
নিরাপত্তা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ করে পোষাক শিল্প
প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পোষাক শিল্প কারখানার
নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব ও কর্তব্য বলতে বুঝায় একজন নিরাপত্তারক্ষী
শ্রমিক কর্মচারী/ভিজিটর বা পরিদর্শক আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট
বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বিধি নিষেধ পালন করা। আপনার কম্পানি/কারখানার নাম নিরাপত্তা নীতিমালার লক্ষ্য হল প্রদত্ত নিরাপত্তা নীতিমালা প্রয়ােগের মাধ্যমে আপনার কম্পানি/কারখানার নাম
এর সকল সেকশনে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এর অভিপ্রায় হল
নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয়কে অত্মর্ভুক্তির মাধ্যমে চুরি, ধবংশ এবং
আত্মর্ঘাত হতে কারখানার লােকবল, সম্পদ এবং তথ্যাদি সংরক্ষণ শ্রেষ্ঠতর এবং
কার্যকরী কর্মপন্থা প্রতিষ্ঠিত করা। কার্যধারাটি প্রতিষ্ঠান ও তার
গ্রাহকদের পারস্পরিক বানিজ্যিক স্বার্থে সর্বাধিক নিরাপত্তার গুরুত্ব দিয়ে
থাকে। নীতিমালাটি আপনার কম্পানি/কারখানার নাম প্রতিটি
প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক এবং বিক্রেতা উভয়কে সময়ােপযােগী নিরাপত্তার প্রশ্নে
সাধ্যানুযায়ী তার অঙ্গীকার নিশ্চিত করতে দৃঢ় সংকল্প থাকে। কর্মসূচীটির
মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে ঘােষণা করে যে, আপনার কম্পানি/কারখানার তার নিরাপত্তার মান আত্মজার্তিক মানের (C-TPAT) সাথে সঙ্গতিপূর্ণ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করার সাথে সাথে আপনার কম্পানি/কারখানার নাম
নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি ও অন্য সকল শ্রমিক
কর্মচারীদের নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়ােজনীয় উদ্যোগে গ্রহণ
করে। আপনার কম্পানি/কারখানার নাম নিরাপত্তা
নীতিমালা তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও পরিবেশের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ এবং
স্থানীয় আইন প্রয়ােগকারী সংস্থাগুলাের কাজের পরিপূরক। আপনার কম্পানি/কারখানার নাম এর
নিজস্ব একটি নিরাপত্তা নীতিমালা কার্যকর আছে যা কারখানার সংরক্ষণ মূলক
নিরাপত্তা। নীতিমালা হিসেবে নিম্নোক্ত নীতি সমূহের উপর প্রতিষ্ঠিত।
১। আপনার কম্পানি/কারখানার নাম এর সকল কারখানার দালানকোঠা
সুউচ্চ দেয়াল ও লােহার তারের কয়েল দ্বারা পরিবেষ্ঠিত এবং কারখানার
চারদিকে নিরাপত্তা বাতি ব্যবস্থা থাকবে।
১। আপনার কম্পানি/কারখানার নাম এর একটি নিজস্ব নিরাপত্তা
কর্মীদল থাকবে যার প্রধান ব্যক্তি হবেন একজন উত্তমরূপে প্রশিক্ষিত আনসার
অথবা সেনা ব্যক্তিত্ব। নিরাপত্তা কর্মীদলের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি
সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বিভাগকে পরিচালনা করবেন। তার সরাসরি তত্বাবধানে আপনার কম্পানি/কারখানার নাম এর
নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসরন ও পরিচালিত হবে। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার
অধীনে প্রতিটি কারখানায় একজন করে সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা দায়িত্ব
পালন করবেন। উক্ত সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তার দ্বারা কারখানার নিরাপত্তা
নীতিমালা পরিচালিত ও পর্যবেক্ষণ হবে। সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা দায়িত্ব
প্রাপ্ত কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ক যাবতীয় প্রতিবেদন প্রধান নিরাপত্তা
কর্মকর্তার নিকট দাখিল করবেন।
২। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা রুটিন মাফিক প্রত্যেকটি কারখানার
নিরাপত্তা বিষয়ক নীতিমালার প্রয়ােগ ও কার্যকারিতা | পর্যবেক্ষণ করবেন।
৩। সর্বদা ২ জন নিরাপত্তা প্রহরী কারখানার প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালন
করবেন। প্রতি ৮ ঘন্টা পর অপর শিফটের ০২ জন নিরাপত্তা কর্মী ১ম শিফটের
স্থলাভিষিক্ত হবেন। অনুরূপভাবে আরও ০২ জন নিরাপত্তা কর্মী পরবর্তী ৮ ঘন্টা
পর ২য় শিফটের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
৪। নিরাপত্তার কাজে নিয়ােজিত কর্মীরা প্রতিদিন ৩ শিফটে দায়িত্ব পালন
করবে। কোন শিফটে যদি কোন নিরাপত্তা কর্মী অনুপস্থিত থাকে তাহলে প্রধান
নিরাপত্তা পরিদর্শক ঐ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা (বদলী নিরাপত্তা প্রহরী)
গ্রহন করবে।
৫। প্রধান ফটকের নিরাপত্তা প্রহরীর কারখানায় আগত লােকজনের প্রবেশ ও
