পানি দুষন এর প্রধান কারন মুলত আমরাই।


পানি যা একটি অপরিহার্য উপাদান। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ এর শরির এ প্রায় ৫৫ থেকে ৬৫ ভাগ পানি বিদ্যমান। মাতৃ গরভে শিশুর শরির এ ৭৫ ভাগ পানি বিদ্যমান। যা একটি মাছ এর সমতুল্য। জন্মগ্রহণ এর সাথে সাথে একটি শিশু তার শরির থেকে ১০ ভাগ পানি হারায়, আর বিশুদ্ধ পানির অভাবে প্রতি ১৯ সেকেন্ড এ একজন মা হারায় তার নবজাতক শিশুকে। এভাবেই প্রতিদিন পানি বাহিত রোগ এ আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১ বিলিয়ন মানুষ প্রান হারায়।
আসুন যেনে নেই আমাদের এই পানি প্রয়োজন কথা থেকে মেটাচ্ছে।

পৃথিবী প্রিষ্ট প্রায় ৭১ ভাগ পানি দারা আবৃত্ত, যার ৯৬.৫ ভাগ রয়েছে সমুদ্রে। আর বাকি অংশ বায়ু, নদী এবং পৃথিবীর গভির এ একুয়াফের এ সংগ্রহীত রয়েছে। পৃথিবীর উপরি ভাগ এ যে পানি রয়েছে তাকে বলা হয় সার্ফেস ওয়াটার। আর এই সার্ফেস ওয়াটার এর প্রধান অংশ রয়েছে সমুদ্রে। সমুদ্রে যে পানি রয়েছে তাতে রয়েছে প্রচুর পরিমান এ লবন ও অন্যান্য উপাদান। যা আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিশুদ্ধ করতে প্রয়োজন অনেক অর্থ। তা পরিশোধন করতে আনুমানিক একজন এর জন্য দিন এ ২৩ টাকা এবং ১৬ কোটি মানুষ এর জন্য প্রায় ৩৭১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। আর তাই বাংলাদেশ এর প্রায় ৯৭ ভাগ মানুষ একুয়েফার বা ভূগর্ভ স্তর এর পানির অপর নির্ভরশীল। আর সে কথা বিবেচনা করেই আমরা একুয়েফার এর পানি সহজলভ্য বলে আমরা যান্ত্রিক উপায়ে বা কুপের সাহায্য নিয়ে তা উত্তোলন করছি।

উত্তোলক এত সহজ হলেও পানি কিন্তু এত সহজে একুয়েফার এ জমা হয় না। বিন্দু বিন্দু আকারে অভিকারষের প্রভাবে তা অনেক পথ পারি দিয়ে একুয়েফার এ আসে। আর মাটির কনার মধ্য দিয়ে যাবার সময় তার সাথে মিশে থাকা অপদ্রব্য গুলো দূর হয়।মুলত একুয়েফার থেকে আমরা প্রতিদিন যে পরিমান পানি উত্তোলন করি তা কয়েক মাসেও পূর্বেকার অবস্থান এ ফিরে না। আর এভাবেই একুয়েফার এর পানি কমতে থাকে। ধারনা করা যায় এভাবে পানি কমতে থাকলে একুয়েফার এর পানি সবটুকুন শেষ হয়ে যাবে। আর তা পরবর্তী ১০০ বছরেও পুরন করা যাবে না। বুঝতেই পারছেন পরবর্তী ১০০ বছর আপনি আর আপনার পরবর্তী প্রজন্ম কিভাবে বাচবেন। তাই অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন ৩য় world যুধ্য পানির জন্য হবে।

আচ্ছা একুয়েফার থেকে যে পানি উত্তোলন করছি তা কোথায় যাচ্ছে?

আমাদের ব্যবহারকৃত ও অপচয় করা পানি যুক্ত হচ্ছে সার্ফেস ওয়াটার এর সাথে। আর দুষিত হচ্ছে সার্ফেস ওয়াটার। সার্ফেস ওয়াটার থেকে কিছু বাস্প হয়ে মিশে যাচ্ছে বায়ুতে, এবং পুনরায় ব্রিষ্টি রুপে ফিরে আসছে। দুষিত পানি অরগানিক অপদ্রব্য গুলো স্রতের মাধ্যমে বাতাসে অক্সিজেন এর সাহায্য নিয়ে চারিত হয়ে থিতিয়ে পরছে নদী তল দেশে, কিন্তু তার জন্য যে সময় প্রয়োজন তাও আমরা দিচ্ছি না। আমাদের ছুরে দেয়া কঠিন বর্জ্য এবং শিল্পকারখানার বর্জ্য সমূহ সার্ফেস ওয়াটার কে করে তুলছে আরও দূষিত। যা প্রাকৃতিক ভাবে পানি কে বিশুদ্ধ হতে দিচ্ছেই না বরং সমুদ্র প্রিষ্ঠের উচ্চতা কে বৃদ্ধি করছে। যার ফল সরুপ প্রতিনিয়ত আমাদের রাস্তাঘাট, ঘর বাড়ি ভূপৃষ্ঠে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এর ফলে আমরা পুনরায় স্থাপনা উচু করে নিরমান করছি। কিন্তু এই সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতাকে প্রতিহত করার জন্য কোন পদক্ষেপ ই নিচ্ছি না। আর তাই ২০১৪ সালেরর পরিবেশ দিবস এর মূল বক্তব্য ছিল- Raise your voice not the sea level. মূলত আমাদের একটু পানির অপচয় রোধ করে এবং বর্জ্য গুলকে সঠিক স্থান এ ফেলে এই সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা কে কমানো অনেক টা সম্ভব। সরকার কে দোষ না দিয়ে আপনার ব্যবহিত পন্যের পেকেট, বতল,ড্রেনে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। দেখবেন জলাবদ্ধতা দূর হয়ে যাবে। আর আপনার নিকটস্থ কারখানা যদি সরাসরি বর্জ্য নদিতে অথবা জলাশয় এ ফেলে তার বিরুদ্ধে অভিজগ আর ঐক্যমত গরে তুলুন পরিবেশ অধিদপ্তর এর ওয়ব সাইট এ। কারখানা গুলো পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে "ওয়েষ্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট " করার অংগিকার করে ছাড়পত্র নিয়ে থাকে কিন্তু তা না করে তারা বর্জ্য গুলো পরিবেশ এ ছেরে আপনার আমার সম্পদ নষ্ট করছে। পরিবেশ অধিদফতর প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। তাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করুন।
এই ইনফরমেশন গুলো নেট থেকে সংগ্রহ করা। লেখায় ভুল থাকতে পারে। ক্ষমা চোখে দেখবেন।
আসুন আমরা আমাদের পরিবেশ কে সচ্ছ করে তুলি।

আমার পরিবেশ, আমাকেই ঠিক করতে হবে।collected

Post a Comment

0 Comments