ভবেশবাবু সাথে সাথে উকিলকে হাত ধরে সাইকেল থেকে নামিয়ে বললেন- যাচ্ছেন কোথায়? আমার ধুতির দাম দিয়ে যান!
উকিল জিজ্ঞেস করলেন- ধুতির দাম কত? ভবেশবাবু বললেন ২০০ টাকা।
উকিল ভালো মানুষের মতো পকেট থেকে দুশো টাকা বের করে দিয়ে দিলেন!
এবার ভবেশবাবু খুশিমনে দুশো টাকা পকেটে পুরে যেই রওয়ানা হবেন, উকিল মহাশয় তার হাত চেপে ধরে বললেন- যাচ্ছেন কোথায়? আগে আমার ধুতি খুলে দিয়ে যান! ধুতির দাম দিয়ে দিয়েছি, এখন এই ধুতি আমার। ভবেশ বাবুর চোখ কপালে! উকিলের ‘আব্দারে’ তিনি ক্ষেপে উঠলেন।
কিন্তু আইনওয়ালা নাছোড় বান্দা। ধুতিটি না নিয়ে যাবেন-ই না।
হৈ চৈ শুনে তখন সেখানে বেশ কিছু লোক জমে গেছে, তারাও ন্যায় বিচারে ব্যস্ত হলেন এবং বিস্তর বুদ্ধি খাটিয়ে ভবেশ বাবুকে বললো- উনি যখন আপনাকে ধুতির মূল্য দিয়ে দিয়েছেন, তাহলে তো উনি এখন ধুতির মালিক; আপনি ধুতি খুলে উকিলবাবুকে দিয়ে দিন!
ক্রুদ্ধ ভঙ্গিতে ভবেশবাবু বললেন- উনাকে ধুতি দিয়ে দিলে আমি কি এই লোকভরা রাস্তায় উলঙ্গ হয়ে ঘরে যাবো?
জাবাবটা দিলেন উকিল- অতশত জানি না, বুঝিও না। শুধু জানি ধুতিটি আমার কেনা এখন। আপনি আমার ধুতি আমাকে দিয়ে যান।
এমন গ্যাড়াকলে জড়িয়ে ভবেশবাবুর ভবলীলা সাঙ্গ হওয়ার মতো অবস্থা হলো ক্রোধে। কিন্ত শেষে বাধ্য হয়ে বললেন- আপনি আপনার দুশো টাকা ফেরত নিয়ে নিন, আমি ছেঁড়া ধুতিতেই কোনমতে বাড়ি ফিরতে পারবো।
কিন্তু উকিল বললেন- আমার ধুতি আমি দুই হাজার টাকার কমে বেচবো না, লাগলে বলুন!
কি আর করা! ভবেশবাবু উল্টো নিজের গাঁটের দুই হাজার টাকা দিয়ে ছেঁড়া ধুতিতেই ঘরে ফিরলেন।
ফেরার পথে শুধু ঠোঁট কামড়ালেন একথা মনে করে- লোকটা যে উকিল ছিল আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি...কেন?
0 Comments