বহির্গমনের উপর দৃষ্টি রাখবে এবং প্রতিদিন কাজের শেষাবধি পর্যন্ত পাহারায়
নিয়ােজিত থাকবেন।
৬। আগত ও প্রস্থানরত দর্শনার্থী এবং কর্মকর্তাদের জন্য কেবলমাত্র প্রধান
ফটকটি ব্যবহৃত হবে এবং সকল আগত দর্শনার্থীকে কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশের
পূর্বে মেটাল ডিটেকটর দ্বারা তল্লাশি করতে হবে।
৭। প্রধান ফটক ও অন্যান্য জরুরী ফটকগুলাে কারখানা চলাকালীন সার্বক্ষনিকভাবে খােলা থাকবে।
৮। কারখানার প্রতিটি ফটকে অর্থাৎ প্রতিটি ফ্লোরের প্রবেশ পথে একজন
নিরাপত্তা প্রহরী পালাক্রমে কাজের শেষাবধি পর্যন্ত পাহারায় নিয়ােজিত
থাকবে।
৯। কারখানার প্রতিটি ফ্লোরের বহির্গমন ফটকে একজন করে মহিলা নিরাপত্তা কর্মী/প্রহরী কাজের শেষাবধি পর্যন্ত পাহারায় নিয়ােজিত থাকবে।
১০৷ কারখানার ফ্লোরের বহির্গমন ফটকগুলাে মহিলা শ্রমিকদের আগমন ও
বহির্গমনের পক্ষান্তরে সামনের প্রবেশ ফটকটি পুরুষ শ্রমিকদের আগমন ও
বহির্গমনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
১১। নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানা ছুটির সময় প্রতিটি শ্রমিক কর্মচারীর
দেহ তল্লাশি করতে হবে। (মহিলা শ্রমিকদের মহিলা নিরাপত্তা কর্মী দ্বারা
তল্লাশি করা হবে)
১২। কারখানার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে (প্রধান ফটক, লােডিং-আনলােডিং
স্থান, স্টোর এবং ফেব্রিক ওয়্যার হাউজ, প্যাকিং সেকশন, কারখানার বাইরের
প্যাকিং জোন) নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য CCTV (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন)
ক্যামেরা সংযােজন করতে হবে।
১৩। CCTV (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরা ধারনকৃত ঘটনা পর্যবেক্ষনের
জন্য একজন আলাদা নিরাপত্তা কর্মী বা কর্মকর্তা থাকবে। তিনি সর্বক্ষন CCTV
(ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরার মনিটরের সামনে অবস্থান করবেন এবং কোন
ধরনের অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা CCTV (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরাতে
দৃষ্টি গােচর হলে তৎক্ষনাৎ CCTV (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরা অপারেটর
বিষয়টি প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ও প্রশাসন বিভাগে বেতার বার্তার
মাধ্যমে বা ইন্টারকম টেলিফোনের মাধ্যমে অবহিত করবেন।
১৪। সবকটি প্রবেশ ও বহির্গমন পথ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি দ্বারা
প্রস্তুত সীলগালা সহকারে তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায়
কাজের শেষ থেকে অপর কার্য দিবসের সকাল ৭:৪০ মিঃ পর্যন্ত।
১৫। কারখানার সবগুলাে তালার চাবি নিরাপত্তা পরিদর্শকের জিম্মায় থাকবে
যিনি নিকটবর্তী কোন পরিচিত ও নিরাপদ স্থানে থাকবেন এবং প্রয়ােজনে
ডাকামাত্রই কারখানার তালা খুলে দিতে বা বন্ধ করতে সক্ষম হবেন।
১৬। তালা বন্ধের সময়ে সবগুলাে সেকশন ও ফ্লোর-এর জানালা, দরজা প্রথমে
সঠিকভাবে বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি সেকশন বা ফ্লোর সীল গালা ও দস্তখত সহকারে
এককভাবে তালাবদ্ধ করা হবে। নিরাপত্তা পরিদর্শক সই দেবেন। অন্য একজন
দায়িত্ব প্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী তালায় সীলগালা লাগাবেন এবং আরেকজন
দায়িত্ব প্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী ফটকে তালা লাগিয়ে হাতে চাপ দিয়ে ফটক
বন্ধ করবেন।
১৭। তালাবদ্ধ হওয়ার পর তা সঠিক হয়েছে কিনা পরীক্ষা করার জন্য প্রধান
নিরাপত্তা পরিদর্শক সবগুলাে তালা টেনে টেনে পরীক্ষা করে দেখবেন।
১৮। নিরাপত্তা কর্মী দলটি শিফট বা পালা পদ্ধতিতে কাজ করবে যা প্রতি সপ্তাহে চক্রানুসারে প্রবর্তিত হবে।
১৯। একটি ইন্টারকম ও একটি ডিজিটাল টেলিফোন সেট নিরাপত্তা কক্ষে বসানাে
থাকবে এবং তাতে কাৰ্য্য সময়ের পরেও রিং টোন পাওয়া যাবে। জররী বা আপদকালীন
সময়ে নিরাপত্তা কর্মী ঐ টেলিফোন ব্যবহার করবেন।
২০। নিরাপত্তা কর্মীদের সকলের পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের নিকট
দাখিল করতে হবে। দাখিলকৃত রিপাের্ট অন্ত তঃ ১ বছর পর পুনঃ তদন্ত করতে হবে।
২১। মাসে অন্ততঃ একবার সকল নিরাপত্তা কর্মীদের প্যারেড এবং প্রশিক্ষণ
কর্মশালা কারখানা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত করতে হবে। প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক
এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও প্যারেড পরিচালনা করবেন।
২২। কারখানায় কর্মরত দৈনিক চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের পরিচয়পত্র প্রদান করা
হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক বা লেবার কন্ট্রাক্টরগণ কারখানার প্রধান ফটকে
প্রবেশের সময় নিরাপত্তা প্রহরীগণ তাদের পরিচয়পত্র দেখার পর প্রবেশাধিকার
পাবেন।
২৩। ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র ব্যতীত কোন চুক্তিবদ্ধ কন্ট্রাক্টরের শ্রমিকদের
কারখানায় প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। কারখানায় আগত প্রত্যেক
দর্শনার্থীকে প্রথমে নিরাপত্তা কক্ষে নিয়ে যাওয়া হবে এবং পরবর্তীতে
ভিজিটর রেজিষ্টারে নাম ও অন্যান্য তথ্য লিপিবদ্ধকরনের পর তাকে অভ্যর্থনা
কক্ষে বসানাে হবে। এরপর একজন নিরাপত্তা প্রহরীর মাধ্যমে আগত দর্শনার্থীকে
অভ্যর্থনা কক্ষের ভিতরের সিড়ি দিয়ে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা
হবে।
২৪। দর্শনার্থীদের যানবাহন প্রধান ফটকের বাহিরে সংরক্ষিত ভিজিটর পার্কিং
এরিয়ার মধ্যে রাখা হবে। দর্শনার্থীদের গাড়ীর নাম্বার ও অন্যান্য তথ্য
“ভেহিক্যাল ট্রেকিং” রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
২৫। দর্শনার্থীদের গাড়ী ও লােডিং-আনলােডিং কাজে ব্যবহৃত যানবাহন
কারখানা প্রাঙ্গনে প্রবেশের পূর্বে গাড়ীর নিচের অংশ মিরর ডিটেক্টর দ্বারা
চেক করতে হবে।
২৬। নিরাপত্তা পরিদর্শক প্রতি ৪ ঘন্টা পরপর সম্পূর্ণ কারখানার নিরাপত্তা
প্রহরীদের অবস্থান ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রধান নিরাপত্তা
কর্মকর্তার নিকট রিপাের্ট করবেন।
২৭। কোন শিফটে যদি কোন নিরাপত্তা প্রহরী অনুপস্থিত থাকেন তাহলে প্রধান
নিরাপত্তা কর্মকর্তা অনুপস্থিত নিরাপত্তা প্রহরীর স্থলে বিকল্প প্রহরীর
অবস্থান নিশ্চিত করবেন।
২৮। প্রতিদিন সন্ধ্যা হওয়ার পূর্বে কারখানার সবগুলাে নিরাপত্তা
বেষ্টনীর কার্যকারিতা বাতি নিরাপত্তা পরিদর্শক জ্বালিয়ে দিবেন এবং সপ্তাহে
অন্ততঃ একবার বাতিগুলাের কার্যকারিতা চেক করতে হবে।
২৯। কারখানার বাতিগুলাের সুইচ বাের্ড নিরাপত্তা কক্ষে বক্স করা থাকবে। নিরাপত্তা পরিদর্শক বাতির সুইচ অন এবং অফ করবেন।
৩০। পরিচয়পত্র বিহীন বা বহিরাগত কোন লােকজন অথবা কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা
দৃষ্টিগােচর হলে তৎক্ষনাৎ প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।
প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক বিষয়টি উধর্বতন কর্তৃপক্ষকে (প্রশাসন) অবহিত
করবেন এবং ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
৩১। কারখানার স্টোর, ফেব্রিক ওয়্যার হাউজ, ফিনিশিং, প্যাকিং সেকশন,
লােডিং-আনলােডিং সর্বসাধারনের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। ঐ সকল সেকশনে
নির্দিষ্ট শ্রমিক কর্মচারী ব্যতীত অন্য কেউ অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারবে
না।
৩২। প্যাকিং, স্টোর, ফিনিশিং, ফেব্রিক গােডাউন, লােডিং-আনলােডিং কাজে
নিয়ােজিত শ্রমিক-কর্মচারীদের ছবিযুক্ত পরিচয় ঐ সকল স্থানে প্রদর্শিত
রয়েছে যাতে অন্য কোন লােকজন সেখানে প্রবেশ করতে না পারে। এ ব্যাপারে সেই
সকল স্থানে দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
৩৩। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিরাপত্তা রক্ষীদের তালিকা তৈরী পূর্বক
একটি ডিউটি রােস্টার তৈরী করবেন। ডিউটি রােস্টারে উল্লেখিত পালা বা শিফট
অনুযায়ী নিরাপত্তা কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবে।
৩৪। নিরাপত্তা কর্মীদের দায়িত্বে কোন ধরনের অবহেলা বা গাফিলতি
পরিলক্ষিত হলে তৎক্ষনাৎ তা প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।
প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা অভিযােগ তদন্ত করে প্রশাসন বিভাগের মাধ্যমে
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
৩৫। কারখানার সীমানার ভেতর ধূমপান, মাদকদ্রব্য, ক্ষতিকারক রাসায়নিক
১। আপনার কম্পানি/কারখানার নাম এর সকল কারখানার দালানকোঠা সুউচ্চ দেয়াল ও লােহার তারের কয়েল দ্বারা পরিবেষ্ঠিত এবং কারখানার চারদিকে নিরাপত্তা বাতি ব্যবস্থা থাকবে।
