এখন প্রায় সব বাড়িতেই ব্যবহৃত হয় রান্নার গ্যাসের এলপিজি সিলিন্ডার। গ্যাস জ্বালানোর পর এলপিজির মধ্যে স্ফুটন হয়। ফলে গ্যাস জ্বলতে থাকে ৪২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। এই এলপিজির সম্বন্ধে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য যা হয়ত আমরা অনেকেই জানি না। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কি কি। সাথে দেখে নিন কি ভাবে গ্যাসে আগুন লেগে গেলে তা আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজেই নিভিয়ে ফেলতে পারেন
সিলিন্ডারের রঙ কেন লাল রঙের হয়?
এলপিজি অর্থাত্ আমাদের বাড়িতে থাকা রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের রঙ থাকে লাল। কারণ লাল রঙ অনেক দূর থেকে সকলের নজরে পারে। ফলে সিলিন্ডার ভর্তি পরিবহন রাস্তায় থাকলে অন্যান্য পরিবহন যান গুলি অনেক দূর থেকেই সিলিন্ডার ভর্তি যান দেখতে পায়। ফলে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
এলপিজি গ্যাসে গন্ধ হয় কেন?
বাড়িতে
রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায় তীব্রভাবে। কিন্তু বাড়িতে
ব্যবহৃত রান্নার গ্যাস অর্থাত্ এলপিজি আসলে কিন্তু গন্ধহীন। কিন্তু গ্যাস
সিলিন্ডার এলপিজি গ্যাস ভরার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে ইথিল মারক্যাপ্টন নামে একটি গন্ধক
ইচ্ছাকৃতভাবে মেশানো হয়, যাতে কোনওভাবে ওই গ্যাস লিক হলে যাতে গন্ধের দ্বারা তা বোঝা যায়। এতে
বিপদ এড়ানো যায়।
সিলিন্ডারের নীচে কেন গর্ত থাকে?
গ্যাসের সিলিন্ডারের নীচে গর্ত থাকে তা লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়। ওই গর্ত থাকারণ কারণ সিলিন্ডারের নীচে জঞ্জাল জমলে যাতে তা বোঝা যায়। এছাড়াও রান্না ঘরের মেঝেতে পরিস্কার করার সময় বা অন্যান্য কারণে জল পরে গেলে যাতে সিলিন্ডারের কোনও ক্ষতি না হয় সে কারণেও থাকে ওই গর্ত।
গ্যাসের সিলিন্ডারের আকৃতি একই হয়?
আমাদের বাড়িতে
যে গ্যাস সিলিন্ডারগুলি আসে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সেগুলির আকার বৃত্তাকার বা
নলাকার হয়। সব জায়গাতেই এই এক ধরনেরই সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
এলপিজি গ্যাস ঠিক কি?
এলপিজি কি? এলপিজি আসলে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি বিউতেন বা প্রোপেন হয়। এই এলপিজি আসলে হাইড্রোকার্বন
গ্যাসের জ্বলন্ত মিশ্রণ। যা রান্নার পাশাপাশি যানবহনের জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত
হয়ে থাকে।
গ্যাসের ওজন ঠিক কি?
একটি খালি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ওজন প্রায় ১৫.৩ কেজি। সিলিন্ডারে গ্যাসের পরিমান থাকে ১৪.2 কেজি। তাই গ্যাস ও সিলিন্ডারের ওজন মিলিয়ে একটি ভর্তি সিলিন্ডারের ওজন হয় মোট ২৯.৫ কেজি। তবে সব ক্ষেত্রেই এই ওজন নির্ভর করে প্রস্তুতকারক সংস্থার ওপর।
গ্যাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ?
গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে একটি বিশেষ চিহ্ন থাকে সেটা লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে। এই চিহ্নটির সঙ্গে সংখ্যাও থাকে। এই সংখ্যা মাস এবং বছরকে বোঝায়। এই চিহ্নটিতে চারটি অক্ষর ব্যবহৃত হয়। এবং তা যথাক্রমে অ, ই, ঈ, এবং উ। অর্থাত্
জানুয়ারি-মার্চ, এপ্রিল-জুন, জুলাই-সেপ্টেম্বর- এবং অক্টোবর-ডিসেম্বর। শেষ সংখ্যাটির অর্থ হল বছর। বুঝতে পারলেন না? আচ্ছা উদাহরণ সহকারে বোঝানো যাক। ধরুন যদি আপনার বাড়িতে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে লেখা রয়েছে ই-১৩। তাহলে এর অর্থ হল জুন ২০১৩য় ওই গ্যাস সিলিন্ডারের এক্সপাইরি ডেট। অর্থাত্ ওই বছরের ওই মাসের পর এই সিলিন্ডারের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর সেটি ব্যবহৃত হতে বিপদের সম্ভবনা রয়েছে।
Dailyhunt
0 Comments