সে রাতে ফিলাডেলফিয়াতে প্রচন্ড ঝড় উঠেছিলো, মুষলধারে টানা বৃষ্টিও ঝরছিলো।
মধ্য বয়স্ক মানুষ টি এই ঝড়ের রাত্রে স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় আশ্রয় নিবেন বুঝে
উঠতে পারছিলেন না। বহুক্ষণ খোজাখুজির পর ছোট্ট একটা হোটেলের সন্ধান পাওয়া
গেলো।
রিসেপশনে গিয়ে রুম পাওয়া যাবে
কিনা জিজ্ঞাসা করতেই হোটেলের তরুণ ম্যানেজার মাথা নেড়ে না করতে গিয়েও
কিছুক্ষণ সময় নিলো। তারপর মুখে উজ্জ্বল হাসি ফুটিয়ে মধ্যবয়স্ক দম্পতির দিকে
তাকিয়ে উত্তর দিলো-
"স্যার, আমাদের সব ক'টি রুম ইতিমধ্যেই বুকড হয়ে
গেছে। কিন্তু এত চমৎকার একটি দম্পতিকে এই ঝড়ের রাতে বাইরেও যেতে দিতে
পারিনা। যদি আপত্তি না থাকে আপনারা আমার রুমে রাতটা কাটাতে পারেন। রুমটা
হয়তো পছন্দ হবেনা, কিন্তু রাতটা কাটানোর জন্য একেবারে মন্দও না !"
-
ম্যানেজার কোথায় ঘুমাবে ভেবে স্বামী ভদ্রলোক টি রাজী না হওয়াতে তরুণ ছেলেটা তাকে আশ্বস্ত করলো, তার জন্য দুশ্চিন্তা করতে হবেনা। সে কোনো সমস্যা ছাড়াই রিসিপশনে বসে রাতটা কাটিয়ে দিতে পারবে। এবার স্বামী-স্ত্রী দুজনেই রাজী হলেন।
-
পরদিন সকালে বিল দেবার সময় স্বামী ভদ্রলোক টি ম্যানেজার কে বললেন, "তোমার মত একজন ম্যানেজারের সবচেয়ে ভাল একটি হোটেলের বস হওয়া উচিৎ। একদিন আমিই হয়তো তোমার জন্য সেই হোটেল টা বানাবো"।
-
তরুণ ম্যানেজার স্বামী টির দিকে তাকিয়ে হাসতে শুরু করলো। তার সাথে স্বামী-স্ত্রীও হাসিতে যোগ দিলো। তিনজন মিলে বেশ একচোট হাসির পর্ব শেষ করে স্বামী-স্ত্রী বিদায় নিলেন।
-
এরপর দুই বছর পার হয়ে গেছে। হোটেলের ম্যানেজার সেই ঝড়ের রাতে তার রুমে রাত কাটানো সেই দম্পতির কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলো। ম্যানেজারের ঠিকানায় একটি চিঠি আসলো। চিঠির মধ্যে রিটার্ন টিকেট সহ নিউইয়র্কগামী প্লেনের একটি টিকেট। সেই ভদ্রলোক চিঠিতে লিখেছেন, ঝড়ো রাতের উপকারের কথা তিনি ভোলেন নি। যদি সম্ভব হয়, ম্যানেজার যেন অবশ্যই নিউইয়র্কে তার সাথে একটু দেখা করে আসেন।
-
ম্যানেজার কোথায় ঘুমাবে ভেবে স্বামী ভদ্রলোক টি রাজী না হওয়াতে তরুণ ছেলেটা তাকে আশ্বস্ত করলো, তার জন্য দুশ্চিন্তা করতে হবেনা। সে কোনো সমস্যা ছাড়াই রিসিপশনে বসে রাতটা কাটিয়ে দিতে পারবে। এবার স্বামী-স্ত্রী দুজনেই রাজী হলেন।
-
পরদিন সকালে বিল দেবার সময় স্বামী ভদ্রলোক টি ম্যানেজার কে বললেন, "তোমার মত একজন ম্যানেজারের সবচেয়ে ভাল একটি হোটেলের বস হওয়া উচিৎ। একদিন আমিই হয়তো তোমার জন্য সেই হোটেল টা বানাবো"।
-
তরুণ ম্যানেজার স্বামী টির দিকে তাকিয়ে হাসতে শুরু করলো। তার সাথে স্বামী-স্ত্রীও হাসিতে যোগ দিলো। তিনজন মিলে বেশ একচোট হাসির পর্ব শেষ করে স্বামী-স্ত্রী বিদায় নিলেন।
