ক্যারিয়ারের একটি প্রধান অধ্যায় হলো চাকরি বা ব্যবসায় নিজেকে যুক্ত করা।
আর এই খাতগুলোতে নিজেকে সফল করতে অনেকেই মরিয়া হয়ে উঠেন। যদিও কিছু ভুল
সেই সললাতে কাছে আসেতে দেয় না অনেকেরই। বিশেষ করে তরুণরা ক্যারিয়ারে কিছু
কমন ভুল করে থাকে। আগ্রহী তরুণ-তরুণীদের উদ্যেশে কয়েকটি বিষয় আলোচনা হবে।
হয়তো আপনি নতুন কোনো চাকরিতে নিজেকে যুক্ত করেছেন। অবশ্যই আপনাকে অভিনন্দন।
কিন্তু অনেকেই এই সময়টায় কিছু ভুল করেন। ফলে ক্যারিয়ারে পান না কাঙ্খিত
সফলতা। আসুন জেনে নিই কিছু ভুলের কথা, যা অধিকাংশ তরুণ কর্মীই করে থাকেন-
স্পষ্ট কথা বলার অভ্যাস করুন :
ধরুন একটি অনুষ্ঠানে আপনাকে কিছু বলতে
বলা হলো। আপনি সংকোচে জড়োসড়ো হয়ে গেলেন। আপনি বার বার কথা বলতে আপনার
অনিচ্ছার কথা জানাচ্ছেন। এমনটা কখনোই করবেন না। এই সুযোগটা কাজে লাগান।
আত্মবিশ্বাসের সাথে কিছু বলুন। এতে সহকর্মীদের মাঝে আপনার অবস্থান
শক্তিশালী হবে। এছাড়া কোনো বিষয়ে আপনার মতামত চাওয়া হলে নিঃসংকোচে তা
ব্যক্ত করুন। আপনার আত্মবিশ্বাসী মনোভাব আপনাকে সবার মাঝে অনন্য করে তুলবে।
আপনি চাকরিতে নতুন যোগ দিয়েছেন। আপনাকে স্বাগতম। প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনাকে
উপস্থাপন করার এখনই সময়।
ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক তৈরি করুন :
একজন ডেডিকেটেড কর্মী হিসেবে কঠোর
পরিশ্রম অবশ্যই আপনার পেশাগত সাফলের জন্য আবশ্যক। তবে পেশাগত সম্পর্ক আপনার
পদোন্নতি কিংবা নতুন কাজ পাওয়ার জন্য খুবই জরুরি। এটা কর্মজগতের একটি
অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেক নতুন চাকরিজীবী এক্ষেত্রে অনাগ্রহী থাকেন। এক্ষেত্রে
আপনার বিষয়টি দেখাশোনা করেন এমন ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে ক্যারিয়ার সম্পর্কে
পরামর্শ চাইতে পারেন। আর এর মাধ্যমেই তার সঙ্গে সম্পর্কটি শুরু হতে পারে।
কর্মক্ষেত্রে গল্প নয় :
সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করা বা আড্ডায় অংশ নেয়া
হতে পারে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি উপায়। তবে এমনটা কখনো অফিসে করা উচিত হবে
না। কারণ এর মাধ্যমে সহকর্মীদের সঙ্গে আবার বিরোধও সৃষ্টি হতে পারে। কেউ
গল্প বা কারো বিষয়ে কিছু বলতে আসলে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করুন। আর কারো
সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে আড্ডা দিতে চাইলে অফিসের বাইরে কোথাও বসুন।
সঠিক সময়ে অফিসে আসুন :
আপনি অফিসে কঠোর পরিশ্রম করেন। বাসায় গিয়ে
অতিরিক্ত কাজও করে দেন। কিন্তু আপনি যদি প্রায়ই অফিসে দেরি করে আসেন তাহলে
আপনি অলস হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন। সবাই সাধারণত দেখে কে অফিসে আগে আসল,
আর দেরিতে গেল। তাই অফিসে যত ভালো কাজই করেন না কেন তা চাপা পড়ে যাবে আপনার
দেরি করে আসায়। প্রতিষ্ঠানে আপনার খ্যাতি হবে বিনষ্ট। আর প্রতিষ্ঠানে
আপনার অগ্রগতির জন্য পেশাগত সুখ্যাতি খুবই প্রয়োজন।
সঠিক মাত্রায় আত্মবিশ্বাসী হোন :
অতি মাত্রায় আত্মবিশ্বাসী হওয়া তরুণ
চাকরিজীবীদের একটা সাধারণ সমস্যা। এটা অনেক সময় আপনার সিনিয়রদের হজম করতে
সমস্যা হতে পারে। আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনি এখন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের
সপ্নিল গন্ডি পেরিয়ে এসেছেন। এখন আপনাকে হতে হবে নমনীয় ও বিনয়ী। কোম্পানিতে
আপনার অবস্থানের কথা মনে রাখতে হবে। আপনি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট হতে
পারেন। তাই বলে অফিসের সব কাজই আপনি জানেন বা পারেন এমন মনোভাব থাকা উচিত
নয়। কারণ এটা আপনার পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হতে পারে।
ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক :
একজন ডেডিকেটেড কর্মী হিসেবে কঠোর পরিশ্রম অবশ্যই
আপনার পেশাগত সাফলের জন্য আবশ্যক। তবে পেশাগত সম্পর্ক আপনার পদোন্নতি
কিংবা নতুন কাজ পাওয়ার জন্য খুবই জরুরি। এটা কর্মজগতের একটি অবিচ্ছেদ্য
অংশ।
তথ্যসূত্র: মানবকন্ঠ ডটকম।
0 Comments