করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ১৭ মার্চ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত কয়েক ধাপে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এই ছুটি আরও বাড়বে এটা অনেকটা নিশ্চিত বলা যায়।
এত লম্বা বন্ধকালীন শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সরকার (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) দূরশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেয়। উক্ত নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের মহাপরিচালক শিক্ষকদের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ করলে শিক্ষকরা তাদের সাধ্যমত বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ গুগল ক্লাসরুমে পাঠদান করছেন। কেউ আবার জুম সফটওয়্যার, গুগল মিট, মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করে ক্লাস নিচ্ছেন। কেউবা অন্যান্য ভিডিও কনফারেন্সিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে ক্লাস নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ অফলাইনে ক্লাস রেকর্ডিং করে তা ইউটিউবে আপলোড দিচ্ছেন বা ইউটিউব লাইভ করছেন; তবে বলতে গেলে বেশির ভাগ শিক্ষক ফেসবুক লাইভে এসে ক্লাস নিচ্ছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে এই অনলাইন ক্লাসগুলো শিক্ষার্থীদের কতটুকু উপকারে আসছে?
শিক্ষকরা যাদের জন্য অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন তারা ঐসব ক্লাসগুলো দেখছেন কিনা বা দেখতে পাচ্ছেন কিনা? শ্রেণি কার্যক্রম অধিক ফলপ্রসূ করার জন্য তথ্য প্রযুক্তির উপযুক্ত মাধ্যম কোনগুলো তা নিয়ে সংক্ষেপে আলোকপাত করার চেষ্টা করছি।
গুগল ক্লাসরুম: শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু কাজের অ্যাপ ‘গুগল ক্লাসরুম’। এটি মূলত একটি লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, গুগল ক্লাসরুমকে অনলাইনে শিক্ষার দারুণ এক মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শিক্ষক, ক্লাসের সদস্যদের সাথে নিরাপদ পরিবেশে পাঠদান ও যোগাযোগের ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষই হলো গুগল ক্লাসরুম। এটিকে দূর থেকে শিক্ষা(রিমোট লার্নিং) গ্রহণের সবথেকে কার্যকরী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বলা হয়। নির্ধারিত ক্লাস কোড ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যোগদান করতে পারে। এখানে শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পূর্ণ করতে ও জমা দিতে পারে। লেসনে অংশ নেওয়া, তাদের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ ও মুহূর্তেই শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া, অনলাইন ফোল্ডারে তাদের ক্লাসওয়ার্ক সংরক্ষণ করতে পারে। অন্যদিকে কারা অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছে এবং কী কী কাজ জমা পড়েছে তা শিক্ষক সহজেই মনিটর করতে পারে। আবার শিক্ষার্থীরাও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তুলতে এখানে গ্রুপ তৈরি করে নিতে পারে। কাগজের ব্যবহার উঠিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরো ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসার লক্ষ্যে গুগল ক্লাস রুমের যাত্রা। এই ক্লাসরুমের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো একটি কোর্সে অনেক শিক্ষার্থী এবং অসংখ্য ক্লাসের পাশাপাশি ২০ জন শিক্ষক তাদের ক্লাস যুক্ত করতে পারে।
