জরুরী পরিস্থিতিতে পুরস্কৃতকরণ নীতিমালা

জরুরী পরিস্থিতিতে পুরস্কৃতকরণ নীতিমালা। ফ্যক্টরীর নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসে নিম্নোক্ত নম্বরে জরুরী ভাবে যোগাযোগ করতে হবে (গাজীপুর ফায়ার স্টেশন -৯২৫২৬২৮, ৯২৫৬৩৭৮, ডি,ই,পি, জেড ফায়ার স্টেশন -৭৭০১৪৪৪, ফায়ার হেড কোয়াটার -৯৫৫৫৫৫৫, ৯৫৫৬৬৬৬, ৯৫৫৬৬৬৭, সাভার ফায়ার স্টেশন -৭৭১৩৩৩৩, কালিয়াকৈর ফায়ার স্টেশন -০১৭৪৪২৪২২৪৮, ০৬৮২২৫১৩৩৩)। কে কোন পথে বাহির হইবে সেই জন্য সকলকে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। কাজেই, অগ্নি সংকেতের সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে জরুরী বর্হিগমন প্লান অনুসারে যাতে সকলে নিরাপদে স্বল্প সময়ের মধ্যে বের হতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
কোন সন্দেহভাজন ব্যক্তি যদি ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে তৎক্ষনাৎ ফ্যাক্টরীর সিকিউরিটিকে নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে হবেঃ-
ফ্যাক্টরীর সিকিউরিটি পোষ্টে জরুরী টেলিফোন নম্বর পোষ্টার আকারে লাগানো থাকতে হবে। উক্ত পোষ্টারে নিম্নলিখিত নম্বরগুলো থাকতে হবেঃ
  • নিকটস্থ থানার টেলিফোন নম্বর থাকতে হবে।
  • নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিসের টেলিফোন নম্বর থাকতে হবে।
  • নিকটস্থ হাসপাতালের টেলিফোন নম্বর থাকতে হবে।
  • কোম্পানীর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের টেলিফোন ও মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
  • নিকটস্থ এম্বুলেন্সের টেলিফোন নম্বর থাকতে হবে।
জরুরী পরিস্থিতিতে সন্দেহভাজন মোকাবিলার জন্য প্রথমে নিকটস্থ থানায় ফোন করে পুলিশকে অবহিত করতে হবে এবং সাথে সাথে কোম্পানীর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
কারখানার অভ্যন্তরে নাশকতামূলক সন্দেহভাজন ঢুকে গেলে অবশ্যই প্রথমে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিকিউরিটি গার্ড, সিকিউরিটি অফিসার শক্তহাতে মোকাবিলা করতে হবে। কোন অবস্থায় যাতে কারখানার অভ্যন্তরে ঢুকতে না পারে।
কারখানার অভ্যন্তরে সন্দেহভাজন কাউকে ধরতে পারলে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটি কর্মীকে পুরস্কৃত করা হবে। এতদসংক্রান্ত একটি নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গানো থাকবে।

নির্দেশনা ও জরুরী বহিগর্মন প্লান

এ ছাড়া ফ্যাক্টরীতে ফায়ার ফাইটিং এর জন্য কমিটি / দল গঠন করা হয়েছে যার বর্ননা নিম্নে প্রদত্ত হল ঃ
  • ফায়ার ফাইটিং দল, উদ্ধারকারী দল, ফাষ্ট এইড টিম, কর্ডন পার্টি, ফায়ার ফাইটিং দলের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
  • আগুন লাগার সাইরেন শোনার সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রিশিয়ান/অগ্নি নির্বাপক দলের দলনেতা/ফ্লেরে উপস্থিত নিকটতম ফায়ার ফাইটার অথবা সর্ব নিকটতম ব্যক্তি বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করবে।
  • আগুন লাগার সাইরেন শোনার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার ফাইটিং পার্টির প্রত্যেকে দ্রুত তাদের জন্য নির্দিষ্ট অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের কাছে চলে যাবে ও যন্ত্র নামিয়ে নেবে এবং একত্রিত হয়ে আগুন কোথায় লেগেছে তা জানার চেষ্টা বা পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করবে। তবে যদি নিজ ফ্লোরে আগুন লাগে তাহলে দ্রুত আগুনের কাছে যাবে এবং আগুনের দিকে তাক করে বাতাসের প্রতিকুলে অবস্থান গ্রহন করে নিরাপদ দূরত্বে দাড়িয়ে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে।
  • ফায়ার ফাইটাররা কে কোনটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে তা পূর্বেই নির্ধারিত থাকবে।
  • ফায়ার ফাইটাররা কারখানার হোস পাইপের সাহায্যে, প্রয়োজনে খাওয়ার পানির ড্রামের, বাথরুমে রক্ষিত ড্রামের, যদি বয়লার থাকে তবে সেখানে রক্ষিত ড্রামের পানি দ্বারা আগুন নিভানোর চেষ্টা করবে।
  • বৈদ্যুতিক আগুন নিভাতে শুধুমাত্র কার্বন ডাই অক্সাইড অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে।
  • ফায়ার ব্রিগেড দল আসলে তদেরকে সর্বোতভাবে সাহায্য সহযোগীতা করবে।
  • দলের সবাই দলনেতার নেতৃত্বে কাজ করবে।
  • কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশের জন্য প্রস্তুত থাকবে। বিশেষ জরুরী অবস্থা ছাড়া ফ্লোর ত্যগ করবে না।

উদ্ধারকারী দলের দয়িত্ব ও কর্তব্য ঃ

  • আগুন লাগার সাইরেন শোনামাত্র দলনেতা হুইসেল বাজিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করবে।
  • ইভাকুয়েশন প্লান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্রুততার সাথে সবাইকে নিরাপদে বাহিরে যেতে সহযোগিতা করবে। পূর্ব থেকে কে কোথায় দাড়িয়ে লোকজন নামাতে সহযোগিতা করবে তা নির্ধারিত থাকবে।
  • বাথরুমে বা অন্য কোথাও কেহ আটকা পড়ল কিনা তা মহিলা বাথরুমে মহিলা এবং পুরুষ বাথরুমে পুরুষ কর্মীগণ খোঁজ করবে।
  • কেহ আহত বা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বা তাদেরকে দ্রুত ফাষ্ট এইড টিম এর কাছে নিবে এবং কাউকে এম আই রুমে নেওয়ার প্রয়োজন হলে কাঁেধ করে অথবা প্রয়োজনে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাবে।
  • আগুন যেখানে লেগেছে তার চারপাশ থেকে মালপত্র বা মেশিনপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেবে।
জরুরী পরিস্থতিতে সন্দেহভাজন মোকাবেলা করনের লক্ষ্যে উপরোক্ত পদ্ধতি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

Post a Comment

0 Comments