আইন মানুষের উপকারের জন্য এবং সমাজের মধ্যে মানুষকে সঠিক পথে প্রচলনের জন্য।কিন্তু আইন মানুষের ক্ষতির কারন এবং সমাজের মধ্যে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভিন্ন কোন নেগেটিভ ভাবনা ভাবতে বাধ্য করে।এর একমাত্র কারন আইন সম্পর্কে মানুষের ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করা এবং আইনকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করা।যিনি মানুষ ও সমাজ নিয়ে অনেক ভাবনা ভেবে আইনের কোন ধারা বা ব্যাখ্যা যুক্ত করেন তিনি নিশ্চই সমাজের মধ্যে শুধু উপকারের জন্য ভেবেই তৈরী করেন।
আমাদের দেশে আইন রয়েছে । আইনের প্রয়োগ হচ্ছে।বাস্তবায়ন কতটা সঠিক হচ্ছে আমরা সাধারন মানুষ সেটা বুঝতে পারিনা। এটা তারাই বোঝেন যারা আইন নিয়ে পরেছেন।বা আইনের সাথে সম্পৃক্ত আছে। কিন্তু বাস্তবে আইনতো আমাদের সাধারন জনগনের বোঝা উচিত। কারন আইন সকলের জন্য। যদি আইন বুঝতেই না পারি তাহলে মানবো কি করে। আবার কিছু আইন আমরা জানি কিন্তু অনেকেই মানেনা। তার মানে আইনের বাস্তব প্রয়োগ আমাদের সমাজে নেই।যেমন একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে,অপেন সিগারেট খেলে জরিমানার বিধান রয়েছে। বাস্তবিক ভাবে এটার মানা ও প্রয়োগ কতটা আছে?
আবার আইনের মধ্যে মানবিকতা কতটা প্রধান্য দেয় আমার জানা নেই।কারন সরকার আইন তৈরী করেছে কিন্তু প্রত্যেটি আইন সম্পর্কে মানুষের শাস্তির বিধান সম্পর্কে ধারনা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি বলেই হয়তো তেমন কোন পদক্ষেপ আমার দৃষ্টিতে পরেনি।
অজো পারাগায় লিখতে পরতে না পারা একজন মানুষ অন্যায় করছে কিন্তু সে অন্যায়ের শাস্তি সম্পর্কে যদি ধারনা থাকতো আমার মনে হয় অন্যায়টা একটু কম হতো।কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে?
মানবিকতা যখন টকশো ও রাস্তার পাশে প্লাকার্ড ব্যানারে বন্দি তখন আমরা নিজেদের বিবেকের কাছে বন্দি হয়ে যাই।
আইন ও আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে বিভক্তি নিয়ে একটি বিষয় বলতে চাই,বিষয়টা পজিটিভ না ভেবে নেগেটিভ ই ভাবছি,সেটা হলো শ্রম আইনের একটি বিষয় গর্ভপাত ঘটানো। বাস্তবিকভাবে গর্ভপাত ঘটা হলে অসম্পূর্ন বাচ্চা প্রসব যেটা রক্তপাতের মধ্যে ঘটে থাকে এবং 20 সপ্তাহের মধ্যে ঘটে থাকে।কিন্তু শ্রম আইনের মধ্যে বিষয়টা যেহেতু আর্থিক ভাবে সম্পৃক্ততার রয়েছে তাই এর প্রতি আলোচনাটাও বেশী হয়।কেউ বলছেন নোটিশের পূর্বে মৃত সন্তান প্রসব করলে শ্রমিক কোন সুবিধা পাবেনা। আমার একটি প্রশ্ন আইন কি মানবিকতা লক্ষ করেনা। তাই বিষয়টা হয়তো পরবর্তী সংশোধিত বিধিতে স্পষ্ট হওয়া যাবে।
আইন ও আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে বিভক্তি নিয়ে একটি বিষয় বলতে চাই,বিষয়টা পজিটিভ না ভেবে নেগেটিভ ই ভাবছি,সেটা হলো শ্রম আইনের একটি বিষয় গর্ভপাত ঘটানো। বাস্তবিকভাবে গর্ভপাত ঘটা হলে অসম্পূর্ন বাচ্চা প্রসব যেটা রক্তপাতের মধ্যে ঘটে থাকে এবং 20 সপ্তাহের মধ্যে ঘটে থাকে।কিন্তু শ্রম আইনের মধ্যে বিষয়টা যেহেতু আর্থিক ভাবে সম্পৃক্ততার রয়েছে তাই এর প্রতি আলোচনাটাও বেশী হয়।কেউ বলছেন নোটিশের পূর্বে মৃত সন্তান প্রসব করলে শ্রমিক কোন সুবিধা পাবেনা। আমার একটি প্রশ্ন আইন কি মানবিকতা লক্ষ করেনা। তাই বিষয়টা হয়তো পরবর্তী সংশোধিত বিধিতে স্পষ্ট হওয়া যাবে।
তার পূর্বে কিছু বলতে চাওয়া যে আমি তাদের সাথে সম্পূর্ন দ্বিমত কারন একজন শ্রমিক আইন সম্পর্কে ততোটা জানেনা তাই সে নোটিশ নাও করতে পারে। গর্ভাবস্তায় একজন শ্রমিক কি করতে হবে তা নাও যানতে পারে। মিসকারেজ বা গর্ভপাত ঘটলে আমার জানা নেই সেক্ষেত্রে মৃত্যুহার কতো কিন্তু পৃথীবিতে অনেক মা মৃত সন্তান প্রসব করলে মারা যায় সেটার হার নিশ্চই বেশি। তাছাড়া একটা পূর্নাঙ্গ বাচ্চা প্রসবের ক্ষেত্রে একজন মা তার মাতৃত্য স্বাদ পেয়ে থাকে যেমন জিবিত বাচ্চার ক্ষেত্রেও পেয়ে থাকেন। পৃথীবিতে এর চেয়ে ঝুকিপূর্ন ও কষ্টের কোন কাজ আছে কিনা আমি জানিনা। তাই একজন শ্রমিকের কোন বাচ্চা হলে অবশ্যই তাকে তার সুবিধা প্রদান করা মানবিক দৃষ্টিতে তার অধিকার বলে আমার মনে হয়।সেটা জিবিত বা মৃত হোক।
মৃত বাচ্চা প্রসব করলে যদি সুবিধা না দেয়া হয় তবে অনেক প্রতিষ্ঠানের গর্ভবতী মা ও তার সন্তান কোন কুচক্রি ও কুমতলবধারী ব্যাক্তি বা গোষ্ঠির কারনে মৃত্যুঝুকিতে থাকতে পারে।আগামির প্রজন্ম পৃথীবিতে আলোর মুখ দেখার পূর্বেই তার জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে।
তাই আমরা যারা সমাজের মধ্যে সচেতন এবং সমাজ ও মানুষরে জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করেন তার আইনটাকে সঠিকভাবে মানুষের কল্যানের জন্য তৈরী করে ব্যবহার ও ব্যখা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করবো।
আমাদের মনে রাখা উচিত একটি আইন একটা জাতির স্বপ্নকে নতুন ভাবে একটি পথ তৈরী করতে সাহায্য করে।
উপরের কথাগুলো একান্তই আমার মতামত।ভুলগুলো আমায় বললে নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করবো।
0 Comments