বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা-১১৭
এবং বিধি-১০৭ অনুযায়ী বাৎসরিক ছুটি গননা করা হয়।
ধারা-১১৭ তে দিন গননার বিষয়ে কিছু না বলা থাকলেও পরবর্তীতে বিধি-১০৭ তে কাজের উপস্থিতির
দিনগুলোকে গননায় নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
বাৎসরিক ছুটি গননার ক্ষেত্রে শুধুমাএ কাজের উপস্থিতির দিন গননার কথা বলা হয়েছে কেন?
কারন হিসাবে বলা যায়,
১। একজন কর্মী যখন ছুটি ভোগ করেন তখন তিনি মজুরি পেয়ে থাকেন।
২। কর্মী কাজে অনুপস্থিত থাকলে মূল মজুরি ছাড়া অন্যান্য ভাতা পেয়ে থাকেন।
তাই উক্ত দিনগুলো আবার গননায় নিয়ে বাৎসরিক ছুটি হিসাব করলে একজন কর্মী একাধিকবার সুবিধা
পেয়ে থাকেন।
তাই কাজের উপস্থিতির দিনগুলো গননায় নিতে বলা হয়েছে।
প্রকৃতি কাজের দিন গননার নিয়ম হলঃ
৩৬৫ দিন থেকে বাদ যাবে
১। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলো।
২। উৎসব ছুটির দিনগুলো।
৩। অনুপস্থিতির দিনগুলো।
৪। ভোগকৃত পীড়া, নৈমেত্তিক, মাতৃত্বকালীন এবং বাৎসরিক ছুটির দিনগুলো।
৫। বিনা বেতনে ভোগকৃত ছুটির দিনগুলো।
৬। লে-অফের দিনগুলো।
৭। ধর্মঘট বা লক আউটের দিনগুলো।
৮। অস্থায়ী অক্ষমতার দিনগুলো।
৯। সাময়িক বরখাস্তের দিনগুলো।
বছরের মোট দিনগুলো থেকে উক্ত দিনগুলোকে বাদ দিয়ে, ১৮ দিয়ে ভাগ দিলে যে সংখ্যা পাওয়া
যায়, উক্ত দিনগুলোই হবে বাৎসরিক ছুটির দিন।
0 Comments