চাকরি ছাড়ার সময় যা করবেন

# প্রায় প্রতিটি অফিসেই চাকরি ছাড়ার কয়েকদিন আগে মানবসম্পদ বিভাগকে অবহিত করার নিয়ম চালু থাকে। এ সময় মানবসম্পদ বিভাগ নতুন কর্মী নেওয়াসহ আপনার প্রাপ্য বেতন-বোনাসের হিসাব করার সুযোগ পায়।

# আপনার অর্জিত ছুটি আর বেতন-বোনাস-সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে এ সময় আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আর মানবসম্পদ বিভাগকে অবহিত করুন।

# আর্থিক হিসাবনিকাশের দিকে খেয়াল রাখুন। বিল-বকেয়া কিংবা ছোটখাটো সব আর্থিক হিসাব মিটিয়ে ফেলুন।

# আপনার নামে অফিস থেকে বরাদ্দ হওয়া ক্যামেরা, ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস, গাড়ি-মোটরসাইকেল বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে লিখিত ছাড়পত্র নিয়ে নেবেন।

# পুরোনো অফিস থেকে আপনার অব্যাহতিপত্র আর অভিজ্ঞতার সনদ মানবসম্পদ বিভাগ থেকে নিতে ভুলবেন না। ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য অভিজ্ঞতা সনদ বেশ গুরুত্বপূর্ণ সনদ হিসেবে বিবেচিত হয়।

# অফিসে ব্যবহৃত কম্পিউটার থেকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি ও ফাইল মুছে ফেলুন। অন্য প্রয়োজনীয় ফাইলসমূহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দিন।

# আপনার অফিসে ব্যক্তিগত ব্যবহারের বিভিন্ন বস্তু যেমন বই, ছবির ফ্রেম, অ্যাকুরিয়াম কিংবা শখের কলমদানি, মগ, গ্লাস সরিয়ে ফেলুন। অফিসের লাইব্রেরি থেকে বই নিলে তা ফেরত দিন।

# চাকরি ছাড়ার শেষ দিন পর্যন্ত অফিসের নিয়মকানুনকে শ্রদ্ধা করুন। অধিকাংশ সময় দেখা যায়, চাকরি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েই প্রায় ৬০ শতাংশ কর্মী পুরোনো কর্মস্থলে অসৌজন্য ও বিশৃঙ্খল আচরণ করেন।

# চাকরি ছাড়ার সময় অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে পুরোনো রাগ-অভিমান কাটিয়ে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করুন। সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে পুরোনো সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখুন।

# সবশেষে, পুরোনো কর্মস্থলের সবাইকে ই-মেইলে কিংবা সরাসরি ধন্যবাদ জানিয়ে নতুন উদ্যমে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করুন।

যা করবেন না

# পুরোনো অফিসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিংবা দলিলপত্র নতুন অফিসে কাজে লাগবে, এমনটা ভেবে নিজের সঙ্গে নেওয়া কখনোই উচিত না।

# পুরোনো সহকর্মী কিংবা অফিসের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ কিংবা বাজে আচরণ করা থেকে বিরত থাকুন।

# যে কোম্পানি ছেড়ে যাচ্ছেন সে কোম্পানি বা আপনার সেখানকার বস সম্পর্কে কোনো বাজে কথা বলবেন না। এমনকি আপনার সহকর্মীরা যদি আপনাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেসও করে তাহলেও কিছু বলবেন না। কেউ হয়ত জিজ্ঞেস করতে পারে কোম্পানি বা বসের সঙ্গে কোনো ঝগড়া বা দ্বিমতের কারণেই কি আপনি চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন? এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরে শুধু বলুন, ‘আমি বর্তমান চাকরির চেয়ে ভালো একটি সুযোগ পেয়েছি যা আমি কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চাই না।’

# আপনার নতুন কর্মস্থলে চাকরির সুযোগের ব্যাপারে পুরোনো কর্মস্থলের সহকর্মীদের কিছুই বলতে যাবেন না। যদিও আপনার নতুন কর্মস্থলের বস আপনাকে ইতিমধ্যেই সেখানকার লোভনীয় বেতন-বোনাস সম্পর্কে কিছু বলে থাকেন বা আপনার বন্ধুদেরকেও সেখানে নিয়োগের ব্যাপারে উৎসাহিত করে থাকেন! এ ধরনের কাজ একটু ধৈর্য ধরেই করুন এবং এখনই নতুন কর্মস্থলের জন্য কর্মী নিয়োগের তৎপরতা শুরু করবেন না।

# নতুন চাকরি সম্পর্কে পুরোনো সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প অনেক সময় অন্যদের মধ্যে হতাশা তৈরি করে। এ আচরণ থেকে বিরত থাকুন।

# নতুন জায়গায় যোগদানের আগের কয়েকটা দিন পুরোনো অফিসে নতুন অফিসের কাজকর্ম করা থেকে বিরত থাকুন।

Imranul Islam

Post a Comment

0 Comments