১। আপনার কম্পানি/কারখানার নাম এর একটি নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীদল থাকবে যার প্রধান ব্যক্তি হবেন একজন উত্তমরূপে প্রশিক্ষিত আনসার অথবা সেনা ব্যক্তিত্ব। নিরাপত্তা কর্মীদলের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বিভাগকে পরিচালনা করবেন। তার সরাসরি তত্বাবধানে আপনার কম্পানি/কারখানার নাম এর নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসরন ও পরিচালিত হবে। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার অধীনে প্রতিটি কারখানায় একজন করে সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। উক্ত সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তার দ্বারা কারখানার নিরাপত্তা নীতিমালা পরিচালিত ও পর্যবেক্ষণ হবে। সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা দায়িত্ব প্রাপ্ত কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ক যাবতীয় প্রতিবেদন প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার নিকট দাখিল করবেন।
২। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা রুটিন মাফিক প্রত্যেকটি কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ক নীতিমালার প্রয়ােগ ও কার্যকারিতা | পর্যবেক্ষণ করবেন।
৩। সর্বদা ২ জন নিরাপত্তা প্রহরী কারখানার প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতি ৮ ঘন্টা পর অপর শিফটের ০২ জন নিরাপত্তা কর্মী ১ম শিফটের স্থলাভিষিক্ত হবেন। অনুরূপভাবে আরও ০২ জন নিরাপত্তা কর্মী পরবর্তী ৮ ঘন্টা পর ২য় শিফটের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
৪। নিরাপত্তার কাজে নিয়ােজিত কর্মীরা প্রতিদিন ৩ শিফটে দায়িত্ব পালন করবে। কোন শিফটে যদি কোন নিরাপত্তা কর্মী অনুপস্থিত থাকে তাহলে প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক ঐ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা (বদলী নিরাপত্তা প্রহরী) গ্রহন করবে।
৫। প্রধান ফটকের নিরাপত্তা প্রহরীর কারখানায় আগত লােকজনের প্রবেশ ও বহির্গমনের উপর দৃষ্টি রাখবে এবং প্রতিদিন কাজের শেষাবধি পর্যন্ত পাহারায় নিয়ােজিত থাকবেন।
৬। আগত ও প্রস্থানরত দর্শনার্থী এবং কর্মকর্তাদের জন্য কেবলমাত্র প্রধান ফটকটি ব্যবহৃত হবে এবং সকল আগত দর্শনার্থীকে কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশের পূর্বে মেটাল ডিটেকটর দ্বারা তল্লাশি করতে হবে।
৭। প্রধান ফটক ও অন্যান্য জরুরী ফটকগুলাে কারখানা চলাকালীন সার্বক্ষনিকভাবে খােলা থাকবে।
৮। কারখানার প্রতিটি ফটকে অর্থাৎ প্রতিটি ফ্লোরের প্রবেশ পথে একজন নিরাপত্তা প্রহরী পালাক্রমে কাজের শেষাবধি পর্যন্ত পাহারায় নিয়ােজিত থাকবে।
৯। কারখানার প্রতিটি ফ্লোরের বহির্গমন ফটকে একজন করে মহিলা নিরাপত্তা কর্মী/প্রহরী কাজের শেষাবধি পর্যন্ত পাহারায় নিয়ােজিত থাকবে।
১০৷ কারখানার ফ্লোরের বহির্গমন ফটকগুলাে মহিলা শ্রমিকদের আগমন ও বহির্গমনের পক্ষান্তরে সামনের প্রবেশ ফটকটি পুরুষ শ্রমিকদের আগমন ও বহির্গমনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
১১। নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানা ছুটির সময় প্রতিটি শ্রমিক কর্মচারীর দেহ তল্লাশি করতে হবে। (মহিলা শ্রমিকদের মহিলা নিরাপত্তা কর্মী দ্বারা তল্লাশি করা হবে)
১২। কারখানার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে (প্রধান ফটক, লােডিং-আনলােডিং স্থান, স্টোর এবং ফেব্রিক ওয়্যার হাউজ, প্যাকিং সেকশন, কারখানার বাইরের প্যাকিং জোন) নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য CCTV (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরা সংযােজন করতে হবে।
১৩। CCTV (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরা ধারনকৃত ঘটনা পর্যবেক্ষনের জন্য একজন আলাদা নিরাপত্তা কর্মী বা কর্মকর্তা থাকবে। তিনি সর্বক্ষন CCTV (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরার মনিটরের সামনে অবস্থান করবেন এবং কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা CCTV (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরাতে দৃষ্টি গােচর হলে তৎক্ষনাৎ CCTV (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরা অপারেটর বিষয়টি প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ও প্রশাসন বিভাগে বেতার বার্তার মাধ্যমে বা ইন্টারকম টেলিফোনের মাধ্যমে অবহিত করবেন।
১৪। সবকটি প্রবেশ ও বহির্গমন পথ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি দ্বারা প্রস্তুত সীলগালা সহকারে তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় কাজের শেষ থেকে অপর কার্য দিবসের সকাল ৭:৪০ মিঃ পর্যন্ত।
১৫। কারখানার সবগুলাে তালার চাবি নিরাপত্তা পরিদর্শকের জিম্মায় থাকবে যিনি নিকটবর্তী কোন পরিচিত ও নিরাপদ স্থানে থাকবেন এবং প্রয়ােজনে ডাকামাত্রই কারখানার তালা খুলে দিতে বা বন্ধ করতে সক্ষম হবেন।
