কর্মীকে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে তা কমানো যাবে কি না? (Khandokar Tomal Ahmed)

বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম ২০১৯

বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইনের ধারা - ১৯২ অনুযায়ী কোন কর্মীকে ইতিপূর্বে প্রদত্ত অধিক কোন সুবিধা কমানো যাবে না।

ধারা-১৯২ এ বলা আছে "এই আইন প্রবর্তনের সময় কোন শ্রমিক যে মালিকের অধীন যে সকল অধিকার বা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করিতেছিলেন সেই মালিকের অধীন যতদিন কর্মরত থাকিবেন ততদিন সেই সকল অধিকার বা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করিবেন,যদি না তাহার উক্ত অধিকার বা সুযোগ-সুবিধা এই আইন বা তদধীন প্রনীত বিধি বা প্রবিধানের অধীন প্রদত্ত অধিকার ও সুযোগ সুবিধা হইতে অধিকতর অনুকূল হয়।"

উক্ত ধারাতে স্পষ্ট করে বলা আছে যে কোন বর্তমান কর্মীর অধিক সুযোগ-সুবিধা কমানো যাবে না।

অনেক প্রতিষ্ঠান প্রায়ই সুবিধা কমিয়ে দিয়ে থাকেন।উক্ত ক্ষেএে কর্মী আদালতে অভিযোগ করতে পারবে।

 

 

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা-৩৩৬ এবং ২৭২ অনুযায়ী কোন কর্মীকে প্রদত্ত অধিক কোন সুবিধা কমানো যাবে না।

ধারা-২৭২ এ বলা আছে "এই আইন বা কোন বিধির অধীন কোন চাঁদা বা খরচ প্রদানে বাধ্য কেবলমাএ এই কারনে মালিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন শ্রমিকের প্রাপ্য মজুরী বা অন্য কোন সুযোগ সুবিধা কমাইতে পারিবেন না"

অন্যথায় ধারা-৩৩৬ এ বলা আছে "এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের কোন কিছুই এই আইন প্রবর্তন হওয়ার সময় উহার দ্বারা রহিত কোন আইনের অধীন, অথবা কোন রোয়েদাদ,চুক্তি, নিষ্পত্তি বা প্রচলিত প্রথার অধীন কোন শ্রমিকের ভোগকৃত অধিকার বা সুযোগ সুবিধা, তিনি যতদিন, উক্ত প্রবর্তনের তারিখে যে মালিকের অধীন কর্মরত ছিলেন, সে মালিকের অধীন চাকুরীরত থাকিবেন ততদিন পর্যন্ত ব্যাহত বা ক্ষতিগ্রস্ত করিবে না, যদি তাহার উক্ত অধিকার এবং সুযোগ সুবিধা এই আইন,বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের অধীন প্রদত্ত অধিকার ও সুযোগ সুবিধা হইতে অধিকতর অনুকূল হয়।"

উক্ত ধারা দুটিতে স্পষ্ট করে বলা আছে যে, কোন কর্মীর অধিক সুবিধা কমানো যাবে না।

অনেক প্রতিষ্ঠান প্রায়ই সুবিধা কমিয়ে দিয়ে থাকেন।

উক্ত ক্ষেএে কর্মী আদালতে অভিযোগ করতে পারবে।

To learn more join in our new group: "Bangladesh Export Processing Zone (ইপিজেড শ্রম) Labour Act 2019"

Post a Comment

0 Comments