অ্যাসাইনমেন্টের জন্য গুগল ফরম, গুগল ডক, গুগল ড্রাইভ, ইউটিউব ভিডিও যুক্ত করারও সুযোগ রয়েছে। ক্লাসরুমে আপলোডকৃত ভিডিওগুলো পরবর্তী যেকোনো সময় পুনরায় দেখা যাবে। কোনো অ্যাপস ডাউনলোড না করেও শুধুমাত্র জিমেইল আইডি ব্যবহার করে যেকোনো ডিভাইস থেকে গুগল ক্লাসে যোগদান করতে পারবে। গুগলের ভাষ্য মতে, শিক্ষাসহায়ক এই অ্যাপটি বিজ্ঞাপনমুক্ত এবং এখানকার কোনো তথ্য বাণিজ্যিক উদ্দেশে ব্যবহৃত হয় না।
জুম: সহজ ব্যবহার এবং সমৃদ্ধ ফিচারের কারণে ভিডিও কলিং সেবায় ঝড় তোলা অ্যাপের নাম জুম। বর্তমানে ওয়েব মিটিং, অনলাইন ক্লাস বা পড়াশোনায় জুম ক্লাউড মিটিং অ্যাপসটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে।
মিটিং চলাকালীন হ্যান্ড রাইটিং করা, মিটিং রেকর্ড করা, সদস্যদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা, একসিস নিয়ে অন্য কম্পিউটারে কাজ করা, ব্যবহারকারী যেখানেই থাকুক না কেন পছন্দের ব্যাকগ্রাউন্ডে ভিডিও চ্যাট করতে পারাসহ নানাবিধ সুবিধার কারণে জুম সবার কাছে এখন অনেক জনপ্রিয়। এটিতে একসঙ্গে ১০০ জন ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে পারে এবং বিনা মূল্যে প্রতিটি কনফারেন্সের সময় ৪০মিনিট।
গুগল মিট: লকডাউন পরিস্থিতিতে (Work from home) সম্পন্ন করতে বা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের জন্য গুগল নিয়ে এলো ‘গুগল মিট’। এই অ্যাপটি খুব সহজেই মোবাইলে ডাউনলোড করা যায় এবং যাদের জিমেইল আইডি রয়েছে তারা সবাই গুগল মিটের জন্য সাইন আপ করতে পারবে। এটি দিয়ে শতাধিক লোক একসঙ্গে অনির্ধারিত সময় পর্যন্ত মিটিং এবং স্ক্রিন শেয়ারিং করতে পারে। এটি মূলত গুগল হ্যাংআউটের উন্নত সংস্করণ।
মাইক্রোসফট টিমস: দুই বছরেরও কম সময়ে বাজারে এসে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে মাইক্রোসফট টিমস। মাইক্রোসফট টিমসের সফলতার পেছনে অন্যতম কারণ হলো এটি অফিস ৩৬৫ এর সাবস্ক্রিপশনের সাথে বান্ডেল আকারেই দেওয়া হয়েছে। লকডাউনে থাকা গৃহবন্দী মানুষকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত করার নানা রকম অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মধ্যে মাইক্রোসফট টিমস অন্যতম। যার মধ্যে রয়েছে অনলাইন মিটিং, চ্যাটিং, ফাইল শেয়ারিং, অনলাইন স্টোরেজসহ নানান সুবিধা। বিশেষ করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। মাইক্রোসফট টিমসের পূর্ববর্তী নাম ছিল মাইক্রোসফট ক্লাসরুম বা অফিস ৩৬৫ ফর এডুকেশন। টিম হচ্ছে একটি দল। যেই দলের একজন লিডার বা অ্যাডমিন থাকে। সেই অ্যাডমিন তার দলের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একটি আমন্ত্রণ পত্র পাঠায়, সদস্যরা এই আমন্ত্রণ পত্র গ্রহণের মাধ্যমে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করতে পারেন। এভাবেই একজন শিক্ষক টিমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্লাস পরিচালনা করতে পারে।
মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ ৬৫০ জন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ১১ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ এডুকেশন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
ইউটিউব লাইভ: লাইভ স্ট্রিমিং হলো কোনো ভিডিও সরাসরি দেখার পদ্ধতি। এ সময়ে ভিডিও মানেই যেন ইউটিউব। ইউটিউব সারা বিশ্বে খুবই জনপ্রিয় একটি ওয়েব সাইট। এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন, যিনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অথচ ইউটিউব ব্যবহার করেন না। শিক্ষা, বিনোদন, খেলা, সংবাদ, প্রযুক্তি, সাজসজ্জা, রান্না ও ভ্রমণ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের ভিডিও রয়েছে ইউটিউবে।
