ধারা-20- কোন কারখানায় কাজের প্রয়োজন অপেক্ষা বেশি
শ্রমিক থাকার কারনে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরী অবসান করাকে ছাঁটাই বলে:
শ্রম আইনে সংজ্ঞা :অপ্রয়োজনীয়তার কারনে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরীর অবসান। ধারা: 2(11)
ছাঁটাই করার নিয়ম:
1) একটানা একবছর কাজ করেছেন এমন শ্রমিককে ছাঁটাই করতে
হলে ছাঁটাই এর কারন উল্লেখ করে এক মাসের লিখিত নোটিশ দিতে হবে , নোটিশ না
দিলে এক মাসের ( নোটিশ সময়ের) মজুরি দিতে হবে।
2) ছাঁটাই নোটিশের একটি
কপি প্রধান পরিদর্শক অথবা প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন
কর্মকর্তাকে দিতে হবে। এবং আরেকটি কপি কারখানায় কোন ইউনিয়ন বা সিবিএ থাকলে
দিতে হবে।
ছাঁটাই নোটিশে নিম্নলিখিত তথ্যসমূহ উল্লেখ করতে হবে :- যথা-
ক)প্রতিষ্ঠানের নাম
খ) শ্রমিকের নাম, পদবী ও কার্ড নম্বর।
গ)ছাঁটাই এর কারন।
ঘ) ছাঁটাই কার্যকর হইবার তারিখ।
ঙ)মোট চাকুরীকাল
চ) শ্রমিকের প্রাপ্য: নোটিশ পে( যদি প্রযোজ্য হয়) , ক্ষতিপূরন।
ছ)অভোগকৃত বার্ষিক ছুটির মজুরি।
জ) বকেয় মজুরি, অন্যান্য ভাতা ও অধিকাল ভাতা (যদি পাওনা থাকে)
ঝ) পাওনা পরিশোধের তারিখ:
ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে সুবিধাদি বা পাওনাদি:-
* বকেয়া মজুরি ও ওভারটােইম।
*বর্তমান মাসের মজুরি ও ওভারটাইম
* অর্জিত ছুটি পাওনা থাকলে তার মজুরি।
* প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য 30 দিনের মজুরি বা গ্রাচুইটি যেটি বেশি হবে।
*এক মাস আগে নোটিশ না দিলে( প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এক মাসের মজুরি।
* প্রভিডেন্ট ফান্ড থাকলে প্রভিডেন্ট ফান্ড এর টাকা।
* কোন শ্রমিককে ধারা 16 (7) এর অধীন ছাঁটাই করিলে ধারা-20 এর (2) এর (ক)
অনুযায়ী নোটিশ দিতে হইবে না, তবে ক্ষতিপূরণ বা গ্রাচুইটির অতিরিক্ত হিসাবে
আরোও 15 দিনের মজুরী দিতে হইবে.
0 Comments