১৬। তালা বন্ধের সময়ে সবগুলাে সেকশন ও ফ্লোর-এর জানালা, দরজা প্রথমে সঠিকভাবে বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি সেকশন বা ফ্লোর সীল গালা ও দস্তখত সহকারে এককভাবে তালাবদ্ধ করা হবে। নিরাপত্তা পরিদর্শক সই দেবেন। অন্য একজন দায়িত্ব প্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী তালায় সীলগালা লাগাবেন এবং আরেকজন দায়িত্ব প্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী ফটকে তালা লাগিয়ে হাতে চাপ দিয়ে ফটক বন্ধ করবেন।
১৭। তালাবদ্ধ হওয়ার পর তা সঠিক হয়েছে কিনা পরীক্ষা করার জন্য প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক সবগুলাে তালা টেনে টেনে পরীক্ষা করে দেখবেন।
১৮। নিরাপত্তা কর্মী দলটি শিফট বা পালা পদ্ধতিতে কাজ করবে যা প্রতি সপ্তাহে চক্রানুসারে প্রবর্তিত হবে।
১৯। একটি ইন্টারকম ও একটি ডিজিটাল টেলিফোন সেট নিরাপত্তা কক্ষে বসানাে থাকবে এবং তাতে কাৰ্য্য সময়ের পরেও রিং টোন পাওয়া যাবে। জররী বা আপদকালীন সময়ে নিরাপত্তা কর্মী ঐ টেলিফোন ব্যবহার করবেন।
২০। নিরাপত্তা কর্মীদের সকলের পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে। দাখিলকৃত রিপাের্ট অন্ত তঃ ১ বছর পর পুনঃ তদন্ত করতে হবে।
২১। মাসে অন্ততঃ একবার সকল নিরাপত্তা কর্মীদের প্যারেড এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালা কারখানা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত করতে হবে। প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও প্যারেড পরিচালনা করবেন।
২২। কারখানায় কর্মরত দৈনিক চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক বা লেবার কন্ট্রাক্টরগণ কারখানার প্রধান ফটকে প্রবেশের সময় নিরাপত্তা প্রহরীগণ তাদের পরিচয়পত্র দেখার পর প্রবেশাধিকার পাবেন।
২৩। ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র ব্যতীত কোন চুক্তিবদ্ধ কন্ট্রাক্টরের শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। কারখানায় আগত প্রত্যেক দর্শনার্থীকে প্রথমে নিরাপত্তা কক্ষে নিয়ে যাওয়া হবে এবং পরবর্তীতে ভিজিটর রেজিষ্টারে নাম ও অন্যান্য তথ্য লিপিবদ্ধকরনের পর তাকে অভ্যর্থনা কক্ষে বসানাে হবে। এরপর একজন নিরাপত্তা প্রহরীর মাধ্যমে আগত দর্শনার্থীকে অভ্যর্থনা কক্ষের ভিতরের সিড়ি দিয়ে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হবে।
২৪। দর্শনার্থীদের যানবাহন প্রধান ফটকের বাহিরে সংরক্ষিত ভিজিটর পার্কিং এরিয়ার মধ্যে রাখা হবে। দর্শনার্থীদের গাড়ীর নাম্বার ও অন্যান্য তথ্য “ভেহিক্যাল ট্রেকিং” রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
২৫। দর্শনার্থীদের গাড়ী ও লােডিং-আনলােডিং কাজে ব্যবহৃত যানবাহন কারখানা প্রাঙ্গনে প্রবেশের পূর্বে গাড়ীর নিচের অংশ মিরর ডিটেক্টর দ্বারা চেক করতে হবে।
২৬। নিরাপত্তা পরিদর্শক প্রতি ৪ ঘন্টা পরপর সম্পূর্ণ কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীদের অবস্থান ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার নিকট রিপাের্ট করবেন।
২৭। কোন শিফটে যদি কোন নিরাপত্তা প্রহরী অনুপস্থিত থাকেন তাহলে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা অনুপস্থিত নিরাপত্তা প্রহরীর স্থলে বিকল্প প্রহরীর অবস্থান নিশ্চিত করবেন।
২৮। প্রতিদিন সন্ধ্যা হওয়ার পূর্বে কারখানার সবগুলাে নিরাপত্তা বেষ্টনীর কার্যকারিতা বাতি নিরাপত্তা পরিদর্শক জ্বালিয়ে দিবেন এবং সপ্তাহে অন্ততঃ একবার বাতিগুলাের কার্যকারিতা চেক করতে হবে।
২৯। কারখানার বাতিগুলাের সুইচ বাের্ড নিরাপত্তা কক্ষে বক্স করা থাকবে। নিরাপত্তা পরিদর্শক বাতির সুইচ অন এবং অফ করবেন।
৩০। পরিচয়পত্র বিহীন বা বহিরাগত কোন লােকজন অথবা কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা দৃষ্টিগােচর হলে তৎক্ষনাৎ প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক বিষয়টি উধর্বতন কর্তৃপক্ষকে (প্রশাসন) অবহিত করবেন এবং ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
৩১। কারখানার স্টোর, ফেব্রিক ওয়্যার হাউজ, ফিনিশিং, প্যাকিং সেকশন, লােডিং-আনলােডিং সর্বসাধারনের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। ঐ সকল সেকশনে নির্দিষ্ট শ্রমিক কর্মচারী ব্যতীত অন্য কেউ অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারবে না।
৩২। প্যাকিং, স্টোর, ফিনিশিং, ফেব্রিক গােডাউন, লােডিং-আনলােডিং কাজে নিয়ােজিত শ্রমিক-কর্মচারীদের ছবিযুক্ত পরিচয় ঐ সকল স্থানে প্রদর্শিত রয়েছে যাতে অন্য কোন লােকজন সেখানে প্রবেশ করতে না পারে। এ ব্যাপারে সেই সকল স্থানে দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
