Comments