মানুষের জীবনের সব দিন গুলো সমান ভাবে যায় না।কখনও ভাল
আবার কখনও বা খারাপ, জীবনের খুব খারাপ বা খুব ভাল সময় গুলোকে আমরা অসাধারণ সময় বলে
থাকি।আর এই অসাধারন ভাল ও খারাপ সময় গুলোকে মোকাবেলার জন্য এক ধরনের ছুটির খুব প্রচলন
আছে জগত জুড়ে।আর সেই ছুটিকে বলা হয় মজুরীবিহীন ছুটি বা অসাধারন ছুটি।
আমি অনেকের কাছ থেকে এই ছুটি নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন শুনেছি
যেমন এই ছুটি কেন দেয়া হয়,কতদিন দেয়া হয়,কাকে দেয়া হবে,মজুরীবিহীন ছুটির দিন গুলো কি
চাকুরীকালীন সময় হিসাবে গননা করা যাবে কি না. আমি জানি এ রকম ডজন খানেক প্রশ্ন সবার
মনেই আছে যাই হোক এবার আসি মূল বিষয়ে।
এই ছুটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার আগে আপনাদেরকে কিছু
তথ্য দেই বাংলাদেশ শ্রম আইনে মজুরীবিহীন ছুটি বিষয়ে কিছু বলা নাই,
তবে শ্রম বিধিমালাতে উক্ত বিষয়ে বলা আছে কিন্ত বাংলাদেশ
সাভিস রুলসে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে যা থেকে আমি কিছু উদাহরণ আপনাদের
কে দিব।
প্রথম বিষয় হল এই ছুটি কেন দেয়া হয়,মূলত যে সময়ে কোন কর্মীর
আর কোন ছুটি পাওনা বা ভোগ করা বাকি না থাকে কিন্ত তার ছুটির খুব প্রয়োজন হয় তখন মালিক
বিশেষ বিবেচনায় এই ছুটি দিয়ে থাকে।একটা বিষয় মনে রাখবেন কোন কর্মীর ছুটি পাওনা থাকাকালীন
সময়ে বা কর্মীর ছুটি অভোগ্য থাকলে তাকে মজুরীবিহীন ছুটি প্রদান করা যাবে না।
মজুরীবিহীন ছুটি কতদিন দেওয়া হবে,ছুটির পরিমানের বিষয়ে
বাংলাদেশ সাভিস রুলসে বলা আছে যে অস্থায়ী কর্মীদেরকে চিকিৎসার জন্য ৬ মাস এবং অন্যান্য
কারনে ৩ মাস দেয়া যাবে,তবে স্থায়ী কর্মীদের জন্য কোন সময় সীমা উল্লেখ নাই।তবে একজন
সরকারি কর্মচারী যে কোন ছুটি ১ বছরের বেশি একবারে নিতে পারেন না কিন্তু চিকিৎসার বেলাতে
২ বছর নিতে পারে।তাই এটা বলা যায় যে সাধারন ভাবে মোট ১ বছর এবং চিকিৎসার বেলাতে ২ বছর
পর্যন্ত দেয়া যাবে মজুরীবিহীন ছুটি।
মজুরীবিহীন ছুটি যদি অসুস্থতার জন্য হয় তবে সে দিন গুলো
চাকরীকালীন সময় হিসাবে গননা করা হবে বাংলাদেশ শ্রম আইন ধারা ১৪ অনুসারে,তবে যদি অন্য
কোন কারনে হয় তাহলে উক্ত দিন গুলো চাকরীকালীন দিন হিসাবে বিবেচিত হবে না।
মজুরীবিহীন ছুটিতে থাকাকালীন কর্মী মূল মজুরী ছাড়া অন্যান্য
সুবিধা পাইবেন ধারা-১২৬ অনুযায়ী।
0 Comments