৩৩। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিরাপত্তা রক্ষীদের তালিকা তৈরী পূর্বক একটি ডিউটি রােস্টার তৈরী করবেন। ডিউটি রােস্টারে উল্লেখিত পালা বা শিফট অনুযায়ী নিরাপত্তা কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবে।
৩৪। নিরাপত্তা কর্মীদের দায়িত্বে কোন ধরনের অবহেলা বা গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে তৎক্ষনাৎ তা প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা অভিযােগ তদন্ত করে প্রশাসন বিভাগের মাধ্যমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
৩৫। কারখানার সীমানার ভেতর ধূমপান, মাদকদ্রব্য, ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য, বিস্ফোরক দ্রব্য, বহন বা ব্যবহার করা যাবে না।
Collected from :
শিল্প কল কারখানার জন্য C-TPAT নিরাপত্তা নির্দেশাবলী
C-TPAT নিরাপত্তা নির্দেশাবলী
নিরাপত্তা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ করে পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পোষাক শিল্প কারখানার নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব ও কর্তব্য বলতে বুঝায় একজন নিরাপত্তারক্ষী শ্রমিক কর্মচারী/ভিজিটর বা পরিদর্শক আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বিধি নিষেধ পালন করা। আপনার কম্পানি/কারখানার নাম নিরাপত্তা নীতিমালার লক্ষ্য হল প্রদত্ত নিরাপত্তা নীতিমালা প্রয়ােগের মাধ্যমে আপনার কম্পানি/কারখানার নাম এর সকল সেকশনে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এর অভিপ্রায় হল নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয়কে অত্মর্ভুক্তির মাধ্যমে চুরি, ধবংশ এবং আত্মর্ঘাত হতে কারখানার লােকবল, সম্পদ এবং তথ্যাদি সংরক্ষণ শ্রেষ্ঠতর এবং কার্যকরী কর্মপন্থা প্রতিষ্ঠিত করা। কার্যধারাটি প্রতিষ্ঠান ও তার গ্রাহকদের পারস্পরিক বানিজ্যিক স্বার্থে সর্বাধিক নিরাপত্তার গুরুত্ব দিয়ে থাকে। নীতিমালাটি আপনার কম্পানি/কারখানার নাম প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক এবং বিক্রেতা উভয়কে সময়ােপযােগী নিরাপত্তার প্রশ্নে সাধ্যানুযায়ী তার অঙ্গীকার নিশ্চিত করতে দৃঢ় সংকল্প থাকে। কর্মসূচীটির মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে ঘােষণা করে যে, আপনার কম্পানি/কারখানার তার নিরাপত্তার মান আত্মজার্তিক মানের (C-TPAT) সাথে সঙ্গতিপূর্ণ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করার সাথে সাথে আপনার কম্পানি/কারখানার নাম নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি ও অন্য সকল শ্রমিক কর্মচারীদের নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়ােজনীয় উদ্যোগে গ্রহণ করে। আপনার কম্পানি/কারখানার নাম নিরাপত্তা নীতিমালা তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও পরিবেশের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ এবং স্থানীয় আইন প্রয়ােগকারী সংস্থাগুলাের কাজের পরিপূরক। আপনার কম্পানি/কারখানার নাম এর নিজস্ব একটি নিরাপত্তা নীতিমালা কার্যকর আছে যা কারখানার সংরক্ষণ মূলক নিরাপত্তা। নীতিমালা হিসেবে নিম্নোক্ত নীতি সমূহের উপর প্রতিষ্ঠিত।১। আপনার কম্পানি/কারখানার নাম এর সকল কারখানার দালানকোঠা সুউচ্চ দেয়াল ও লােহার তারের কয়েল দ্বারা পরিবেষ্ঠিত এবং কারখানার চারদিকে নিরাপত্তা বাতি ব্যবস্থা থাকবে।
১। আপনার কম্পানি/কারখানার নাম এর একটি নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীদল থাকবে যার প্রধান ব্যক্তি হবেন একজন উত্তমরূপে প্রশিক্ষিত আনসার অথবা সেনা ব্যক্তিত্ব। নিরাপত্তা কর্মীদলের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বিভাগকে পরিচালনা করবেন। তার সরাসরি তত্বাবধানে আপনার কম্পানি/কারখানার নাম এর নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসরন ও পরিচালিত হবে। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার অধীনে প্রতিটি কারখানায় একজন করে সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। উক্ত সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তার দ্বারা কারখানার নিরাপত্তা নীতিমালা পরিচালিত ও পর্যবেক্ষণ হবে। সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা দায়িত্ব প্রাপ্ত কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ক যাবতীয় প্রতিবেদন প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার নিকট দাখিল করবেন।
২। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা রুটিন মাফিক প্রত্যেকটি কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ক নীতিমালার প্রয়ােগ ও কার্যকারিতা | পর্যবেক্ষণ করবেন।