-
এরপর দুই বছর পার হয়ে গেছে। হোটেলের ম্যানেজার সেই ঝড়ের রাতে তার রুমে রাত কাটানো সেই দম্পতির কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলো। ম্যানেজারের ঠিকানায় একটি চিঠি আসলো। চিঠির মধ্যে রিটার্ন টিকেট সহ নিউইয়র্কগামী প্লেনের একটি টিকেট। সেই ভদ্রলোক চিঠিতে লিখেছেন, ঝড়ো রাতের উপকারের কথা তিনি ভোলেন নি। যদি সম্ভব হয়, ম্যানেজার যেন অবশ্যই নিউইয়র্কে তার সাথে একটু দেখা করে আসেন।
তরুণ ম্যানেজার প্লেন থেকে
নামতেই ভদ্রলোক রিসিভ করলেন। তারপর গাড়িতে করে নিউইয়র্কের ফিফথ এভিনিউ এর
থার্টি ফোর্থ স্ট্রিটে সদ্য গজিয়ে ওঠা ঝকঝকে বিশাল এক বিল্ডিং এর দিকে
আঙ্গুল তুলে ভদ্রলোক টি বললেন, "এটাই সেই হোটেল যেটা আমি তোমার বস হবার
জন্য বানিয়েছি।"
- আপনি নিশ্চয়ই মজা করছেন! তরুণ ম্যানেজার হতভম্ব। বাকরুদ্ধ!
- নিশ্চিত থাকো ইয়াং ম্যান, আমি মজা করছিনা। ভদ্রলোকের মুখে আত্নবিশ্বাসের হাসি।
...ভদ্রলোক টি ছিলেন উইলিয়াম ওয়ালডর্ফ এ্যাস্টার, এবং সেই ঝকঝকা বিল্ডিং টিই আজকের সেই বিখ্যাত ওয়ালডর্ফ-এ্যাস্টরিয়া হোটেল।
-
সেই তরুণ ম্যানেজার কখনো কল্পনাও করেনি সে রাতের ছোট্ট ওইটুকু উপকার তাকে মামুলি এক ছোট্ট হোটেলের ম্যানেজার থেকে পৃথিবীর গ্ল্যামারাস হোটেল গুলোর একটার ম্যানেজার বানিয়ে দেবে!
-
...এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, আজকাল কাউকে উপকার করলে প্রতিদানে অপকার টাই ভাগ্যে বেশি মিলে। তারপরও, কেউ মনে না রাখুক, সৃষ্টিকর্তা ঠিকই মনে রাখেন এবং একদিন সেই প্রতিদান ঠিকই ফিরিয়ে দেন। এটাই ন্যাচারাল ল অভ রিটার্ন।
-
সেই তরুণ ম্যানেজার কখনো কল্পনাও করেনি সে রাতের ছোট্ট ওইটুকু উপকার তাকে মামুলি এক ছোট্ট হোটেলের ম্যানেজার থেকে পৃথিবীর গ্ল্যামারাস হোটেল গুলোর একটার ম্যানেজার বানিয়ে দেবে!
-
...এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, আজকাল কাউকে উপকার করলে প্রতিদানে অপকার টাই ভাগ্যে বেশি মিলে। তারপরও, কেউ মনে না রাখুক, সৃষ্টিকর্তা ঠিকই মনে রাখেন এবং একদিন সেই প্রতিদান ঠিকই ফিরিয়ে দেন। এটাই ন্যাচারাল ল অভ রিটার্ন।
ধর্মগ্রন্থে আছে, এক পতিতা
মহিলা তৃষ্ণার্ত এক কুকুর কে পানি পান করিয়েছিলো। সেই প্রতিদানে
সৃষ্টিকর্তা তার সকল পাপ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
সেজন্য যখনই কারো কোনো উপকার করার সুযোগ পাবেন, তা যত ছোট কিংবা ক্ষুদ্রই হোক না কেন - সুযোগ টি হেলায় হারাবেন না।
কে জানে, ঐ ছোট্ট উপকার টুকুর মাধ্যমে কার হৃদয় কে আপনি ছুঁয়ে দিচ্ছেন! কে
জানে, ঐ ছোট্ট উপকার টুকু আপনার অবস্থান কে একদিন কোথায় নিয়ে যাবে!
0 Comments