ইউটিউব যেমনি শিক্ষা-বিনোদনের এক অনন্য মাধ্যমে পরিণত হয়েছে, তেমনি অর্থ উপার্জনেরও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। শিক্ষকরা মানসম্মত ক্লাস বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড দিলে শিক্ষার্থীরা তা সহজেই দেখতে পারে।
ফেসবুক লাইভ: কোনো ব্যক্তি তার নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইল থেকে বা পেজ থেকে সরাসরি অডিও-ভিডিও সম্প্রচার করাই হলো ফেসবুক লাইভ। ফেসবুকে লাইভ ভিডিও বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। বিনোদন, মতামত প্রকাশ, বেচাকেনা, সংবাদ সম্মেলন সহ বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে ফেসবুক লাইভের ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু এই লাইভ স্ট্রিমিং দেখার জন্য কিছু কিছু শর্ত মেনে চলতে হয় ব্যবহারকারীদের। যেমন, বাইলে দেখতে গেলে ফেসবুক অ্যাপের মাধ্যমে দেখা, সাইন-ইন করা ইত্যাদি।
এছাড়া লাইভ চলাকালীন ফলোয়ার বা ফ্রেন্ডরা লাইভকারীর সঙ্গে কথা বলার (instant two-way conversation) সুযোগ নেই, সীমিত আকারে কমেন্ট করতে পারলেও অনেক ক্ষেত্রে লাইভকারী তাৎক্ষণিক রিপ্লাই দিতে পারে না। লাইভ চলাকালীন ছোটখাটো যান্ত্রিক ক্রুটি (প্রাইভেসি সেটিংস, সাউন্ড, ক্যামেরা, দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ) ইত্যাদি কারণে লাইভ প্রোগ্রামটি বৃথা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শিক্ষকরা যেসব শিক্ষার্থীদের জন্য লাইভ ক্লাস নেন অনেক ক্ষেত্রেই ওই শিক্ষার্থীদের একজনও তার ফেসবুক ফ্রেন্ড বা ফলোয়ার না হওয়ায় ক্লাসটি কারো কোনো কাজে আসে না।
জনপ্রিয় এক গণমাধ্যমের জরিপ বলছে, লাইভ প্রোগ্রাম মূলত নিজেদেরকে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সামনে তুলে ধরার এক অনন্য প্রচেষ্টা। এটি প্রধানত ব্যক্তি বা পণ্য প্রমোশন বা ব্র্যান্ডিংয়ের কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়। জরিপে আরও বলা হয়েছে, লাইভ স্ট্রিমিং শ্রেণিকক্ষের চাহিদা মেটাতে অনেকটা ব্যর্থ এবং অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রমে এটি ব্যবহার না করার পক্ষে অনেক বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছেন।
সিসকো ওয়েবেক্স: সিসকো সিস্টেমস ইনকর্পোরেশনের ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ ওয়েবেক্স ভার্চুয়াল ক্লাসরুম এবং ব্যবসায় বৈঠকসহ প্রায় সব ধরনের ভিডিও কনফারেন্সিং আয়োজনে ব্যবহার হচ্ছে। এই অ্যাপ ব্যবহারে কোন সময়সীমা নেই এবং একসঙ্গে একটি কনফারেন্সে ১০০ জন যোগ দিতে পারে। মাইক্রোসফট আউটলুক অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা সহজেই ওয়েবেক্স মিটিংয়ে সাইন আপ করতে পারে।
উল্লেখিত অ্যাপসগুলো ছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সিং তথা দূর থেকে শিক্ষার (রিমোট লার্নিং) কাজে দেশ-বিদেশে বর্তমানে আরও অনেক অ্যাপ ব্যবহৃত হয়। যেগুলোর অতিসংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো।
গুগল হ্যাংআউটস: গুগল এবং জি স্যুট ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল হ্যাংআউটস একটি সেরা অ্যাপ। তাই গুগল অ্যাকাউন্টস হোল্ডাররা গুগল হ্যাংআউটস ব্যবহার করে সহজেই ভিডিও কনফারেন্স করা সম্ভব। যদিও একসঙ্গে ১০ জনের বেশি কনফারেন্সে যোগ দিতে পারেনা।