৩। সর্বদা ২ জন নিরাপত্তা প্রহরী কারখানার প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতি ৮ ঘন্টা পর অপর শিফটের ০২ জন নিরাপত্তা কর্মী ১ম শিফটের স্থলাভিষিক্ত হবেন। অনুরূপভাবে আরও ০২ জন নিরাপত্তা কর্মী পরবর্তী ৮ ঘন্টা পর ২য় শিফটের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
৪। নিরাপত্তার কাজে নিয়ােজিত কর্মীরা প্রতিদিন ৩ শিফটে দায়িত্ব পালন করবে। কোন শিফটে যদি কোন নিরাপত্তা কর্মী অনুপস্থিত থাকে তাহলে প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক ঐ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা (বদলী নিরাপত্তা প্রহরী) গ্রহন করবে।
৫। প্রধান ফটকের নিরাপত্তা প্রহরীর কারখানায় আগত লােকজনের প্রবেশ ও বহির্গমনের উপর দৃষ্টি রাখবে এবং প্রতিদিন কাজের শেষাবধি পর্যন্ত পাহারায় নিয়ােজিত থাকবেন।
৬। আগত ও প্রস্থানরত দর্শনার্থী এবং কর্মকর্তাদের জন্য কেবলমাত্র প্রধান ফটকটি ব্যবহৃত হবে এবং সকল আগত দর্শনার্থীকে কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশের পূর্বে মেটাল ডিটেকটর দ্বারা তল্লাশি করতে হবে।
৭। প্রধান ফটক ও অন্যান্য জরুরী ফটকগুলাে কারখানা চলাকালীন সার্বক্ষনিকভাবে খােলা থাকবে।
৮। কারখানার প্রতিটি ফটকে অর্থাৎ প্রতিটি ফ্লোরের প্রবেশ পথে একজন নিরাপত্তা প্রহরী পালাক্রমে কাজের শেষাবধি পর্যন্ত পাহারায় নিয়ােজিত থাকবে।
৯। কারখানার প্রতিটি ফ্লোরের বহির্গমন ফটকে একজন করে মহিলা নিরাপত্তা কর্মী/প্রহরী কাজের শেষাবধি পর্যন্ত পাহারায় নিয়ােজিত থাকবে।
১০৷ কারখানার ফ্লোরের বহির্গমন ফটকগুলাে মহিলা শ্রমিকদের আগমন ও বহির্গমনের পক্ষান্তরে সামনের প্রবেশ ফটকটি পুরুষ শ্রমিকদের আগমন ও বহির্গমনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
১১। নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানা ছুটির সময় প্রতিটি শ্রমিক কর্মচারীর দেহ তল্লাশি করতে হবে। (মহিলা শ্রমিকদের মহিলা নিরাপত্তা কর্মী দ্বারা তল্লাশি করা হবে)
১২। কারখানার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে (প্রধান ফটক, লােডিং-আনলােডিং স্থান, স্টোর এবং ফেব্রিক ওয়্যার হাউজ, প্যাকিং সেকশন, কারখানার বাইরের প্যাকিং জোন) নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য CCTV (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরা সংযােজন করতে হবে।
১৩। CCTV (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরা ধারনকৃত ঘটনা পর্যবেক্ষনের জন্য একজন আলাদা নিরাপত্তা কর্মী বা কর্মকর্তা থাকবে। তিনি সর্বক্ষন CCTV (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরার মনিটরের সামনে অবস্থান করবেন এবং কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা CCTV (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরাতে দৃষ্টি গােচর হলে তৎক্ষনাৎ CCTV (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরা অপারেটর বিষয়টি প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ও প্রশাসন বিভাগে বেতার বার্তার মাধ্যমে বা ইন্টারকম টেলিফোনের মাধ্যমে অবহিত করবেন।
১৪। সবকটি প্রবেশ ও বহির্গমন পথ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি দ্বারা প্রস্তুত সীলগালা সহকারে তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় কাজের শেষ থেকে অপর কার্য দিবসের সকাল ৭:৪০ মিঃ পর্যন্ত।
১৫। কারখানার সবগুলাে তালার চাবি নিরাপত্তা পরিদর্শকের জিম্মায় থাকবে যিনি নিকটবর্তী কোন পরিচিত ও নিরাপদ স্থানে থাকবেন এবং প্রয়ােজনে ডাকামাত্রই কারখানার তালা খুলে দিতে বা বন্ধ করতে সক্ষম হবেন।
১৬। তালা বন্ধের সময়ে সবগুলাে সেকশন ও ফ্লোর-এর জানালা, দরজা প্রথমে সঠিকভাবে বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি সেকশন বা ফ্লোর সীল গালা ও দস্তখত সহকারে এককভাবে তালাবদ্ধ করা হবে। নিরাপত্তা পরিদর্শক সই দেবেন। অন্য একজন দায়িত্ব প্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী তালায় সীলগালা লাগাবেন এবং আরেকজন দায়িত্ব প্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী ফটকে তালা লাগিয়ে হাতে চাপ দিয়ে ফটক বন্ধ করবেন।
১৭। তালাবদ্ধ হওয়ার পর তা সঠিক হয়েছে কিনা পরীক্ষা করার জন্য প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক সবগুলাে তালা টেনে টেনে পরীক্ষা করে দেখবেন।
১৮। নিরাপত্তা কর্মী দলটি শিফট বা পালা পদ্ধতিতে কাজ করবে যা প্রতি সপ্তাহে চক্রানুসারে প্রবর্তিত হবে।
