বাংলাদেশ শ্রম আইনের এক মূলার নাম হল গ্র্যাচুয়িটি।
মূলা বলার কারন কি?
১। গ্র্যাচুয়িটি কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামূলক নয়।
২। গ্র্যাচুয়িটি ফান্ডের সদস্যপদ কত দিনে পাওয়া যাবে তা উল্লেখ্য না থাকা।
বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ২(১০) অনুযায়ী গ্র্যাচুয়িটির সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে যে, কোন কর্মী যদি প্রতিষ্ঠানে ১ বছর বা ৬ মাসের বেশি সময় কাজ করেন তবে তিনি প্রতি বছর
কাজের জন্য ৩০ দিনের মজুরী পাবেন এবং ১০ বছরের বেশি সময় কাজ করলে প্রতি বছর কাজের জন্য ৪৫ দিনের মজুরী পাবেন।
উপরের লেখাটা পড়ে আপনার মনে হতেই পারে যে ৬ মাসের বেশি কাজ করলেই আমি গ্র্যাচুয়িটি পেয়ে যাব।
বাস্তবিক জিনিটা আপনি যত সহজ ভাবছেন আইন ততটাই কঠিন করেছে বিষয়টিকে।
একটু উদাহরণ দিয়ে পরিস্কার করছি।
আপনি যদি প্রভিডেন্ট ফান্ড বিষয়ে জানেন তবে গোলোক ধাধাটা বুঝতে সহজ হবে।
আপনি যদি আয়কর অধ্যাদেশ এবং বিধিমালা পড়ে থাকেন তবে সেখানে কিছু ফান্ডের কথা বলা আছে।
১। প্রভিডেন্ট ফান্ড।
২। গ্র্যাচুয়িটি ফান্ড।
৩। বার্ধক্য ফান্ড।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের মত গ্র্যাচুয়িটি ফান্ডেও সদস্যপদ গ্রহন করতে হয়।
কিন্তু সেটা কত দিনে, শ্রম আইনে প্রভিডেন্ট ফান্ডের সদস্যপদ পাওয়া যাবে চাকুরী বয়স ১ বছর হলে।
গ্র্যাচুয়িটি ফান্ডের সদস্যপদ কত দিনে পাবে তা আইনে নিদিষ্ট করে বলা হয় নি।
তাই অনেক প্রতিষ্ঠান ৩ বছর,কোন কোন প্রতিষ্ঠান ৫ বছর, আবার ১০ বছর সময় দিয়ে থাকে কোন কোন প্রতিষ্ঠান সদস্য পদ প্রাপ্তির জন্য।
কিছুটা বলা যায় খেয়াল খুশি মত যেহেতু আইনি কোন বাধা নাই।
অনেকেই জানতে চান যে, মূল মজুরী না, মোট মজুরী দিতে হবে গ্র্যাচুয়িটিতে।
মূল মজুরী কিভাবে?
শ্রম আইনের ২য় অধ্যায়ের অধীন কোন অর্থ প্রদেয় হলে তা মূল মজুরী অনুযায়ী হবে তা ধারা ১৪ তে বলা আছে।
তবে গ্র্যাচুয়িটির ক্ষেএে সর্বশেষ প্রাপ্ত মূল মজুরী অনুযায়ী দিতে হবে।
সংবাদপএ কর্মীদের গ্র্যাচুয়িটি
সংবাদপএ কর্মীদের জন্য গ্র্যাচুয়িটি একটু ভিন্ন অন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে।
প্রথম যে বিষয়টা সবার কাছে অবাক লাগতে পারে তা হল সংবাদপএের জন্য গ্র্যাচুয়িটি বাধ্যতামূলক কিন্তু তা ৩ বছর পরে।
যদি কোন কর্মী ৩ বছর কাজ করেন তবে উক্ত কর্মী গ্র্যাচুয়িটি পাইবার অধিকারী হবেন।
দ্বিতীয় যে বিষয়টা আপনাকে অবাক করতে পারে তা হল সংবাদপএ কর্মীদের গ্র্যাচুয়িটির পরিমান।
সংবাদপএের কর্মীদের গ্র্যাচুয়িটির পরিমান হবে সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী অনুযায়ী দুই মাসের মূল মজুরীর সমান।
তার অর্থ হল প্রতি বছর কাজের জন্য দুটি করে বেসিক প্রদান করতে হবে।
যদি কোন কারনে চাকুরীর বয়স ৩ বছর না হয়। তবে প্রতি বছরে কাজের জন্য ১টি করে বেসিক প্রদান করতে হবে।
গ্রাচুয়িটি ফান্ড গঠনের নিয়ম
অনেকের মধ্যেই একটা ভ্রান্ত ধারনা আছে গ্রাচুয়িটি ফান্ড গঠনের নিয়ম সম্পর্কে।
কোন আর্থিক ফান্ড গঠন করতে হলে কিছু নিদিষ্ট আইন অনুসরন করতে হবে।
গ্রাচুয়িটি ফান্ড গঠন করতে হলে যে আইন গুলো অনুসরন করতে হবে তা হল:
১। চুক্তি আইন ১৮৭২।
২। ট্রাষ্ট আইন ১৮৮২।
৩। শ্রম আইন ২০০৬।
৪। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪।
৫। আয়কর বিধিমালা ১৯৮৪।
৬। নিবন্ধন আইন ১৯০৮।
৭। ব্যাংকিং আইন ১৯৯১।
অনেকেই বলেন একটা পলিসি করে গ্রাচুয়িটি চালু করে দিলেই হবে। ধারনাটা নেহায়েত ভুল।
১। চুক্তি আইন ১৮৭২।
২। ট্রাষ্ট আইন ১৮৮২।
৩। শ্রম আইন ২০০৬।
৪। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪।
৫। আয়কর বিধিমালা ১৯৮৪।
৬। নিবন্ধন আইন ১৯০৮।
৭। ব্যাংকিং আইন ১৯৯১।
অনেকেই বলেন একটা পলিসি করে গ্রাচুয়িটি চালু করে দিলেই হবে। ধারনাটা নেহায়েত ভুল।
0 Comments