হোয়াটসঅ্যাপ: হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে একসঙ্গে সর্বোচ্চ আটজন গ্রুপ ভিডিও কল করতে পারেন। মোবাইল ডিভাইসে বন্ধুদের কল করার জন্য এই অ্যাপটি সেরা।
স্কাইপ মিট নাউ: জুমের বিকল্প হিসাবে সম্প্রতি মাইক্রোসফট বাজারে এনেছে স্কাইপ মিট নাউ। এই ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপে একসঙ্গে ৫০ জন কথা বলতে পারবেন। বিনামূল্যে এই পরিষেবা ব্যবহার করা যাবে। এই অ্যাপে কল রেকর্ড করা যাবে। থাকছে স্ক্রিন শেয়ারিংয়ের সুবিধা।
ডিসকর্ড: জুমের মতো জনপ্রিয়তা না পেলেও ইতিমধ্যেই ভিডিও কনফারেন্স করতে অনেকেই ডিসকর্ড ব্যবহার শুরু করেছেন। এই অ্যাপ ব্যবহার করে একসঙ্গে ৫০ জন ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে পারে। গেমারদের মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয় এই প্ল্যাটফর্ম।
ফেসবুক মেসেঞ্জার রুমস:
মেসেঞ্জার গ্রুপ ভিডিও চ্যাটে আট জনকে যুক্ত করতে পারে। ফেসবুক নিয়ে আসছে
মেসেঞ্জার রুম। এতে একসঙ্গে ৫০ জন ভিডিও কলে যুক্ত হতে পারবেন। অফিসের কাজে
জুম ব্যবহার হলেও মেসেঞ্জার রুমসে থাকছে বিভিন্ন সোশ্যাল ফিচার। ফেসবুক
অ্যাকাউন্ট ছাড়াই মেসেঞ্জার রুমস ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপ ডাউনলোড না করেই
আমন্ত্রণের সঙ্গে পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করে যেকোনো ব্যক্তি এই ভিডিও
কনফারেন্স পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়া রয়েছে- Google Duo (গুগল ডুয়ো), GoToMeeting (গোটুমিটিং), join.me (জয়েনডটমি), Slack (স্লেক), Appear.in (অ্যাপেয়ারডটইন), BigBlueButton (বিগব্লুবাটন), Telepresence (টেলিপ্রেজেন্স, RingCentral (রিংসেন্ট্রাল), Intermedia AnyMeeting (ইন্টারমিডিয়া অ্যানিমিটিং), ClickMeeting (ক্লিকমিটিং), BlueJeans (ব্লুজিনস), FaceTime (ফেসটাইম: অ্যাপল ডিভাইসে বন্ধুদের কল করার জন্য সেরা), Skype (স্কাইপে: গ্রুপ চ্যাটের জন্য সেরা), Marco Polo (মার্কো পলো: ভিডিও বার্তা প্রেরণের জন্য সেরা), Facebook Messenger (ফেসবুক মেসেঞ্জার: ফেসবুক আসক্তদের জন্য সেরা), Houseparty (হাউসপার্টি: একসাথে গেম খেলার জন্য সেরা), Jitsi (জিটসি: সেরা ওপেন সোর্স বিকল্প), Amazon Chime (আমাজন চাইম: AWS ব্যবহারকারীদের জন্য) ইত্যাদি।
উল্লেখিত ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের কাজে ব্যবহৃত অ্যাপসগুলোর সক্ষমতা, নিরাপত্তা, কাজের ধরণ বা প্রকৃতি, ব্যবহারকারীর সংখ্যা, সহজলভ্যতা ও খরচ ইত্যাদির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যেহেতু পাঠদান উপযোগী ও শিক্ষাবান্ধব একাধিক সফটওয়্যার রয়েছে সেহেতু কেন আমরা ফেসবুক লাইভকে অগ্রাধিকার দিব? সারাবিশ্বে করোনা মহামারি চলাকালীন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে দূর শিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গুগল ক্লাসরুম, জুম, গুগল মিট, ইউটিউব এবং মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করে ভার্চুয়াল ক্লাস চালু করেছেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তাদের শিক্ষকরা।
তথ্য সূত্র: ইন্টারনেট (গুগল ও ইউটিউব), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক জার্নাল, সংবাদপত্র ইত্যাদি।
লেখক: মো. আতিক উল্লাহ চৌধুরী, প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও কো-অর্ডিনেটর, অনার্স কোর্স, রাউজান সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম।
0 Comments