১৯। একটি ইন্টারকম ও একটি ডিজিটাল টেলিফোন সেট নিরাপত্তা কক্ষে বসানাে থাকবে এবং তাতে কাৰ্য্য সময়ের পরেও রিং টোন পাওয়া যাবে। জররী বা আপদকালীন সময়ে নিরাপত্তা কর্মী ঐ টেলিফোন ব্যবহার করবেন।
২০। নিরাপত্তা কর্মীদের সকলের পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে। দাখিলকৃত রিপাের্ট অন্ত তঃ ১ বছর পর পুনঃ তদন্ত করতে হবে।
২১। মাসে অন্ততঃ একবার সকল নিরাপত্তা কর্মীদের প্যারেড এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালা কারখানা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত করতে হবে। প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও প্যারেড পরিচালনা করবেন।
২২। কারখানায় কর্মরত দৈনিক চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক বা লেবার কন্ট্রাক্টরগণ কারখানার প্রধান ফটকে প্রবেশের সময় নিরাপত্তা প্রহরীগণ তাদের পরিচয়পত্র দেখার পর প্রবেশাধিকার পাবেন।
২৩। ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র ব্যতীত কোন চুক্তিবদ্ধ কন্ট্রাক্টরের শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। কারখানায় আগত প্রত্যেক দর্শনার্থীকে প্রথমে নিরাপত্তা কক্ষে নিয়ে যাওয়া হবে এবং পরবর্তীতে ভিজিটর রেজিষ্টারে নাম ও অন্যান্য তথ্য লিপিবদ্ধকরনের পর তাকে অভ্যর্থনা কক্ষে বসানাে হবে। এরপর একজন নিরাপত্তা প্রহরীর মাধ্যমে আগত দর্শনার্থীকে অভ্যর্থনা কক্ষের ভিতরের সিড়ি দিয়ে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হবে।
২৪। দর্শনার্থীদের যানবাহন প্রধান ফটকের বাহিরে সংরক্ষিত ভিজিটর পার্কিং এরিয়ার মধ্যে রাখা হবে। দর্শনার্থীদের গাড়ীর নাম্বার ও অন্যান্য তথ্য “ভেহিক্যাল ট্রেকিং” রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
২৫। দর্শনার্থীদের গাড়ী ও লােডিং-আনলােডিং কাজে ব্যবহৃত যানবাহন কারখানা প্রাঙ্গনে প্রবেশের পূর্বে গাড়ীর নিচের অংশ মিরর ডিটেক্টর দ্বারা চেক করতে হবে।
২৬। নিরাপত্তা পরিদর্শক প্রতি ৪ ঘন্টা পরপর সম্পূর্ণ কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীদের অবস্থান ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার নিকট রিপাের্ট করবেন।
২৭। কোন শিফটে যদি কোন নিরাপত্তা প্রহরী অনুপস্থিত থাকেন তাহলে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা অনুপস্থিত নিরাপত্তা প্রহরীর স্থলে বিকল্প প্রহরীর অবস্থান নিশ্চিত করবেন।
২৮। প্রতিদিন সন্ধ্যা হওয়ার পূর্বে কারখানার সবগুলাে নিরাপত্তা বেষ্টনীর কার্যকারিতা বাতি নিরাপত্তা পরিদর্শক জ্বালিয়ে দিবেন এবং সপ্তাহে অন্ততঃ একবার বাতিগুলাের কার্যকারিতা চেক করতে হবে।
২৯। কারখানার বাতিগুলাের সুইচ বাের্ড নিরাপত্তা কক্ষে বক্স করা থাকবে। নিরাপত্তা পরিদর্শক বাতির সুইচ অন এবং অফ করবেন।
৩০। পরিচয়পত্র বিহীন বা বহিরাগত কোন লােকজন অথবা কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা দৃষ্টিগােচর হলে তৎক্ষনাৎ প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক বিষয়টি উধর্বতন কর্তৃপক্ষকে (প্রশাসন) অবহিত করবেন এবং ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
৩১। কারখানার স্টোর, ফেব্রিক ওয়্যার হাউজ, ফিনিশিং, প্যাকিং সেকশন, লােডিং-আনলােডিং সর্বসাধারনের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। ঐ সকল সেকশনে নির্দিষ্ট শ্রমিক কর্মচারী ব্যতীত অন্য কেউ অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারবে না।
৩২। প্যাকিং, স্টোর, ফিনিশিং, ফেব্রিক গােডাউন, লােডিং-আনলােডিং কাজে নিয়ােজিত শ্রমিক-কর্মচারীদের ছবিযুক্ত পরিচয় ঐ সকল স্থানে প্রদর্শিত রয়েছে যাতে অন্য কোন লােকজন সেখানে প্রবেশ করতে না পারে। এ ব্যাপারে সেই সকল স্থানে দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
৩৩। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিরাপত্তা রক্ষীদের তালিকা তৈরী পূর্বক একটি ডিউটি রােস্টার তৈরী করবেন। ডিউটি রােস্টারে উল্লেখিত পালা বা শিফট অনুযায়ী নিরাপত্তা কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবে।
৩৪। নিরাপত্তা কর্মীদের দায়িত্বে কোন ধরনের অবহেলা বা গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে তৎক্ষনাৎ তা প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা অভিযােগ তদন্ত করে প্রশাসন বিভাগের মাধ্যমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
৩৫। কারখানার সীমানার ভেতর ধূমপান, মাদকদ্রব্য, ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য, বিস্ফোরক দ্রব্য, বহন বা ব্যবহার করা যাবে না।
Collected from :

0 Comments